<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পৃথিবীর দ্বিতীয় চাঁদের মর্যাদা পেয়েছিল একটি গ্রহাণু। এটির কেতাবি নাম দেওয়া হয়েছিল </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২৪ পিটি৫</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। আবার দেখা যাবে ২০৫৫ সালে। প্রায় দুই মাস ভুল কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে এটি নিজের কক্ষপথে ফিরে গেছে। ২৫ নভেম্বর থেকে এটি পৃথিবী থেকে দূরে সরতে থাকে। চাঁদ পৃথিবীকে ভালোবাসে বলেই ছায়ার মতো পৃথিবীকে অনুসরণ করে যায় অবিরাম। কিন্তু </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দ্বিতীয় চাঁদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> অল্প কয়েক দিনেই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে অনেক দূরে সরে যাচ্ছে। মাত্র ৫৩ দিন পৃথিবীর কক্ষপথে থাকার পরেই দ্বিতীয় চাঁদ কর্মজীবনে ইতি টেনে মহাশূন্যে ছুটে চলে। অবশ্য খালি চোখে খুঁজেই পাওয়া যায়নি এই খুদে চাঁদকে। চাঁদের ব্যাস তিন হাজার ৪৭৬ কিলোমিটার হলেও ২০২৪ পিটি৫-এর ব্যাস মাত্র ১০ মিটার। মানে এটি চাঁদের চেয়ে তিন লাখ গুণ ছোট! বিশেষ টেলিস্কোপ ছাড়া এটিকে দেখার উপায় ছিল না। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ হচ্ছে চাঁদ। আর এই চাঁদ ৫৩ দিনের জন্য একটি খুদে সঙ্গী পেয়েছিল দ্বিতীয় চাঁদকে। এটি মূলত গ্রহাণু। মহাকাশে ইতস্তত ঘুরতে ঘুরতেই হঠাৎ করে পৃথিবীর কক্ষপথে এসে পড়েছিল সে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত আগস্ট মাসে প্রথম এর সন্ধান পান বিজ্ঞানী কার্লোস মার্কোস ও রাউল মার্কোস। বিজ্ঞানী কার্লোস জানান, এর আগেও ১৯৯৭, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে পৃথিবীর কক্ষপথে দিন কয়েকের জন্য এ ধরনের খুদে উপগ্রহের সংযোজন হয়েছিল। ২০২৪ পিটি৫কে চাঁদ বলার কারণ ব্যাখ্যা করে নাসা বলেছিল, প্রাকৃতিকভাবে গঠিত কোনো কাঠামো যদি কোনো গ্রহকে প্রদক্ষিণ করে, তাহলে সেটিকে বিজ্ঞানে চাঁদ বলা হয়। সে হিসেবেই গ্রহাণুটিকে পৃথিবীর দ্বিতীয় চাঁদ বলা হয়েছে। তবে এটি পৃথিবীর চারপাশে একটি সম্পূর্ণ কক্ষপথ অনুসরণ করেনি। অনেকটা জানালায় উঁকি দেওয়ার মতো করে ৫৩ দিনেই হাওয়া হয়ে গেছে। উল্লেখ্য, চাঁদ পৃথিবীর সঙ্গে আছে প্রায় ৪০০ কোটি বছর ধরে। তবে দ্বিতীয় চাঁদের মতো অস্থায়ী ছোট চাঁদগুলো মাত্র কয়েক সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ বছরখানেক পৃথিবীর কক্ষপথে অনেক দূর থেকে থাকতে পারে। সূত্র : গালফ নিউজ</span></span></span></span></p>