<p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কঘেঁষা চট্টগ্রাম অঞ্চলের অন্যতম বড় সবজির মোকাম কুমিল্লার নিমসার বাজার। রাতে শুরু হয়ে জমজমাট এ বাজার শেষ হয় সূর্য ওঠার কিছুক্ষণ পর। বর্তমানে এই বাজারে সবজির বেচাকেনা নেমেছে অর্ধেকের চেয়েও কম। পাইকারি ব্যবসারীরা শুয়ে-বসে সময় কাটান। শীতের শুরুতে এই বাজারে সবজির দাম চড়া থাকলেও এখন একেবারেই কম। ক্রেতার অপেক্ষায় বসে থাকতে দেখা গেছে পাইকারদের। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে এর উল্টো চিত্রও দেখা গেছে। এই বাজারের আড়তদারদের হাতবদল হয়ে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরের কুমিল্লা শহরের খুচরা বাজারে এলে একই সবজির দামে পার্থক্য দেখা যায় কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে প্রায় তিন-চার গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। নিমসার বাজার থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে কংশনগর বাজারেও দ্বিগুণ দামে সবজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। গ্রামের হাটগুলোর চিত্রও প্রায় একই রকম। পাইকারি বাজার থেকে গাড়িতে উঠলেই দাম বেড়ে যায় তিন গুণ। পরিবহন খরচের কথা বলে তিন গুণ দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল মঙ্গলবার দেশের অন্যতম বড় বুড়িচংয়ের নিমসার পাইকারি কাঁচাবাজার এবং কুমিল্লা নগরীসহ আশপাশের উপজেলা সদরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমনই চিত্র। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা, রাজগঞ্জ, চকবাজার ও টমছম ব্রিজ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, আলু প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বড় ফুলকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা, বাঁধাকপি বড় ৪০ টাকা, গাজর ৭০ থেকে ৮০ টাকা,  বেগুন (লম্বা) ৩৫ থেকে ৪০, করলা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অথচ নিমসার পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আলুর (ডায়মন্ড) দাম মাত্র ২৮ থেকে ৩৫ টাকা, বড় ফুলকপি ছয় থেকে আট টাকা, বাঁধাকপি বড় ১২ থেকে ১৫ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৩২ টাকা, বেগুন (লম্বা) ১২ থেকে ১৫ টাকা, করলা ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৫ থেকে ২৮ টাকা, পেঁপে ২৮ থেকে ৩০ টাকা, টমেটো ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিমসার বাজারের আড়তদার মো. জসিম উদ্দিন ও মোখলেছুর রহমান বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সবজি এই বাজারে আসে। আগে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা কাঁচামাল নিয়ে যেতেন, তাঁরা এখন তেমন একটা আসেন না। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কুমিল্লা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দামে এত পার্থক্য হওয়ার কথা নয়। কী কারণে এত পার্থক্য সেটা খোঁজ করব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আইউব মাহমুদ কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা উৎপাদনের বিষয়টি তদারকি করার চেষ্টা করি। চলতি বছর ১২ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা আছে। এ পর্যন্ত ১১ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমি সবজি চাষের আওতায় এসেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কুমিল্লা কৃষি বিপণন কার্যালয়ের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা রেজা শাহবাজ হাদী কালের কণ্ঠকে বলেন, কৃষি বিপণন আইনে কোন পণ্যে কত টাকা লাভ করা যাবে, তা উল্লেখ রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"> </p>