হবিগঞ্জের লাখাইয়ে দুই দিনে পৃথক সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ২৫০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এসব ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোট ১৯ জনকে আটক করে। মঙ্গল ও বুধবার এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হবিগঞ্জে দুই দিনে চার সংঘর্ষে দুই খুন, আড়াই শ আহত
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

লাখাই থানার ওসি বন্দে আলী জানান, ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ওই উপজেলার তেঘরিয়া, মুড়িয়াউক এবং জিরুন্ডা গ্রামে এসব সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে আর্মিসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
স্থানীয়রা জানায়, মুড়িয়াউক গ্রামে পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে বিরোধের জেরে মঙ্গলবার কিছু লোক শফিকুর রহমান (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে আহত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় সন্দেহজনক দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
একই দিন তেঘরিয়া গ্রামে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীদের দুটি পক্ষের মধ্যে একটি পুরনো টেলিভিশন বিক্রি করা নিয়ে বিরোধের জেরে কাশেম ও খলিলের পক্ষ সালিস বৈঠকে কাশেমের পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে আটক এবং অর্ধশত দেশি অস্ত্র উদ্ধার করে।
অন্যদিকে বুধবার জিরুন্ডা গ্রামে একে অন্যের চুল লম্বা বা খাটো বলা নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হন।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত টর্চলাইট জ্বালিয়ে বাহুবল উপজেলার মীরপুর এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক লোকজন আহত হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে মাধবপুর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামে ওরস নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নের হায়দারপুর গ্রামে মাসুম মিয়া (২২) নামের এক যুবককে ঘর থেকে ঢেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে লাশ রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। মাসুম মিয়া হায়দারপুর গ্রামের কবির মিয়ার ছেলে। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করে।
সম্পর্কিত খবর

মোহাম্মদপুরে সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তার ১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার এ কে এম মেহেদী হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে শনিবার দিনভর মোহাম্মদপুর ও আদাবরের বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন জাবেদ, রুবেল, মুরাদ, তাহিদুল, মিরাজ, সাম, মুনসুর, আরিফ, মন্টি পাটোয়ারী, জামিল, সজল, শোয়েব, মাহাফুজ, আরিফ ও রাশেদ।

রাজবাড়ীর সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলী রাজধানীতে গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলীকে রাজধানীর মহাখালী থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের অভিযোগে মামলা আছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবিপ্রধান) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, কাজী কেরামত আলীর বিরুদ্ধে ঢাকা ও রাজবাড়ীতে একাধিক মামলা রয়েছে।

‘গরমে সব আদালতে যেন এসি দেওয়া হয়’
নিজস্ব প্রতিবেদক

গরমে অধস্তন আদালতের এজলাসে (বিচারকক্ষে) শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এয়ার কন্ডিশনার-এসি) বসাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার। গতকাল রবিবার তিনি এ অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, গরমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের কালো গাউন পরতে হবে।
গরমে কালো গাউন পরা নিয়ে গত ২৫ মার্চ বিজ্ঞপ্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
গতকাল চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে বিষয়টি তুলে ধরেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। সুপ্রিম কোর্টের এই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ট্রাইব্যুনাল গরমে গাউন পরা শিথিল করবে কি না জানতে চান।
তখন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখানে তো এসি আছে, তাই এখানে গাউন পরতে হবে। এসি থাকলে গাউন পরতে সমস্যা কী? তার পরও কেউ যদি গরমে গাউন পরতে অসুবিধা বোধ করেন, আমাদের বললে আমরা সেটি বিবেচনা করব।’
চেয়ারম্যান বলেন, ‘নিম্ন আদালতের প্রতিটি কোর্টে যেন এসি থাকে, সেই ব্যবস্থা করা উচিত। সেখানে বিচারপ্রার্থী, আসামি, আইনজীবীসহ অনেক মানুষের উপস্থিতি থাকে।
ট্রাইব্যুনালে এ সময় চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও চিফ প্রসিকিউটরের পরামর্শক ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যানও উপস্থিত ছিলেন।

ছুটি শেষে খুলেছে সচিবালয় কাটেনি ঈদের আমেজ
বিশেষ প্রতিনিধি

ঈদুল ফিতরের টানা ৯ দিনের ছুটি শেষে গতকাল রবিবার খুলেছে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়। কর্মস্থলে ফিরছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে ঈদের আমেজ এখনো কাটেনি। প্রথম কর্মদিবসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে ফিরে সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে কর্মদিবস শুরু করেছেন।
গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশির ভাগই উপস্থিত, আবার অনেক কক্ষে চেয়ার-টেবিল ফাঁকা পড়ে রয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। কোলাকুলি করছেন একে অপরের সঙ্গে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার অফিস খুলেছে, তবে অনেকেই ঐচ্ছিক ছুটি উপভোগ করছেন।
গত সোমবার দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে।