<p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিস্থিতি জটিল। গুমট রাজনীতি। চারপাশে অরাজকতা। শঙ্কা জনমনে।</span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন বাস্তবতায় বিএনপির উচিত নির্বাচনের জন্য সরকারকে কোনো ধরনের চাপ না দেওয়া। আর অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব সুষ্ঠু ভোটের ব্যবস্থা করা, যেন এই ইস্যুতে বাড়তি চাপ সৃষ্টি তো দূরের কথা, কোনো কথা বলারই সুযোগ না পায় দলটি। বিপরীত মেরুতে থাকলেও দুই পক্ষ যদি এই অবস্থানে আসতে পারে, তাহলেই দেশের জন্য মঙ্গল। সংকট অনেকাংশে কেটে যাবে। অস্থির রাজনীতি স্থিতিশীল হবে। উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা কমবে সাধারণ মানুষের। তা না হলে অন্তর্বর্তী সরকার আর বিএনপিসহ সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে একদিন পস্তাতে হবে ভীষণভাবে। দীর্ঘ মেয়াদে চড়া মূল্য গুনতে হবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে।</span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরকার বলছে, রাষ্ট্রের জরুরি সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচন দেওয়া হবে। কিন্তু </span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span><span style="font-family:SolaimanLipi">সংস্কার</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span><span style="font-family:SolaimanLipi"> আর </span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span><span style="font-family:SolaimanLipi">জরুরি</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span><span style="font-family:SolaimanLipi"> দুটিই আপেক্ষিক শব্দ। তা ছাড়া জরুরি সংস্কার কোনগুলো? সেসব সংস্কারকাজ শেষ করতে কত দিন সময় লাগবে? সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা জানা যাচ্ছে না। অন্যদিকে বিএনপির দাবি, ভোট দিতে হবে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে। তাদের যৌক্তিক সময়টিও আপেক্ষিকতার আবরণে মোড়ানো। কারণ বিএনপির কাছে যা যৌক্তিক, সরকারের কাছে তা না-ও হতে পারে। অর্থাৎ দুই পক্ষের কথাবার্তায়ই এক ধরনের অস্পষ্টতা রয়েছে। </span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="বর্তমান বাস্তবতায় ঐক্যের বিকল্প নেই" height="210" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11.November/30-11-2024/6.jpg" style="float:left" width="323" />এ ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। কারণ অন্তর্বর্তী সরকারকে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। সবার মধ্যে এই বিশ্বাস থাকতে হবে যে জরুরি সংস্কার শেষ করে দ্রুত ভোটের ব্যবস্থা্ করবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার। উপলব্ধিতে এটি আসতে হবে যে দেশের বৃহত্তর কল্যাণের জন্যই নির্বাচন কিছুটা দেরিতে হচ্ছে। ক্ষমতা নয়, সাম্য, সুন্দর ও মানবিক বাংলাদেশ গঠনই এই সরকারের মূল লক্ষ্য। </span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিন্তু তিন মাসেরও বেশি সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার কি জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে? আমার মনে হয় না। বরং সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া নানা ধরনের বক্তব্য তথা তাদের সামগ্রিক অবস্থানের কারণেই মানুষের মধ্যে অনাস্থা-অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থা পরিবর্তনে সরকারকেই উদ্যোগী হতে হবে, আস্থা ফেরাতে হবে জনমনে।  </span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">এখন মাঠে-ঘাটে, গ্রামে-গঞ্জের চায়ের আড্ডায়, ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, </span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশে শিগগিরই নির্বাচন হবে না। কেউ ক্ষমতায় গেলে কি সহজে ক্ষমতা ছাড়ে? ড. ইউনূস সাহেব চার বছর, না কয় বছর থাকবেন সময় হলে টের পাবেন, বেশি ঝামেলা হলে সেনাবাহিনী ডাকবেন, তা-ও ক্ষমতা ছাড়বেন না তারা।</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span><span style="font-family:SolaimanLipi"> এমন আরো অনেক কথা। সব মিলিয়ে এক ধরনের নেতিবাচক বার্তা আছে জনমনে। এই বাস্তবতায় সরকার নিশ্চয় তাদের অবস্থান আরো পরিষ্কার করবে।</span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন পরিস্থিতিতে বিএনপিকেও কিছুটা কৌশলী ও সতর্ক থাকতে হবে। বাস্তবতা আমলে নিয়ে মোকাবেলা করতে হবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। কারণ ক্ষমতায় না থাকলেও বিএনপির সিদ্ধান্ত ও কর্মপরিকল্পনার ওপর নির্ভর করছে কতটা স্থির বা অস্থির হবে রাষ্ট্র কিংবা কোন দিকে যাবে আগামীর বাংলাদেশ। যে যেভাবেই বিশ্লেষণ করুক না কেন, দিনশেষে ক্ষমতা, ক্ষমতার পালাবদল কিংবা এখন স্থিতিশীল রাজনৈতিক সমীকরণের সবচেয়ে বড় নিয়ামক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), যদিও বিএনপির জন্য কাজটি খুব কঠিন ও ধৈর্যের। কারণ এখন জাতীয় নির্বাচন হলে প্রশ্নাতীতভাবেই রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবে বিএনপি। এমনটিই বিশ্বাস করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ৫ আগস্টের পর থেকেই মগজে-মননে ক্ষমতার স্বপ্ন লালন করছেন তারা। চলনে-বলনে, হাবভাবে প্রতিনিয়ত সেই ভাবনার প্রতিফলন দেখা যায়। বলা যায়, দীর্ঘদিন পর ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার আশায় বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছে বিএনপির কেন্দ্র থেকে তৃণমূল।</span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেউ কেউ আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে। নিজেদের মতো করে পছন্দের মন্ত্রী-এমপি ঠিক করছেন। পিএস বা এপিএস হবেন, চালাচ্ছেন সেই চেষ্টা-তদবিরও। শুধু তা-ই নয়, কে কোন প্রতিষ্ঠানে ঠিকাদারি করবেন, কারা নিয়ন্ত্রণ করবেন কোন এলাকা</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span><span style="font-family:SolaimanLipi">ভেতরে ভেতরে সেসবও ঠিকঠাক করছেন অনেকে। আবার বড় একটি শ্রেণি আছে, তারা আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নে অতিষ্ঠ হয়ে এখন দাঁতে দাঁত কামড়ে বসে আছে। অপেক্ষার প্রহর গুনছে। অস্থির হয়ে আছে, কখন বিএনপি ক্ষমতায় বসবে আর মেতে উঠবে প্রতিশোধের নেশায়।</span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">আশার কথা হলো, বদলে যাওয়া বাস্তবতার শুরু থেকেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিহিংসার বদলে ক্ষমার কথা বলেছেন। ঘৃণার বদলে ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু শুধু এই নির্দেশনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। শক্ত হাতে নিশ্চিত করতে হবে দলীয় শৃঙ্খলা। এটি করতে হবে বিএনপির বৃহত্তর স্বার্থেই, যদিও বলা যতটা সহজ, কাজটা করা ততটাই কঠিন।</span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">কারণ গত ১৭ বছরে বিএনপির বহু নেতাকর্মীকে আওয়ামী লীগ খুন করেছে, গুম করেছে। মিথ্যা ও রাজনৈতিক মামলায় জেলে রাখা হয়েছে, নিঃস্ব করা হয়েছে লাখ লাখ পরিবারকে। এখনো সেসব মামলার খড়্গ ঝুলছে নেতাকর্মীদের কাঁধে। শুধু তা-ই নয়, আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা বিএনপির সক্রিয় অনেক নেতাকর্মীর হাত কেটেছে, পা ভেঙেছে। চরম নিষ্ঠুর, নির্মমভাবে উপড়ে ফেলা হয়েছে চোখ। ভয়াবহ-দুঃসহ এসব স্মৃতি তারা ভুলবেন কিভাবে? </span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">গায়েবি মামলায় কারাগারে থাকায় মৃত বাবার মুখ দেখতে পারেননি বিএনপির কেউ কেউ। অন্যদিকে নানা চেষ্টা-তদবিরে প্যারোলে মুক্তি মিললেও যে সন্তানকে বাবার জানাজায় অংশ নিতে হয় ডাণ্ডাবেড়ি পরে, তার বুকে কি আওয়ামী ঘৃণার বিপরীতে ভালোবাসা জমা আছে? থাকার কথা কি খুব একটা? বিনা কারণে যার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে, কেবল সে-ই জানে ভাই হারানোর বেদনা। যার বাবাকে গুম করা হয়েছে, সে জানে জীবনে বাবা না ডাকতে পারার কী তীব্র যাতনা।</span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন ভয়াবহ নির্যাতনের পর বিএনপির নেতাকর্মীদের পক্ষে নিজেকে সামলানো সত্যি কঠিন। আর এখানেই বিএনপির রাজনৈতিক মুনশিয়ানা। নেতৃত্বের দক্ষতা ও যোগ্যতা দেখানোর নতুন ক্ষেত্র। আপাতত বিএনপি এ ক্ষেত্রে সফল। কারণ ক্ষমতায় থাকতে ওবায়দুল কাদেরসহ সিনিয়র নেতারা প্রায়ই বলতেন, সরকার পতন হলে আওয়ামী লীগের পাঁচ থেকে ১০ লাখ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হবে। বাস্তবে তাদের সেসব কথার কোনো ভিত্তি পাওয়া যায়নি।</span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">তার মানে এই নয় যে বিএনপি সবই ঠিক কাজ করছে। উল্টো কেন্দ্র-তৃণমূলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকট হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা পরিণত হয়েছে নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত রেষারেষিতে। পটপরিবর্তনের পর দখল ও নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ উঠেছে অনেকের নামে। একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ অপপ্রচার, অপরাজনীতি করছে, ছয় মাস আগে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধেও তা করেননি বিএনপির কেউ। আরো নির্মম বাস্তবতা হলো, মামলায় নাম দিয়ে অনেককে ভয় দেখানো হচ্ছে আবার এজাহার থেকে নাম বাদ দিতে লেনদেনের অভিযোগ আছে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।  </span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসব পরিহার করে বিএনপিকে এখন আরো বেশি সতর্ক হতে হবে। সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে সামগ্রিক রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে। কারণ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আসা অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সাম্প্রতিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, দেশে আন্দোলনের মৌসুম লেগেছে। দিনে আন্দোলন, রাতে আন্দোলন। সকালে বিক্ষোভ, বিকেলে অবরোধ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে শিল্প-কারখানা, ব্যাংক-বীমা থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র হাটবাজার। সব কিছুতেই অস্থিরতা। </span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">বলা যায়, এক ধরনের হ-য-ব-র-ল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে দেশজুড়ে। ভয়-শঙ্কায় পথ চলছে মানুষ, দিন দিন বাড়ছে উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা। এই পরিস্থিতি উত্তরণে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। আর সেই ঐক্যপ্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দিতে হবে বিএনপিকেই। গণমানুষের দল হিসেবে বিএনপির কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা বেশি।</span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">আকাশচুম্বী সেই প্রত্যাশার বিপরীতে নতুন করে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে বিএনপিকে। সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখাতে হবে, বাস্তবায়নে দিতে হবে নতুন রূপরেখা। প্রতিহিংসার রাজনীতির বদলে উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা, দুর্নীতি-লুটপাটে ভঙ্গুর অর্থনীতিকে মজবুত ভিত্তি দেওয়া, কিভাবে দলীয়করণ বাদ দিয়ে যোগ্যদের স্থান দেওয়া হবে, কিভাবে নিশ্চিত করা হবে আইনের শাসন? চ্যালেঞ্জ হলেও এসব ইস্যুতে পরিষ্কার প্রতিশ্রুতি আছে, আরো থাকতে হবে। </span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">এখনো স্বৈরাচারের প্রেতাত্মাদের সঙ্গে নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারকে। ডানে-বাঁয়ে, সামনে-পেছনে এখনো ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের অবস্থান। ফলে খুব সাবধানে চলতে হবে। কারণ উপযুক্ত পরিবেশ পেলে আবারও তারা হিংস্র হয়ে উঠবে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি বিএনপিকেও জুতসই প্রস্তুতি রাখতে হবে। </span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাস্তবতা হলো, বিএনপি আছে উভয়সংকটে। একদিকে জনগণের দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক অভিপ্রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ভোটের দাবিতে সরব হতে হচ্ছে; অন্যদিকে দাবি আদায়ে বেশি শক্তি দেখাতে গেলে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। আবার সেখানে ভর করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে স্বৈরাচারের দোসররা। যে দলটি বহু বছর ধরে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে লড়াই করেছে, সরকার পতনের তিন মাস পরও কৌশলগত কারণে জোরেশোরে মাঠে নামতে পারছে না দলটি। </span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে আশার কথা হলো, অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি পরিপক্ব রাজনীতি করছে বিএনপি। সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ভেবেচিন্তে। গুরুত্বপূর্ণ কোনো ইস্যুতে বিতর্কিত-বেফাঁস মন্তব্যও শোনা যায়নি বিএনপির কোনো সিনিয়র নেতার মুখে। আরেকটি বিষয় হলো, পরিবর্তিত রাজনৈতিক বাস্তবতাকে ভীষণ ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছে দলটি। রাষ্ট্র মেরামতে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য আনাসহ ৬২টি পয়েন্টে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে দলটি। </span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">সব মিলিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নিশ্চয়ই বিএনপির দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে। </span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">কারণ গত ১৭ বছরের নির্যাতন, নিপীড়ন, গুম-খুন, হামলা-মামলা সরকার পতনের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে বিপ্লব নতুন মাত্রা পেয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে সম্ভাবনার নতুন বাংলাদেশ। তাই সবাইকে নিয়েই পথ চলতে হবে, নিশ্চিত করতে হবে ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার বিজয়ের সুফল। </span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : হেড অব নিউজ, নিউজটোয়েন্টিফোর</span></span></span></p> <p> </p>