ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫
৩ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫
৩ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬
তিস্তার বালুচরে স্ট্রবেরি চাষ

জাত না চেনায় লা‌ভের খাতায় গু‌ড়ে বা‌লি

রোকনুজ্জামান মানু, কু‌ড়িগ্রাম (আঞ্চ‌লিক)
রোকনুজ্জামান মানু, কু‌ড়িগ্রাম (আঞ্চ‌লিক)
শেয়ার
জাত না চেনায় লা‌ভের খাতায় গু‌ড়ে বা‌লি

কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তার বালুচরে স্ট্রবেরি ক্ষেত। চরে বিশাল আয়তনের জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা আব্দুর রাজ্জাক ও হারুনুর রশিদ। তাঁদের দাবি, তাঁদের ক্ষেত দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড়। তাঁরা দুজনই প্রবাসফেরত।

চরে বাণিজ্যিকভাবে স্ট্রবেরি চাষ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশে বসেই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্য ছিল তাঁদের। কিন্তু সঠিক জাতের চারা না পাওয়ায় সেই স্বপ্ন ভেস্তে যেতে বসেছে। প্রায় দেড় কোটি টাকা বিনিয়োগ করে পুঁজি হরাতে বসেছেন তাঁরা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত নভেম্বর মাসে ছয়টি জাতের সাড়ে তিন লাখ স্ট্রবেরি চারা লাগিয়েছেন অ্যাসেট অ্যাগ্রো নামের একটি প্রতিষ্ঠানের এই দুই উদ্যোক্তা।

স্ট্রবেরি চাষের শুরুতে চমক সৃষ্টি করলেও বর্তমানে হতাশায় ভুগছেন তাঁরা। প্রায় সাড়ে তিন লাখ স্ট্রবেরিগাছ থাকলেও ফলন না আসায় পুরোটাই এখন লস প্রজেক্ট।

তরুণ উদ্যোক্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নেক স্বপ্ন নিয়ে এখানে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করি। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এই বিদেশি ফল জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করার ইচ্ছা ছিল।

এই ফল খুচরা বিক্রি হয় ৭০০-৮০০ টাকা কেজি দরে। চরে আলু, গম, ভুট্টার চেয়ে স্ট্রবেরিতে অনেক লাভ। চারা রোপণের ৪৫-৬৫ দিনের মাথায় ফলন আসতে শুরু করে। প্রতি একরে ১০ টন করে ফলন লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। চারার গুণগত মান খারাপ হওয়ায় সে আশায় গুড়ে বালি।
এখন লাভ তো দূরের কথা দেড় কোটি টাকা বিনিয়োগ করে পাঁচ লাখ টাকার ফলন উৎপাদন করা সম্ভব হবে না বলেও জানান এই উদ্যোক্তা।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উলিপুরের বজরায় তিস্তা নদীর চরে ১২ একর বালু জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করেছে অ্যাসেট অ্যাগ্রো নামের একটি প্রতিষ্ঠান। আমরা উপজেলা কৃষি বিভাগের মাধ্যমে তাদের কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ দিয়েছি। শীত মৌসুমে স্ট্রবেরি চাষ হয় এবং কুড়িগ্রামের আবহাওয়া স্ট্রবেরি চাষের জন্য উপযোগী। তারা যদি সাফল্য পায় তাহলে জেলাজুড়ে স্ট্রবেরি চাষ সম্প্রসারণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভূরুঙ্গামারীতে ২০০০ ইয়াবা জব্দ বিজিবির

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
ভূরুঙ্গামারীতে ২০০০ ইয়াবা জব্দ বিজিবির

ভূরুঙ্গামারীতে দুই হাজার পিস ইয়াবা ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। গত শনিবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ বাশজানী গ্রামের আনন্দবাজার এলাকায় একদল মাদক কারবারিকে ধাওয়া করে এসব ইয়াবা জব্দ করেন বিজিবি সদস্যরা। বিজিবি জানিয়েছে, শনিবার বিকেলের দিকে দিয়াডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের টহলকারী দল আনন্দবাজার এলাকায় সন্দেহজনক একটি মোটরসাইকেল থামানোর চেষ্টা করে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা মোটরসাইকেল ও ইয়াবা ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই হাজার পিস ইয়াবা ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে বিজিবি সদস্যরা দিয়াডাঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যান।

মন্তব্য

সাংবাদিকের ছেলেকে অজ্ঞান করে লুট

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
সাংবাদিকের ছেলেকে অজ্ঞান করে লুট

ধামরাই থানাসংলগ্ন কালের কণ্ঠের সাংবাদিকের বাসায় ঢুকে তাঁর ছেলেকে অজ্ঞান করে আসবাবপত্র তছনছ করে সোয়া দুই লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ধামরাই থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রবিবার দুপুরে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভুক্তভোগী।

কালের কণ্ঠের ধামরাই প্রতিনিধি আবু হাসানের ছেলে মোহাম্মদ তানভির জানান, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বোরকা পরা দুজন মহিলা, তাঁদের সঙ্গে বাচ্চা এক ছেলে ও ২০-২২ বছরের এক যুবক বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে প্রধান ফটকের ভেতরে ঢোকেন। এ সময় আকস্মিকভাবে পেছন থেকে তাঁর (তানভির) মুখে রুমাল চেপে ধরেন ওই যুবক। এরপর ওই যুবক অজ্ঞান হয়ে গেলে ভবনের ভেতরে ঢুকে পাঁচটি কক্ষের আলমারি, ওয়ার্ডরোব, শোকেস ও ট্রাঙ্কের তালা খুলে জিনিসপত্র তছনছ করে ওয়ার্ডরোবে থাকা সোয়া দুই লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

মন্তব্য

অবাধে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
অবাধে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য। রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না সরকারি খাসজমিও। এতে ফসল উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।

সরেজমিনে উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, সুয়াবিল, রোসাংগিরী, জাফতনগর, নারায়ণহাট ও লেলাং ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর থেকেই আঞ্চলিক সড়কগুলোতে ওভারলোড যানবাহনের ছোটাছুটি। রাতের আঁধারে সমতল কৃষি ও বনভূমি মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্যে পুকুর-খালে পরিণত হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাটি বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সিন্ডিকেট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে কৃষিজমির উর্বর মাটি কাটছে। পাইন্দং ইউনিয়নের বাসিন্দা নিয়াজ মোরশেদ বলেন, রাতের আঁধারে অতিরিক্ত মাটি বোঝাই যানবাহনের চলাচলে রাস্তা ভেঙে দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে হুমকির শিকার হতে হয় তাদের। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। সুনির্দিষ্ট সংবাদ পেলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

দুর্বৃত্তের বিষে পুড়ল বোরোক্ষেত

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
শেয়ার
দুর্বৃত্তের বিষে পুড়ল বোরোক্ষেত

যশোরের কেশবপুরে দুর্বৃত্তরা পুড়িয়ে দিয়েছে এক কৃষকের ৯৩ শতক জমির বোরো ধান। গত বুধবার রাতের আঁধারে ঘাস মারা ওষুধ দিয়ে বোরো ক্ষেতটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জানিয়েছেন, ওই ক্ষেতের ধান কোনোভাবেই রক্ষা করা সম্ভব হবে না। ঘটনা উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কৃষক।

কৃষক বুলু সরদার বলেন, ওই ৯৩ শতক জমিতে প্রায় ৮০ মণ বোরো ধান উৎপাদন হতো। ধানে থোড় এসেছিল। কিন্তু এর আগেই দুর্বৃত্তরা ক্ষেতের ধান শেষ করে দিয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘাস মারা ওষুধ স্প্রে করে ধানক্ষেতটি পুড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষেতের ধান আর রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোখলেছুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে ওই ধানক্ষেতটি পরিদর্শন করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ