<p>দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না পাওয়া পর্যন্ত বিএনপিকে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শুক্রবার রাজধানী ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনাসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।</p> <p>মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেই কাজ শেষ হয়ে যাবে—এমনটা ভাবার অবকাশ নেই। এই নির্বাচনের পর আরো বহু দিন, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা একটা গণতন্ত্র সংস্কৃতিতে পরিণত করতে পারব, এটা একটা ব্যবস্থা হয়ে দাঁড়াবে, ওই জায়গায় আমাদের পৌঁছতে হবে।’</p> <p>ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়ে সক্রিয় রয়েছেন। তারা (আওয়ামী লীগ) অনেক অপপ্রচার করছে, যেগুলো বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের। তাই আপনাদের গণতন্ত্রের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভেতর দিয়ে, কথার মধ্য দিয়ে জবাব দিতে হবে।’</p> <p>‘গণতন্ত্র একটা কথার কথা নয়’ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটি একটি সংস্কৃতি। আপনি-আমি কিভাবে কথা বলব, আমি আমার প্রতিবেশীর সঙ্গে কিভাবে কথা বলব, আমার রাজনীতির প্রতিপক্ষের সঙ্গে কিভাবে কথা বলব—সে বিষয়গুলো আমাদের গণতন্ত্রের ভেতর দিয়ে শিখতে হবে। গণতন্ত্র মানে এই নয় যে আওয়ামী লীগ করলে তাকে গলা কেটে ফেলো আর বিএনপি করলে তার মুণ্ডু ছেদ করো। গণতন্ত্র হচ্ছে পরমতসহিষ্ণুতা।’</p> <p>রাজনৈতিক দল নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের দেওয়া বক্তব্যকে ‘মারাত্মক উক্তি’ মন্তব্য করে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘একজন উপদেষ্টা যখন এই কথা বলেন যে রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য কাজ করছে—এটা অত্যন্ত ঘোরতর অভিযোগ। আমি তীব্রভাবে এর নিন্দা জানাচ্ছি।’ সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘দয়া করে রাজনৈতিক দলগুলোকে বা রাজনীতিকে আপনাদের প্রতিপক্ষ বানাবেন না।’</p> <p>ফখরুল বলেন, ‘কেন জানি একটা প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে যে একাত্তরকে একটু পেছনে রাখা। আমার মনে হয়, এটা আরেকটি ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ যে মূল ইতিহাস থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া। বিষয়টিতে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’</p> <p>সভায় প্রধান অতিথি খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার, আমরা চাই—সরকার সেটা বাস্তবায়ন করুক। নির্বাচন বিলম্বিত হলে সরকারের জন্য খারাপ খবর নিয়ে আসবে, জনগণও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ জন্য দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দেন।’</p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>