জামালপুরের মেলান্দহে হাট-বাজার সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে ইজারা হারিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে সামান্য বেশি দেখিয়ে সমঝোতায় সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে হাট-বাজার ইজারা নিয়েছে। কাগজে-কলমে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম আলমগীর হোসেনের স্বাক্ষরে ৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ১৪টি বাজারে ইজারার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
১৩টি হাটবাজারের জন্য ১৬৫টি দরপত্র বিক্রি হয়। এর মধ্যে মাত্র চারটি হাটেই বিক্রি হয় ১২৯টি দরপত্র। চারটি বাজারে একটিও দরপত্র বিক্রি হয়নি। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ৯টি বাজারে দরপত্র জমা পড়ে মাত্র ২৭টি।
উপজেলার-কাপাশহাটিয়া বাজারে দরপত্র বিক্রি হয় ৬৪টি, জমা পড়ছে তিনটি, দুরমুট বাজারে বিক্রি হয় ১২টি, জমা পড়ছে একটি, মাহমুদপুর বাজারের বিক্রি হয়েছে ১৮টি, জমা পড়ছে পাঁচটি, টনকী বাজারে দরপত্র বিক্রি হয় ২২টি জমা পড়ছে তিনটি, ঝাউগড়া বাজারে বিক্রি হয় ১৩টি, জমা পড়ছে তিনটি। এদিকে তালুকপাড়া বাজারে একটি দরপত্রও বিক্রি হয়নি।
দুরমুট এলাকার নাজমুল ইসলাম বলেন, দরপত্র অনেকে কিনলেও কেউ দরপত্র জমা দিইনি।
ইউএনও এস এম আলমগীর হোসেন বলেন, ‘হাট-বাজার ইজারা নিয়ে আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
তা ছাড়া সমঝোতার বিষয়ে আমাদের জানা নেই।’