<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশে চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনা বাড়লেও মামলা করার ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা সেভাবে এগোচ্ছে না। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য মতে, গত আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চার মাসে গড়ে তিন হাজার ৭০০ মামলা কম হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে পুলিশ সদর দপ্তরে এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর কালের কণ্ঠকে বলেন, স্বাভাবিকভাবে মামলা কখনো কম কিংবা কখনো বেশি হয়। পুলিশের কাছে যারা আসছে, আইনগতভাবে তাদের অভিযোগ, মামলা ও জিডি সব কিছুই নেওয়া হচ্ছে। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে অপরাধের শিকার হয়ে পুলিশের কাছে না যায়, তাহলে সে কিভাবে সেবা পাবে? আর তাই আমরা সর্বদা বলছি, পুলিশ চেষ্টা করছে জনগণের সর্বোচ্চ সেবক হয়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে। তাই পুলিশের সেবা নিতে এবং তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে আহ্বান জানাই। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, জুলাই আন্দোলনের পর পুলিশ জনরোষে পড়ে যে অবস্থানে এসেছে, মানুষ মনে করে, পুলিশ এখনো অস্থিতিশীল এবং নিষ্ক্রিয় অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাই ছোটখাটো অপরাধের শিকার হলে অভিযোগ কিংবা মামলা করতে যাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। এ কারণে মামলার সংখ্যা কিছুটা কমেছে।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য মতে, গত ১১ মাসে (জানুয়ারি-নভেম্বর) পুলিশের আটটি মহানগর এবং ৯টি রেঞ্জের অধীনে মোট মামলা হয়েছে এক লাখ ৫৮ হাজার ৪৮৪টি। এর মধ্যে প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) এক লাখ ১০ হাজার ২১৭টি এবং পরের চার মাসে (আগস্ট-নভেম্বর) ৪৮ হাজার ১৬৭টি মামলা হয়। সেই হিসাবে প্রথম সাত মাসের তুলনায় গত চার মাসে মামলা কমেছে প্রতি মাসে গড়ে তিন হাজার ৭০৫টি। মামলাগুলোর মধ্যে মহানগর পুলিশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে ডিএমপিতে ১৬ হাজার ৪৬৭টি ও রেঞ্জ পুলিশের মধ্যে ঢাকা রেঞ্জে ২৫ হাজার ১৩০টি ও চট্টগ্রাম রেঞ্জে ২৩ হাজার ২৯০টি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা রেঞ্জের মোট মামলার মধ্যে বছরের প্রথম সাত মাসে ১৭ হাজার ৬২০টি মামলা হয়েছে এবং পরের চার মাসে সাত হাজার ৫১০টি মামলা হয়েছে। সে হিসাবে শেষের চার মাসের হিসাব মতে, প্রতি মাসে গড়ে ৬৩৯টি মামলা কমেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামলা কমে যাওয়ার  বিষয়ে জানতে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এ কে এম আওলাদ হোসেনকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভি করেননি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মওলানা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. উমর ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, মানুষ পুলিশের কাছে আগের মতো কাজের  আস্থা পাচ্ছে না। কারণ পুলিশ নিজেই আস্থার সংকটে ভুগছে। এ পরিস্থিতিতে মামলা ও অভিযোগের সংখ্যা আগের চেয়ে কমেছে বলে মনে হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে এমন কঠিন জনরোষের শিকার আর কখনো হতে হয়নি। তাই সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারণীদের উচিত হবে, দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশকে সুসংগঠিত করে মনোবল ফিরিয়ে আনা এবং সেবার মাধ্যমে জনগণের কাছে বাহিনীটিকে গ্রহণযোগ্য করে তোলা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>