<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আর এক সপ্তাহ পর নতুন বছর শুরু। ইংরেজি ২০২৫ নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে। দীর্ঘদিন ধরে বছরের প্রথম দিন বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে বই উৎসব হয়ে আসছে। দিনটি নিয়ে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকে উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা। কিন্তু এবার বছরের প্রথম দিন চট্টগ্রামে সব শিক্ষার্থীর ভাগ্যে বই জুটবে  কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ বইয়ের তীব্র সংকট। তবে কবে নাগাদ শিক্ষার্থীরা তাদের সব বই পাবে, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রামে বাংলা মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি এবং প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থী ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৫৩৪ জন। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থী হচ্ছে এক লাখ ৪৭ হাজার ৩৬৮ জন। মোট বিদ্যালয়ের সংখ্যা চার হাজার ৬৬ জন। এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে সরকারি দুই হাজার ২৬৯টি। এ ছাড়া ইংরেজি মাধ্যমে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থী ১৮ হাজার ৭৯০ জন। বিপরীতে নতুন বইয়ের বরাদ্দ রয়েছে ৮৮ হাজার ৫৮৪ কপি। তবে এখনো প্রাথমিকের ইংরেজি মাধ্যম বই আসেনি চট্টগ্রামে। এই মাধ্যমের বিদ্যালয় আছে ৮৯টি।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত সোমবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে প্রাথমিক শ্রেণির বই (বাংলা মাধ্যম) এসেছে মোট চাহিদার মাত্র ১৯ শতাংশ। প্রথম থেকে তৃতীয় পর্যন্ত এসব বই এলেও এখনো বাংলা মাধ্যমের প্রাক-প্রাথমিক ও চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণির নতুন বই চট্টগ্রামে আসেনি। সেই সঙ্গে প্রাথমিকের ইংরেজি মাধ্যমের বই এখনো আসেনি। অন্যদিকে জেলায় প্রাথমিকের ১৯ শতাংশ নতুন বই এলেও মাধ্যমিকের নতুন একটি বইও আসেনি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রামে মাধ্যমিক ও সমমানে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এবার এক কোটি ৭৩ লাখ নতুন বইয়ের চাহিদা রয়েছে। আমরা এখনো মাধ্যমিকের কোনো বই পাইনি। তবে চলতি মাসের মধ্যে কিছু বই আমরা পাব। যেগুলো হাতে পাব, তা বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। আশা করি, পর্যায়ক্রমে নতুন বই আসবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আব্দুর রহমান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রামে প্রাথমিকে (বাংলা মাধ্যম) বিনা মূল্যের নতুন বইয়ের বরাদ্দ (চাহিদা) ৪০ লাখ ৩৪ হাজার ১৯৬টি। এর মধ্যে সর্বশেষ গত রবিবার পর্যন্ত আমরা বই হাতে পেয়েছি সাত লাখ ৭৬ হাজার ১৭৭ কপি, যা মোট চাহিদার ১৯ শতাংশ। যেসব বই এসেছে, সেগুলো গত ৫ ডিসেম্বর থেকে নগর ও জেলার শিক্ষা অফিসগুলোতে পাঠানো হচ্ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>