<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্য দূর করতে এক দফা দাবিতে আন্দোলন ক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‌</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‌</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছেন কৃষি ব্যাংকের দশম গ্রেডের পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তারা। গতকাল শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। আন্দোলনকারীরা জানান, নবম গ্রেড থেকে ওপরে থাকা কর্মকর্তাদের নিয়মিত পদোন্নতি হলেও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন দশম গ্রেডের কর্মকর্তারা। অথচ কৃষি ব্যাংকের মোট জনবলের অর্ধেকের বেশি দশম গ্রেডের কর্মকর্তা। অন্য গ্রেডের কর্মকর্তাদের বিধান অনুযায়ী তিন বছর পর পর পদোন্নতি হলেও দশম গ্রেডের কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য অপেক্ষা করতে হয় সাত থেকে আট বছর। বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তাদের দাবি, কৃষি ব্যাংকের মোট ১০ হাজার ২৭ জন জনবলের মধ্যে পাঁচ হাজার ২৭২ জন শুধু দশম গ্রেডের কর্মকর্তা। এই সিংহভাগ জনবলই ব্যাংকের প্রাণ। ঋণ আদায়, বিতরণ, আমানত সংগ্রহ, কিংবা প্রাত্যহিক গ্রাহকসেবা এসবের চৌদ্দআনা কাজই এই গ্রেডের কর্মকর্তারা করে থাকেন। নানা ধরনের অব্যবস্থাপনার মধ্যেও তাই প্রতিবছর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত সব লক্ষ্যমাত্রা সন্তোষজনকভাবে অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে। অথচ এই গ্রেডের জনবলই সবচেয়ে বৈষম্যের শিকার। সার্বিক বিষয়ে কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শওকত আলী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কর্মকর্তাদের দাবির বিষয়ে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নেব। আগামীকাল আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> এদিকে পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তারা সম্প্রতি এসব দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাঁ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‌</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দের দা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‌</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিগু</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‌</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লো হচ্ছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রবিধানমালা, ২০০৮ অনুযায়ী যাদের তিন বছরের বেশি হয়েছে তারা পদোন্নতিযোগ্য। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো দশম গ্রেডের কর্মকর্তা ব্যতীত নবম গ্রেড থেকে তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের পদোন্নতি যথাসময়ে নিশ্চিত করা হলেও শুধু দশম গ্রেডের কর্মকর্তাদের বারবার বঞ্চিত করা হয়েছে। এ অবস্থায় সুপারনিউমারি পদ্ধতিতে পদোন্নতিযোগ্য (যাদের তিন বছরের অধিক হয়েছে) দশম গ্রেডের পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রদান করার জন্য দাবি জানাচ্ছি। ২. বৈষম্যমূলক কালাকানুন তথা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির মাধ্যমে ৫০ শতাংশ ও সরাসরি ৫০ শতাংশ নিয়োগপদ্ধতি বাতিল করে পদোন্নতির মাধ্যমে ৭৫ শতাংশ ও সরাসরি ২৫ শতাংশ নিয়োগ প্রদান করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।</span></span></span></span></p>