<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চীনে এবার হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) নামের একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। করোনাভাইরাস মহামারির পর এইচএমপিভি নতুন করে স্বাস্থ্য সংকটের ঝুঁকি তৈরি করেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর বিভিন্ন পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, এইচএমপিভি আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এইচএমপিভি আক্রান্ত হলে ফ্লুর মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে এবং গুরুতর শ্বাসকষ্টও হতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও দুর্বলরা এইচএমপিভি আক্রান্ত হলে ঝুঁকি বেশি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চিকিৎসকরা বলছেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শ্বাসযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সিডিসির মতে, সব বয়সীরাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। ভাইরাসটি ২০০১ সালে প্রথম শনাক্ত হয়। যাদের ইমিউন সিস্টেম ভালো, তারাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। এইচএমপিভির লক্ষণগুলো ফ্লু এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতো। সাধারণত কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কেউ আক্রান্ত হলে অন্তত তিন থেকে ছয় দিন অসুস্থ থাকে। তবে সংক্রমণের মাত্রা তীব্র হলে শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যান্য ভাইরাসের মতো এটিও হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে। এ ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও এটি ঘটতে পারে। শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ঝুঁকি বেশি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভাইরাসটি থেকে রক্ষা পেতে হলে নিয়মিত হাত সাবান কিংবা হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করে পানি দিয়ে ধুতে হবে। নাক, মুখ ও চোখ স্পর্শ করা এড়াতে হবে। অসুস্থদের থেকে দূরত্ব রাখতে হবে। ব্যবহৃত স্থান পরিষ্কার রাখতে হবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যারা এইচএমপিভি বা সাধারণ সর্দি-কাশির উপসর্গে ভুগছেন, তাঁরা সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে সাহায্য করতে পারেন। হাঁচি ও কাশি দেওয়ার সময় মুখ ঢাকতে হবে। এ ছাড়া মাস্ক ব্যবহার করে চলাচল করতে হবে। একে অন্যের ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার না করাই ভালো। পারতপক্ষে বাড়ির বাইরে না যাওয়া। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ সেবন করতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">করোনাভাইরাসের সঙ্গে এইচএমপিভির সাদৃশ্য রয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি হয়; যেমন কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট। সূত্র : এনডিটিভি</span></span></span></span></span></p>