কুলাউড়ায় দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী মহলের কয়েকটি সিন্ডিকেট চক্র সরকারি তিনটি জলমহালের মাছ লুট করে খেয়েছিল। এতে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছিল সরকার। কিন্তু প্রভাবশালী মহলের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন বিন্দারাণির দিঘি, হেলিপ্যাড পুকুর ও কাটুয়া বিল নামের সরকারি তিনটি জলমহাল প্রভাবশালীদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করেন।
বিন্দারাণির দিঘি উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নে সাত একরের পুকুরটি ২০১৪ সাল থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী গ্রুপ ভোগ করে আসছিল।
ইউএনও ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিঘিটি সম্প্রতি সরকারের দখলে আনেন।
হেলিপ্যাড পুকুরটিকে সায়রাত রেজিস্ট্রারভুক্ত করার জন্য পদক্ষেপ নেন ইউএনও এবং সহকারী কমিশনার। পরে অবৈধ দখল থেকে উদ্ধারের পর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ইজারার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
কাটুয়া বিলটিকে সরকারের ৬ নম্বর রেজিস্ট্রারভুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
কয়েক দফা নথি আদান-প্রদানের পর ২৫ মার্চ বিলটি সরকারি জলমহাল হিসেবে অনুমোদন করা হয়।
ইউএনও মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘জেলা প্রশাসক ইসরাইল হোসেন স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক সরকারি কাজটি বাস্তবায়ন করেছি। বিন্দারাণি দিঘি ও হেলিপ্যাড পুকুর ইজারার কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং কাটুয়া বিল ইজারার কার্যক্রম জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শুরু করা হবে।’