নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণের সব যন্ত্রই মেয়াদোত্তীর্ণ। হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে দেয়ালে থাকা যন্ত্রগুলোর কোনোটিরই মেয়াদ নেই।
গতকাল বুধবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগসহ প্রতিটি ওয়ার্ডের দেয়ালসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় আগুন লাগলে এগুলোতে কোনো কাজে আসবে না।
যন্ত্রগুলোর গায়ে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শয্যা ওয়ার্ডের অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের বিতরণের সময় দেওয়া আছে ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, এগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তিন বছর আগে মেয়াদ শেষ হলেও এখনো পরিবর্তন করা হয়নি। আবার কোনোটার প্রস্তুত বা উত্তীর্ণের তারিখও লেখা নেই। নামমাত্র সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগসহ হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানের অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের বিতরণের সময় দেওয়া আছে ২০২৩ সালের ৮ জুন। এগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে ২০২৪ সালের ৭ জুন। এ হাসপাতালে দুর্গাপুর উপজেলাসহ আশপাশের আরো দুটি উপজেলার ৫০০ থেকে ৭০০ রোগী চিকিৎসা নেন প্রতিদিন। সেখানে রয়েছেন চিকিৎসকসহ স্টাফরা। তাঁরা ছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগী ও স্বজনরাও রয়েছে ঝুঁকিতে।
অনেকে বলছে, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার রেখে দুর্ঘটনা রোধে কর্তৃপক্ষ কী করে ভরসা রাখছে, জানা নেই। তবে এমন উদাসীনতায় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন, ‘আমাদের ১০টির মতো আগুন নেভানোর যন্ত্র আছে; কিন্তু কোনোটারই মেয়াদ নেই। আমরা মৌখিকভাবে ফায়ার সার্ভিসকে জানিয়েছি।
’
উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মনজুর ফরাজি বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি জানা নেই। স্যার ছুটিতে আছেন। ওনি এলে বিষয়টি বলতে পারবেন।’ তবে এটির রাসায়নিকের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় প্রয়োজনে কোনো কাজেই আসবে না বলে জানান তিনি। নেত্রকোনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য জানান, দ্রুতই যন্ত্রগুলো কার্যকরে আনতে গুরুত্ব দেওয়া হবে।