<p>ক্রীড়া প্রতিবেদক : ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো সাফের শিরোপা জেতে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এরপর সাবিনা খাতুনদের আরো বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগই প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু প্রত্যাশার সঙ্গে মেলেনি প্রাপ্তি। অর্থাভাবে ওই শিরোপা জেতার ছয় মাসের মধ্যে অলিম্পিক বাছাই খেলতে মেয়েদের মায়ানমার পাঠাতে ব্যর্থ হয় বাফুফে। ব্যয় নির্বাহের এই অপারগতা অবশ্য সাবেক সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সময়ে নিয়মিত চর্চা ছিল। পৃষ্ঠপোষকদের আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে বাফুফের বিপণনে অদক্ষতাও ছিল অন্যতম কারণ। এই ঘাটতির জায়গাতেই শক্তি বাড়াতে চাইছে বাফুফের নতুন কমিটি, যাতে ব্যয় নির্বাহে আয়ের নতুন নতুন পথ বের হয়।</p> <p>এ জন্যই বিপণন ও ব্র্যান্ডিং নিয়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  আয়ের বিভিন্ন উৎস খুঁজছে নতুন কমিটি। কিভাবে পৃষ্ঠপোষকদের আকর্ষণ করা যায়, সেসব নিয়ে পুরোদস্তুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানালেন বাফুফের সহসভাপতি ও মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান ফাহাদ মোহাম্মদ আহমেদ করিম। মাঠে খেলা থাকলে পৃষ্ঠপোষক আসবে বলেই বিশ্বাস তাঁর, ‘ফিফা, এএফসি থেকে যে টাকা আসে তা দিয়ে আসলে সম্ভব নয়। এ জন্য টুর্নামেন্ট ধরে ধরে আমরা স্পন্সর আনার কাজ হাতে নিয়েছি। যত টুর্নামেন্ট হবে, তত স্পন্সর আসবে। খেলা মাঠে রাখতে হবে—এটাই মূল কথা। এরই মধ্যে আমরা বিভিন্ন দেশের ফেডারেশন, আন্তর্জাতিক সংস্থা, প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছি।’ শুধু স্পন্সর এলেই হবে না, তাদের ধরে রাখার কাজটাও সূক্ষ্মভাবে করতে চান ফাহাদ, ‘স্পন্সরের টাকা যদি সঠিকভাবে ব্যবহার না করতে পারি, তাহলে এই স্পন্সর আমি আনব না। স্পন্সর মানে শুধু টাকা নয়, সম্পর্ক বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্পর্ক যেন দীর্ঘমেয়াদি হয়।’</p> <p>ছেলেদের জাতীয় দলে ২০১৬ সাল থেকে নেই কিট স্পন্সর। ২০২৫ সালের মার্চে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগেই এই স্পন্সর পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফাহাদ বলেন, ‘আমার প্রথম কাজ হচ্ছে কিট পার্টনার আনা। আশা করছি ভারত ম্যাচ দিয়ে নতুন কিট পার্টনারের যাত্রা শুরু হবে। এ ছাড়া ফেডারেশনের ইকুইপমেন্ট পার্টনারও পাচ্ছি খুব শিগগির।’ আগামী এক বছর চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন ফাহাদ। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে পারলে রুগ্ণ ফুটবলের চেহারা বদলে যাবে বলে বিশ্বাস তাঁর, ‘আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য ২০২৫ সাল। এই বছরের জন্য যেসব পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি, যদি সঠিকভাবে করতে পারি তাহলে ফুটবলের ভবিষ্যৎ এগিয়ে যাবে।’</p>