ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র সমীপে

notdefined
notdefined
শেয়ার
বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র সমীপে

বাংলাদেশ টেলিভিশনের চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বর্ধিত তিন ঘণ্টা সময়ের অধিবেশনের শুরুতে আধা ঘণ্টা, অধিবেশনের শেষ পর্যায়ে আধা ঘণ্টা—এভাবে মোট এক ঘণ্টা বরাদ্দ থাকে ঢাকা কেন্দ্রের সংবাদ প্রচারের জন্য। সংবাদ প্রচারে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু ঢাকা কেন্দ্রের অনুষ্ঠান আমরা সেই চ্যানেলে গেলেই দেখতে পাই, তাহলে কেন নাটকসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান সেখান থেকে নিয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে সম্প্রচার করা হয়? চট্টগ্রাম কেন্দ্রের আর্কাইভে এমন অনেক আকর্ষণীয় বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান রয়েছে, যা ঢাকা কেন্দ্রের অনুষ্ঠানকেও হার মানায়। চট্টগ্রাম কেন্দ্রের দুর্দান্ত অনুষ্ঠান নির্মাণের সক্ষমতা রয়েছে।

প্রয়োজনীয় অনুষ্ঠান নির্মাণ করলে অনুষ্ঠান স্বল্পতা থাকার কথা নয়। ঢাকা থেকে এনে অনুষ্ঠান সম্প্র্রচার করা মানে চট্টগ্রামের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা; চট্টগ্রাম অঞ্চলকে তুলে ধরার সুযোগ ও অধিবেশনের সময় নষ্ট করা। চট্টগ্রামে নাট্যগোষ্ঠী প্রচুর, তাদের সুযোগ দিন। এখনো টেলিফোনে দর্শকদের সরাসরি অংশগ্রহণে শিল্পীদের নিয়ে গান, ডাক্তারকে নিয়ে রোগ জিজ্ঞাসা শুরু করা যায়নি।
ঢাকা থেকে এত সংবাদ প্রচারের পরও কোন যুক্তিতে সেই সংবাদগুলো আবার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদে দেখানো হয়?

জি এন সিদ্দিকী রুমী, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পরিবেশ ধ্বংস করছে প্লাস্টিক

শেয়ার
পরিবেশ ধ্বংস করছে প্লাস্টিক

নানা সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে মানুষ বিভিন্ন ধরনের পার্টি আয়োজন করে। সেসব পার্টিতে প্লাস্টিকের প্লেট, প্লাস্টিকের গ্লাস, পলিথিন ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হয়। বাড়িঘরের আশপাশে বা পথ চলতেও মানুষ যেখানে-সেখানে ব্যবহৃত প্লাস্টিক ফেলে দেয়। অথচ এই প্লাস্টিক পরিবেশের ক্ষতি করছে।

আপনি কি জানেন, আপনি নিজের অজান্তে কিভাবে পরিবেশ ধ্বংস করার মিছিলে যোগ দিয়েছেন। অথচ একটু সচেতন হলেই আমরা পরিবেশের ক্ষতি রোধ করতে পারি। প্লাস্টিকের জিনিসগুলো ব্যবহারের পর ডাস্টবিনে কিংবা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলুন, যেখান থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেগুলো সংগ্রহ করতে পারেন। সে রকম জায়গা না থাকলে সামান্য কষ্ট করে সেগুলো সঙ্গে নিয়ে যান, যেখানে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা আছে সেই জায়গা পর্যন্ত।
নাসিরনগর ও সরাইলের মধ্যবর্তী হাওরাঞ্চলে প্রায়ই নানা ধরনের পার্টি হয় এবং প্লাস্টিক দূষণের কাজটি নিয়মিত চলতে থাকে, যা ফসলি জমি ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

শুধু হাওর নয়, সরাইল থেকে নাসিরনগরের যে আঞ্চলিক মহাসড়ক আছে, সেটিতেও প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। বিশেষ করে কালিকচ্ছের বাসাবাড়ির, পোলট্রি ফার্মের ড্রেসিং করা বর্জ্য, পলিথিনে ভরা আবর্জনাগুলো রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, যে কারণে নাসিরনগরগামী মানুষের প্রচুর সমস্যা হচ্ছে। কারণ এসব ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে পরিবেশ তো নষ্ট হচ্ছেই, এর সঙ্গে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

আসুন, সবাই মিলে পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক বর্জন করি এবং আমাদের চারপাশ সবুজ ও পরিচ্ছন্ন রাখি।

শাহরিয়ার কাসেম

বুড়িশ্বর, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

নদী রক্ষা করতে হবে

শেয়ার
নদী রক্ষা করতে হবে

সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা আমাদের এই জন্মভূমি। বাংলার যেদিকে তাকাই, সেদিকেই সবুজ আর সবুজ। এ যেন সৃষ্টিকর্তার নিজের হাতে সাজানো সবুজের ফুলঝুরি। বাংলাদেশের এই সবুজ প্রকৃতির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে এ দেশের নদ-নদীগুলো।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব বলছে, এ পর্যন্ত হারিয়ে গেছে আট হাজার খাল-বিল। দখল-দূষণ ও ভাঙনের কারণে জীবিকা হারিয়ে প্রতিবছর বাস্তুচ্যুত ও অভিবাসী হচ্ছে পাঁচ লাখ মানুষ, যারা প্রবেশ করছে ঢাকা ও অন্যান্য শহরে। চরাঞ্চলে বসবাসরত এক কোটি মানুষের জীবন-জীবিকাও হুমকির সম্মুখীন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশে এক হাজার ৭৪০টি নদীর অস্তিত্ব ছিল।

নদী রক্ষা কমিশনের হিসাবে বর্তমানে ৭২০টি নদীর অস্তিত্ব রয়েছে, যেগুলোর বেশির ভাগ দখল-দূষণে জর্জরিত, সঙ্গে মৃতবৎ।

নদীভাঙনের ফলে নদী এলাকার লোকজনের দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। দারিদ্র্যের শর্ত হলো তাদের সম্পদ ধ্বংস। নদীভাঙনের ফলে তাদের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যায়।

জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। গ্রামের লোকজন শহরমুখী হয়ে যায়। উৎপাদন হ্রাস পায়। এটির ফলে খাদ্যসংকট দেখা দেয়। নদীভাঙনের ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়।
কারণ ওই এলাকায় তখন কোনো পণ্য উৎপাদিত হয় না। ফলে চাহিদা বেড়ে যায়। অপরাধ বেড়ে যায়। অপরাধবিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞদের মতে, চরাঞ্চলের লোকজন সাধারণত কলহে বেশি লিপ্ত থাকে। তাই সেখানে অপরাধ বৃদ্ধি পায়। রোগব্যাধি বৃদ্ধি, সামাজিক বন্ধন হ্রাস, পুষ্টিহীনতার মতো সমস্যা তৈরি হয়। এসব সমস্যার মূল উৎস নদীর নাব্যতা কমে যাওয়া এবং চরাঞ্চলের মানুষের বেকারত্ব।

আমাদের সবাইকে নদীভাঙন রোধ করতে হবে, সচেতন হতে হবে, নদীতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে, যাতে নদীর নাব্যতা কমে না যায়; নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পায়। বিবিসির সমীক্ষায় বাংলাদেশের ৪৩৫টি নদী হুমকির মুখে। ৫০ থেকে ৮০টি নদী বিপন্নতার শেষ প্রান্তে। গবেষকদের মতে, এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ২০৫০ সালের মধ্যে যদি আমরা নদীদূষণ রোধ এবং নদীর নাব্যতা সংকট দূর করতে না পারি, তবে আমাদের জন্য ভয়ানক কিছু অপেক্ষা করছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর, সুস্থ জীবনের জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।

ফাহমিদা জামান

শিক্ষার্থী, সরকারি মহিলা কলেজ, চট্টগ্রাম

 

মন্তব্য

চালকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা উচিত

শেয়ার
চালকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা উচিত

ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য দায়িত্ব পাওয়া শিক্ষার্থীদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা উচিত তারা চালকদের সঙ্গে কেমন আচরণ করবে। কিছু জায়গায় কিছু শিক্ষার্থীকে দেখেছি, তারা চালকদের সঙ্গে অনেক খারাপ আচরণ করে। ছোট মানুষ হয়ে তার বাবার বয়সী চালকদের সঙ্গে সম্মানের সঙ্গে কথা বলা উচিত। অনেক শিক্ষার্থী যা করে না, কেউ কেউ পুলিশের কটি গায়ে দিয়ে নিজেকে অনেক কিছু মনে করে।

নাবালক শিশুরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পেয়ে কোথাও চালকদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করে, যেন গাড়িচালক দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীর মতো অপরাধ করে ফেলেছেন। অনেক চালক ছোট মানুষের দুর্ব্যবহার মেনে নিতে পারেন না। তাই তাদের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে পড়েন।

কথাগুলো আমি কোনো ক্ষোভ থেকে বলছি না।

শুধু অসংগতিটা তুলে ধরলাম। আশা করি, পুলিশের দায়িত্বশীলরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন। ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীদের ধৈর্যশীল হতে হবে।

 সোহরাব হোসেন

দক্ষিণখান, ঢাকা

 

মন্তব্য

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করুন

শেয়ার
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করুন

গ্রীষ্ম আসছে। প্রকৃতির উত্তাপ যেন ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে বাতাসে। বাংলাদেশে এই সময়টাতে তাপমাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ে, আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে বিদ্যুতের চাহিদা। অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, এই মৌসুমে লোডশেডিং এক অনিবার্য দুর্ভোগ হয়ে দাঁড়ায়।

দুপুর গড়ানোর আগেই শুরু হয় বিদ্যুিবভ্রাট। ফ্যান স্তব্ধ, হাসপাতালের ওয়ার্ডে অসুস্থ রোগীর নিঃশ্বাস ভারী হয়ে ওঠে। কৃষকের সেচযন্ত্র থেমে যায়, কারখানার চাকা বন্ধ হয়ে পড়ে। বিদ্যুতের এই অপ্রতুলতা শুধুই অন্ধকার ডেকে আনে না, এটি জীবনযাত্রাকে স্তব্ধ করে দেয়।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ শুধু জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য নয়, এটি অর্থনীতির চাকা সচল রাখারও অন্যতম চালিকাশক্তি। এটি দেশের প্রাণস্পন্দন। দেশ ও জাতির স্বার্থে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। বিদ্যুৎ সরবরাহে সামান্যতম ব্যত্যয়ে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হবে, পাশাপাশি অর্থনীতিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাই গ্রীষ্মকাল শুরুর আগেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রজ্ঞা দাস

শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ