বাগেরহাটের রামপালে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বড় দুর্গাপুর পুটিয়ামারি গ্রামের একটি মৎস্যঘেরে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় মেয়েটির মামা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলার অন্য আসামি পলাতক রয়েছেন।
গতকাল শনিবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন রামপাল উপজেলার পাড়গোবিন্দপুর গ্রামের শেখ রাসেল (২৬) এবং কালেখার গ্রামের রাকিব হোসেন সজল (২৫)। ভুক্তভোগী মেয়েটির পরিবারের বরাত দিয়ে রামপাল থানার ওসি এস এম আশরাফুল আলম বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী রামপাল উপজেলার ফয়লাহাট দরবেশ মার্কেট এলাকায় প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। হঠাৎ করে মেয়েটি অসুস্থ বোধ করলে সে প্রাইভেট পড়তে না গিয়ে পাশের কিসমত ঝনঝনিয়া গ্রামের মামার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়।
পথিমধ্যে রনসেন মোড়ে পৌঁছলে শেখ রহমত ও শেখ রাসেল নামের দুই যুবক মেয়েটিকে একটি মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে বড় দুর্গাপুর পুটিয়ামারি গ্রামের একটি মৎস্যঘেরের টংঘরে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে রাকিব হোসেন সজল অপেক্ষা করছিল। এরপর ওই তিন যুবক মিলে মেয়েটির ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে তারা অটোরিকশায় করে মেয়েটিকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় মেয়েটির মামা বাদী হয়ে ওই তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন।’
ওসি এস এম আশরাফুল আলম বলেন, ‘ওই স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে শেখ রাসেল ও রাকিব হোসেন সজল নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। অন্য আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী মেয়েটিকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
’