<p>সরকারি হাটের জায়গা ও পাবলিক টয়লেট দখল করে ৪৫টি দোকানঘর নির্মাণ করে ১৫ বছরে ভাড়া উত্তোলন করেছেন কমপক্ষে দুই কোটি টাকা। সরকারি জায়গার অবৈধ দখল ছাড়তে সরকারিভাবে নির্দেশ দেওয়া হলেও ছাড়া হয়নি দখল। পাবনার ঈশ্বরদীর সাঁড়া আড়মবাড়িয়া বাজারে ঘটনা এটি। অবৈধ দখলদার সাকাত আলী সরদার ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদারের চাচাতো ভাই। রানা সরদার সাঁড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।</p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এমদাদুল হক রানা সরদার সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তাঁর চাচাতো ভাই সাকাত সরদার ক্ষমতার অপব্যবহার করে আড়মবাড়িয়া বাজারের সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানা জায়গা দখল করে নেন। সরকারি বাজার ও পাবলিক টয়লেটের জায়গা দখল করে নির্মাণ করেছেন ৪৫টি দোকান। নিজে দোকানগুলো থেকে মাসিক লাখ টাকা ভাড়া উত্তোলন করেন। সরকারি খাস পুকুরের একাংশ ভরাট করেছেন। সেখানে আবার তার ভাগনিজামাই আড়মবাড়িয়া বাজারের ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলামের বাড়ি নির্মাণের মালপত্র রেখেছেন। একই সঙ্গে তিনি বাজারসংলগ্ন জনৈক ফজল মাহমুদ ও এস এম ইলিয়াসের জায়গাও দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। তখন বাধা দিতে গিয়ে সাকাত সরদার ও তার ভাই, ভাতিজা কর্তৃক লাঞ্ছিত হয়েছে অনেকেই।</p> <p>ঈশ্বরদী সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস সূত্রে জানা যায়, আড়মবাড়িয়া বাজারে সরকারি জায়গাসহ ব্যক্তিগত জমি থেকে অবৈধ দখলদার সাকাত আলী সরদারকে উচ্ছেদ করতে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ফজল মাহমুদ, এস এম ইলিয়াস ও আব্দুল কাইয়ুম খান লিলন লিখিত অভিযোগ করেন।</p> <p>সাঁড়া ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ সুজন বলেন, ‘অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহাঙ্গীর হোসেনের নির্দেশে সার্ভেয়ারসহ আমরা আড়মবাড়িয়া বাজারে গিয়েছিলাম। সেখানে সাকাত সরদার কর্তৃক হাট ও পাবলিক টয়লেটের জায়গা দখল করে ভাড়া উত্তোলনের প্রমাণ পেয়েছি। তাকে অবৈধ দখল ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে খাস পুকুরটিও দখল করতে ভরাটের প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলাজনিত কারণে সাবেক চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্ত সাকাত আলী সরদার বলেন, ‘জায়গাগুলো আমার, আমার ছেলে, মেয়ে ও মেয়ের জামাইয়ের নামে লিজ নেওয়া রয়েছে।’</p> <p>এমদাদুল হক রানা সরদারের ভাগনিজামাই নাজমুল ইসলাম জায়গা দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভরাট করা পুকুর থেকে মাটি তুলে ফেলে দেব।</p> <p>ঈশ্বরদী সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহাদাত হোসেন খান বলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) সঙ্গে আলোচনা করে উচ্ছেদের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।</p> <p> </p>