<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সার, তেল, কীটনাশক বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির পরে এবার শীতকালীন সবজি উৎপাদনে খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। কিন্তু হঠাৎ দাম কমে গেছে অস্বাভাবিকভাবে। আগে ৩০০-৪০০ টাকার বাজার করলেও যেখানে ব্যাগ ভরত না,  সেই ব্যাগ এখন ১০০ টাকার বাজার করলেই ভরে যাচ্ছে বলে সাধারণ ক্রেতারা খুশি। ক্রেতাদের স্বস্তি মিললেও এই বাজারে কৃষকের লোকসান গুনতে হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রায় সব এলাকার সবজি একসঙ্গে বাজারজাত হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সবাই একই সময় না লাগিয়ে পর্যায়ক্রমে আগ-পিছ করে সবজির আবাদ করলে এমন লোকসান হয় না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের বিভিন্ন এলাকার সবজি বাজারের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কালের কণ্ঠর নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুর : কয়েক দিন আগেও রংপুরের বাজারে ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রয় হতো ৫০ টাকা কেজি দরে। এখন সেই ফুলকপি ও বাঁধাকপি পাঁচ টাকা কেজি। গতকাল শুক্রবার বিকেলে রংপুর সিটি বাজার, ধাপবাজার, কামালকাছনা বাজার, লালবাগ, চকবাজার ও মডার্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাঁধাকপি ও ফুলকপি পাঁচ থেকে ১০ টাকায় প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ১০ টাকা, শিম ২০ টাকা ও মুলা ১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া কাঁচা মরিচের দাম ৮০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা কেজিতে নেমেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর গ্রামের জামান উদ্দিন জানান, দুই বিঘা জমিতে বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ করে এবার লোকসান গুনতে হচ্ছে, যা খরচ হয়েছে সেই টাকাও পাওয়া যাবে না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাঘা (রাজশাহী) : গতকাল বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় আলু ৪৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মুলা পাঁচ থেকে ১০ টাকা, বেগুন ১৫ থেকে ২০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, শিম ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি পিস ফুলকপি পাঁচ থেকে ১০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা এবং প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাঘা পৌর বাজারে সবজি কিনতে আসা আবুল বাশার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কয়েক দিন আগেও আলু ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় কিনতাম, সেই আলু এখন ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় পাচ্ছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আটো ভ্যান চালক আক্কেল আলী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সারা দিনে যা উপার্জন করি, তা চাল-ডাল কিনতেই শেষ হয়ে যায়। এখন সবজির দাম কম হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজারে ফুলকপি বিক্রি করতে আসা এক কৃষক জানান, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যেভাবে সবজির দাম কমে গেছে, তাতে আমাদের পরিবহন খরচ নিজের পকেট থেকেই দিতে হবে। সরকার একটা ব্যবস্থা না নিলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) : ক্রেতা কম থাকায় অধিকাংশ সবজিই নষ্ট হচ্ছে জমিতে। নাপিতখালী গ্রামের সবজিচাষি খালিদ হাসান জানান, তিনি দেড় বিঘা জমিতে ফুলকপির আবাদ করেছেন। এতে তাঁর চারা, সেচ, সার, বালাইনাশক ও শ্রমিক দিয়ে খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। বর্তমান বাজারে তাঁর দেড় বিঘায় চাষ করা কপি বিক্রি হবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায়। আগামীতে তিনি আর এই সবজি চাষ করবেন না। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য লুত্ফর রহমান বলেন, দেড় বিঘা জমিতে ৫৫ হাজার টাকা খরচ করে ফুলকপি ও বাঁধাকপির আবাদ করেছিলাম। ফলনও খুবই ভালো হয়েছে। প্রথমদিকে বাজারদর ভালো ছিল। সপ্তাহখানেক আগে এক সবজি ব্যবসায়ীর নিকট এক লাখ টাকা দাম করে ক্ষেত বিক্রি করি। ব্যাপারী ২৮ হাজার টাকা বায়নাও করেন। হঠাৎ বাজারদর একেবারে কমে যাওয়ায় তিনি আর কপি নিচ্ছেন না। এখন বায়নার টাকা ফেরত চাইছেন। বায়নাকৃত ২৮ হাজার টাকায় ক্ষেতের সব মাল নিতে বললেও তিনি রাজি হননি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চরফ্যাশন (ভোলা) : বাজারগুলোতে মুলার হালি বিক্রি হচ্ছে এক থেকে দুই টাকায়, কাঁচা মরিচের কেজি হচ্ছে মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকা। এভাবে বেগুন ১০ থেকে ১২ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আসলামপুরের কৃষক ইউসুফ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক থেকে দেড় মাস আগে সিম পাইকারি দিয়েছি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এখন পাইকারি বিক্রি করছি ১৮ থেকে ২০ টাকায়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আড়তদার জানান, মরিচের কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা। তাও বিক্রি করতে পারছি না। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>