<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২৩ সালের জুনে ভাটারা থানাধীন এলাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ড্রিমার্স একাডেমির কর্মকর্তার বাসায় অভিযানে যায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল। এই অভিযানের পর ডাকাতির অভিযোগে ওই বাসার আনোয়ার নামের একজন মামলা করেন। মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী উপপরিদর্শক আবদুল হামিদসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে দেড় বছর পর তদন্তে অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় ডিবি পুলিশ। এতে অধিদপ্তরের পরিদর্শক ও সহকারী উপপরিদর্শকসহ আটজনকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, বাদীর তথ্যগত ভুলে এই মামলা হয়েছে। ডাকাতির কোনো অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তাঁরা আইনসিদ্ধভাবে ওই বাসায় অভিযান চালিয়েছেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মো. শাখাওয়াত হোসেন আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে গত ২৪ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ওই দিন বিচারক এই প্রতিবেদনের বিষয়ে মামলার বাদীকে নোটিশ দিয়েছেন। আসামিরা হলেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোফাজ্জল হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক মো. আব্দুল হামিদ, সিপাহি মো. আল আমিন, সিপাহি মো. শাকিল হোসেন, সিপাহি মো. শাহরিয়ার হোসেন, সোর্স দেলোয়ার হোসেন, সোর্স জসিম উদ্দিন ও গাড়িচালক জাহিদ হাসান। এর মধ্যে মোফাজ্জল পলাতক রয়েছেন। অপর আসামিরা জামিনে রয়েছেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী তদন্তে সন্দিগ্ধ আসামীরা সঠিক প্রক্রিয়া অবলম্বন করেন। মামলার তদন্তে সন্দিগ্ধ আসামি মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. জসিম উদ্দিন ও মো. জাহিদ হাসান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাঁদের জবানবন্দি বিশ্লেষণ এবং পারিপার্শ্বিক তদন্তে ঘটনার সঙ্গে জবানবন্দির অনেক গরমিল পাওয়া গেছে। তদন্তকালে আসামিদের টাকা দাবি ও টাকা প্রদানের বিষয়টির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। গ্রেপ্তার ও পলাতক আসামিরা বৈধ প্রক্রিয়ায় মামলার ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করলেও বাদীর ভুল তথ্যের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা ১৭১/৩৯৫ ধারার অপরাধের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। অহেতুক মামলার তদন্ত দীর্ঘায়িত করার কোনো যৌক্তিকতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৬ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে অফিস থেকে বাসায় ফেরেন ওয়াসে আনোয়ার। ১০ মিনিট পর দরজায় শব্দ পান। তখন তিনি দরজা খুলে বাসার দারোয়ান লোকমানসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো সাত থেকে আটজন লোক দেখতে পান। এ সময় তিনজনের গায়ে পুলিশের পোশাক ও অন্যরা সাধারণ পোশাকে ছিল। পুলিশের পোশাক পরা তিনজনের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তখন বাদী আনোয়ার বুঝে ওঠার আগেই তাঁরা বাসার ভেতরে ঢুকে যান। বাসায় ঢুকে তাঁরা আনোয়ারের কাছে জানতে চান, তাঁর নাম ইভান কি না? জবাবে আনোয়ার বলেন, তাঁর নাম ইভান নয়। তখন তাঁরা আনোয়ারের বাসায় তল্লাশি চালান। এক পর্যায়ে কক্ষের ভেতর একটি খালি কাচের বোতল পান। দাবি করেন, এটা মদের বোতল। তখন হামিদের সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাঁরা বলতে থাকেন, আনোয়ার বাড়িতে বসে মদ পান করেন। জবাবে আনোয়ার বলেন, তিনি মদ পান করেন না। পরে অস্ত্রের মুখে আনোয়ারকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা আনোয়ারকে বলেন, দেড় লাখ টাকা দিলে ঘটনাটি গোপন করা হবে, তা না হলে মাদকের মামলা দেওয়া হবে। টাকা দিতে পারবেন না বললে হামিদ ও তাঁর সহযোগীরা আনোয়ারের মানিব্যাগ ও ল্যাপটপের ব্যাগে থাকা ২৩ হাজার টাকা নিয়ে চলে যান।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>