দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তা পরীক্ষার আগে সরবরাহ করার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে এস এম আনিস নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগ। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর মনিপুরীপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের সময় চলতি বছরের পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড, আগের বছরে অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের শতাধিক চেক, পুলিশ কনস্টেবল প্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড, বিভিন্ন লিখিত ও অলিখিত নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, একাধিক প্যাড, পাঁচটি ডিজিটাল ও সনাতন স্ট্যাম্প-সিল এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গোয়েন্দা পুলিশের দাবি, প্রশ্ন ফাঁস করার সক্ষমতা তাঁর নেই। মূলত প্রশ্ন ফাঁসের প্রলোভনে তিনি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেক মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ছাড়াও বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় দালালি অথবা প্রতারণা বাণিজ্য করে এস এম আনিস এরই মধ্যে দুটি হোটেল এবং মনিপুরীপাড়ায় একটা বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন।
গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, আনিস এসএসসি পাস করে কিছুদিন জুট মিলে কাজ করেন।
পরে বিভিন্ন কাপড়ের ফ্যাক্টরিতে কাজ করেছেন। ২০১০ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি ফরম কেনাবেচা শুরু করেন। পরে নিজে ‘ফ্রেন্ডস অ্যাডমিশন কনসালট্যান্ট’ খুলে বসেন।
গ্রেপ্তার এস এম আনিস প্রাথমিক জিজ্ঞাসাদে ডিবিকে জানিয়েছেন, তিনি একটি চক্রের সদস্য।
এতে তাঁকে সহযোগিতা করতেন সাবেক এক অতিরিক্ত সচিব। আনিসের সঙ্গে সেই আমলার কথোপকথনের প্রমাণও পেয়েছেন তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তদন্তের স্বার্থে অতিরিক্ত সচিবের নাম প্রকাশ করেননি তাঁরা। এ বিষয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আনিসের নেতৃত্বাধীন এই চক্রে অবসরে যাওয়া বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং কোচিং সেন্টারের কিছু লোকজনের নাম এসেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি।’