<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৪ আগস্ট। আমি তখন সিলেটের জকিগঞ্জে। খবর আসে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি এক ক্যাপ্টেন অতিথি হয়ে আসছেন। সকাল ৯টায় ওই বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান হবে। এর আগেই আমরা আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখি। ৮টার দিকে একটি গাড়ি বিদ্যালয়ের দিকে এগোতে থাকে। পূর্বপ্রস্তুতি অনুযায়ী আমরা পাহাড়ের ওপর থেকে হামলা চালাই। গাড়ির চালকসহ কয়েকজন মারা যায়। তবে ক্যাপ্টেন সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে যান।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এভাবেই বলছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবু সাইয়িদ মিয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আমোদাবাদ গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে। তিনি আখাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবু সাইয়িদ মিয়া বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোনো টাকা-পয়সা আর ধন-দৌলতের জন্য নয়, মা মাটি দেশকে পাকিসস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করতে জীবন বাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। অনেক কষ্টে মাকে রাজি করাতে হয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবু সাইয়িদ জানান, ১৯৭১ সালে তিনি উপজেলার সৈয়দাবাদ আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের এইচএসসি শিক্ষার্থী ছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর। বর্তমানে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। আট বোন, দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চম।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাইয়িদ মিয়া বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বেশ কয়েকটি জায়গা আক্রমণ শুরু করে, তখন আমাদের এলাকার অনেকে বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল বাজারে জড়ো হয়। অনেক মানুষ সীমান্ত দিয়ে  ভারতের শরণার্থীশিবিরে চলে যেতে শুরু করে। বন্ধু ইলিয়াস ও সামাদকে নিয়ে আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিঙ্গারবিলের নোয়াবাদী সীমান্তের ওপারের নরসিংঘর দিয়ে আগরতলা চলে যাই। আমাকে প্রথমে আগরতলার কাতলামারা নামক স্থানে লে. কর্নেল ইব্রাহিমের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে ১১ দিন থাকার পর আসামে পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরপর একাধিক সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>