<p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বেকারত্বের হার খুব বেশি বাড়াতে পারবে না, যেমনটা পারবে বলে ধারণা প্রচার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হোয়ার্টনস ম্যাক ইনস্টিটিউট ফর ইনোভেশন ম্যানেজমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ভ্যালেরি ইয়াকোভোবিচ আশার বাণী শুনিয়ে বলেন, মানুষের উদ্ভাবনী মেধা এতটাই প্রখর যে কর্মক্ষেত্র থেকে শ্রমিকদের হটিয়ে দেওয়া রীতিমতো অসম্ভব ব্যাপার। তিনি বলেন, শ্রমিকসমাজের মোটেও ভয় পাওয়া উচিত হবে না যে এআই একদিন তাদের পুরোপুরি বেকার বানিয়ে ফেলবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হোয়ার্টন বিশেষজ্ঞ ভ্যালেরি ইয়াকোভোবিচ, পিটার কাপেলি ও প্রসন্ন টাম্বে বিশ্বাস করেন, এআই কিছু শ্রমিককে বেকার বানাতে পারলেও সব ধরনের কাজ থেকে শ্রমিক হটাতে পারবে না। বরং এআই শ্রমিকদের জন্য অনেক ধরনের পেশাদার কর্ম তৈরি করে দেবে। তাঁরা বলেন, ধরে নেওয়া হয়, তত্ত্বে যা সম্ভব বলে প্রতীয়মান হয়, সেটা বাস্তবেও সম্ভব। কিন্তু এই ধারণায় বড় ধরনের একটা ফাঁক রয়ে গেছে। আধুনিক কাজ বেশ জটিল। এসব জটিল কাজের সব কিছুতে এআই মানুষের মতো দক্ষ হতে পারবে না। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, একজন মানুষ যতটা দক্ষতার সঙ্গে কোনো টেক্সটের অর্থবহ সারাংশ তৈরি করতে পারবে, এআই নিজেই প্রগ্রামড হওয়ার কারণে ততটা দক্ষতা দেখাতে পারবে না। অথবা কোনো কোনো কাজের ফল মানুষ যতটা দক্ষতায় নির্ণয় করতে পারবে, এআই চাইলেও তা এতটা সহজে করতে পারবে না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাঁরা বলেন, এআই নিমেষেই তথ্যের পাহাড় যাচাই করতে পারবে। কিন্তু তাতে ভুল তথ্য থাকলে সেটা শনাক্ত করতে নতুন সিদ্ধান্তে সহজেই উপনীত হওয়া কঠিন। এটাই এআই হ্যালুসিনেশন নামে পরিচিত।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দাপ্তরিক সব কাজে এআই বড়মাপের দক্ষতা দেখাতে পারছে না। বিশেষ করে কাস্টমারের সঙ্গে অনলাইনে অর্থবহ যোগাযোগ, প্রতিবেদন তৈরি, প্রেস রিলিজ তৈরিতে এআই তেমন কোনো সৃষ্টিশীলতা দেখাতে পারছে না। অফিসে অনেক কাজ ইনফরমাল যোগাযোগের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, যা মানুষ সহজেই করতে পারে। আবার অনেক সাংগঠনিক জ্ঞান রয়েছে, যেগুলোর প্রায়োগিক কোনো মূল্য নেই। অন্যদিকে রাজনৈতিক ইস্যুগুলোতে এআইকে মোটেও জড়াতে চান না মালিকরা। বিশেষ করে আইনি ঝামেলা রয়েছে, এমন ইস্যুগুলো থেকে তাঁরা এআইকে দূরে রাখেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গবেষকরা বলেন, মানুষ যদি চায় সব কাজ সুচারুরূপে সম্পন্ন হোক, তাহলে এআই সম্পাদিত কাজ থেকেও ভবিষ্যতে অজস্র কাজ পয়দা হবে, যা সম্পাদন করতে মানুষই ব্যবহৃত হবে। সূত্র : ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল</span></span></p>