<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খুলনা ও রংপুরের হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি। খুলনা ও রংপুর অফিস থেকে পাঠানো খবর :</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খুলনা : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দাকোপ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ছয় মাসের পুত্রসন্তান নিয়ে খুলনা শিশু হাসপাতালে এসেছেন মো. ডালিম। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত সিয়াম নামের ওই শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালের পুরনো ভবনের তৃতীয় তলায় রেখে। নানির কোলে ফুটফুটে সিয়ামের মধ্যে এখন কিছুটা স্বস্তির ভাব দেখা গেছে। হাতে ক্যানুলা পরা অস্থায়ও তার দুষ্টুমি থেমে নেই। সিয়ামের মতো আরো অনেক শিশু এখন হাসপাতালে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে শুধু শিশু হাসপাতালেই নয়, খুলনার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল এখন রোগী দিয়ে কানায় কানায় পূর্ণ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে তিন মাস বয়সী তীর্থ কুণ্ডুকে নিয়ে মা-বাবা ১০ দিন ধরে আছেন। ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা থেকে তাকে আনা হয় এ হাসপাতালে। সিয়ামের মতো তীর্থ কুণ্ডুও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খুমেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ৪৪টি বেডের বিপরীতে রয়েছে ১১১ রোগী। অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে ডাক্তারদের। শিশু ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সৈয়দা রুখশানা পারভীন বলেন, হাসপাতালের অন্যান্য ওয়ার্ডের মতো শিশু ওয়ার্ডেও রয়েছে জনবলসংকট। কিন্তু রোগীর কমতি নেই। গত নভেম্বর মাসে ওই ওয়ার্ডে এক হাজার ৩৫২ জন রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মধ্যে ৯৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ জানান, বিভাগের ১০ জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৬ জন শীতজনিত রোগী ভর্তি হয়। বেশির ভাগই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ডায়রিয়ার ৩১৭ জন এবং শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বা এআরআইয়ের রোগী রয়েছে ১৪৯ জন। আবার শীতজনিত এসব রোগীর মধ্যে ডায়রিয়ায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় কুষ্টিয়া জেলায়, ৬৭ জন। আর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের রোগী বেশি মাগুরা জেলায়, ৩১ জন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুর : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুর</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> অঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। সন্ধ্যার পরপরই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারদিক। এমন আবহাওয়ায় ঠাণ্ডাজনিত কারণে বেড়েছে নানা রোগ, বিশেষ করে কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দিজ্বর, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। রংপুর জেলার প্রায় সব হাসপাতালেরই একই চিত্র।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গিয়ে দেখা গেছে, সকালেই হাসপাতালে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে ভিড় করছেন মা-বাবা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে রোগীর সংখ্যাও।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৯ ও ১০ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে শতাধিক শিশু ভর্তি রয়েছে। কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দিজ্বর, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত তারা, বিশেষ করে কোল্ড ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত এক শিশুর অভিভাবক রহিমা বেগম জানান, তাঁর ছয় মাসের সন্তান নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। দুই দিন আগে খুবই খারাপ অবস্থা ছিল। এখন ভালো অবস্থায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা। গত কয়েক দিনে ৫০ শয্যার গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাই বেশি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. আ ন  ম তানভীর চৌধুরী বলেন, শিশু রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তবে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত শিশুরা সব সময় চিকিৎসা নিলেও এবার কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা বেশি ভর্তি হচ্ছে। রোগ থেকে বাঁচতে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>