<p>রাজধানীর শেরেবাংলা থানায় মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যা মামলায় ১২ জনের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তবে তাদের মধ্যে ছয়জনের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় ছয়জনকে অব্যাহতির সুপারিশ ও ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়েছে। এ ছাড়া সাক্ষ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় আরো ছয়জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে ঘটনার ১০ বছর পর গত ৫ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার কে এম আবুল কাশেম ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গতকাল রবিবার আদালতের শেরেবাংলানগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।</p> <p>অভিযুক্ত আসামিরা হলেন—হাদিসুর রহমান ওরফে সাগর ওরফে জুলফিকার ওরফে সাদ বিন আবু ওয়াক্কাস ওরফে আবু আল বাঙ্গালী ওরফে আব্দুল্লাহ স্যার ওরফে তৌফিক আমজাদ (৩৫), আব্দুল্লাহ আল তাসনিম নাহিদ (৩৫), রফিকুল ইসলাম ফারদীন (৩১), আবু রায়হান মাহমুদ আব্দুল হাদী (২৫), মাহমুদ ইবনে বাশার (৩২), রতন চৌধুরী ওরফে ইঞ্জিনিয়ার রিপন ওরফে রাকিবুল ইসলাম রিয়াজ (৩৩)। এর মধ্যে আসামি মাহমুদ ইবনে বাশার, আবু রায়হান ও রফিকুল ইসলাম রুবেল পলাতক। অপরদিকে জামাই ফারুক, নাঈম, ইমন, হাফেজ কবির আশফাক ই আজমদ ও খোরশেদ আলমদের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হলেও তাদের পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা না পাওয়ায় অব্যাহতি প্রদানের আবেদন করা হয়েছে। তবে একই ঘটনায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের পক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার করা পিটিশন মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় ইসলামী বক্তা তারেক মনোয়ারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ছয়জন উপস্থাপককে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। অন্যরা হলেন—মুফতি কাজী মো. ইব্রাহীম, কামাল উদ্দিন জাফরী, আরকানুল্লাহ হারুনী, খালেদ সাইফুল্লাহ বখশী ও মুখতার আহম্মদ।</p> <p> </p> <p> </p>