<p>বাংলাদেশের প্রস্তাবের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজত জয়ন্তী উদযাপনের অনুমোদন দিয়েছে জাতিসংঘ। এই অনুমোদনের ফলে আগামী বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকোর সদর দপ্তর, আঞ্চলিক ও স্থানীয় দপ্তরগুলোতে দিবসটির রজত জয়ন্তী উদযাপন<br /> করা হবে।</p> <p>গত শুক্রবার ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেসকোর সদর দপ্তরে চলমান নির্বাহী পর্ষদের ২১৯তম সভায় এই প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে অনুমোদিত হয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজত জয়ন্তী উদযাপনে বাংলাদেশের উত্থাপিত প্রস্তাব সমর্থন করেছে ৬৪টি সদস্য রাষ্ট্র। ফ্রান্সে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও প্রচার কার্যক্রমকে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের অন্যতম নিয়ামক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের দায়িত্বশীল ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছে ইউনেসকোর নির্বাহী পর্ষদ। এ সময় ভাষার সর্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং প্রতিবন্ধকতা নিরসনের লক্ষ্যে ইশারা ভাষাগুলোকে মাতৃভাষার সমান গুরুত্ব ও সম্মানের সঙ্গে সংরক্ষণের প্রতি আহবান জানানো হয়। এ ছাড়া সংস্থাটি সব সদস্য রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজত জয়ন্তী উদযাপনের অনুরোধ জানিয়েছে।</p> <p>প্রস্তাব অনুমোদনের পর ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউনেসকোর স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা ইউনেসকোর সব সদস্য রাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ইশারা ভাষাকে মাতৃভাষার সমান গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমে ভাষাকে সর্বজনীন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। সভা শেষে সাংবাদিকদের খন্দকার এম তালহা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাতৃভাষা ও ইশারা ভাষার সংরক্ষণ, প্রচার ও প্রসারে অগ্রণী ভূমিকার আরেকটি স্বীকৃতি অর্জিত হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী বছর মাতৃভাষা সংরক্ষণে দেশে-বিদেশে বড় পরিসরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে আশা করি। বৈশ্বিক এই উদযাপন বাংলাদেশের জনকূটনীতির জন্য একটি অনন্য সাফল্য। এটি হলো বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগের মহান ইতিহাস বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার এক সুবর্ণ সুযোগ।’ ১৯৯৯ সালে ইউনেসকোর ৩০তম সাধারণ পরিষদের সভায় ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।</p>