হয়রানি করতে খালেদা জিয়াকে মামলায় জড়ানো হয়েছে : বিচারক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হয়রানি করতে খালেদা জিয়াকে মামলায় জড়ানো হয়েছে : বিচারক
সংগৃহীত ছবি

রাজনৈতিক কারণে ও হয়রানি করার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের নাইকো মামলায় জড়িত করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল আলম নাইকো দুর্নীতি মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে এ কথা বলেন।

এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আটজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 

আরো পড়ুন

হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মিয়াজী ২ দিনের রিমান্ডে

হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মিয়াজী ২ দিনের রিমান্ডে

 

খালাস পাওয়া অপর আসামিরা হলেন, তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলি।

 

এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তারপক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন। জামিনে থাকা অপর আসামিরা আদালতে হাজির হন। এরপর ১১ টা ২৪ মিনিটে রায় ঘোষণা করতে বিচারক এজলাসে ওঠেন।

 

আরো পড়ুন

উত্তরায় দম্পতির ওপর হামলা : পুরো চক্র শনাক্ত, গ্রেপ্তার

উত্তরায় দম্পতির ওপর হামলা : পুরো চক্র শনাক্ত, গ্রেপ্তার

 

বিচারক বলেন, প্রশ্ন হতে পারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে কিভাবে আসামির আত্মপক্ষ শুনানি করা হচ্ছে। ডিএলআর-এর ১৭ থেকে ২১ পর্যন্ত এ বিষয়ে বলা আছে। কোনো আসামি আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরায় থাকলে তার অনুপস্থিতিতে আত্মপক্ষ শুনানি করা যায়। আবার রায়ও দেওয়া যায়।

সেই অনুযায়ী রায় দেওয়া হচ্ছে। 

এরপর তিনি রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, 'একই ধরনের মামলা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও ছিল। যেহেতু এ মামলা চলে নাই, তবুও এ মামলার ফুল ট্রায়াল হয়েছে। আসামি সেলিম ভূঁইয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে তিনি চার দিনের রিমান্ডে ছিলেন।

তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়। পরে অবশ্য তা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। সেখানেও বলেছেন তাকে শারীরিক, মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।

আরো পড়ুন

ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মৃত্যুবার্ষিকী আজ

 

বিচারক বলেন, মামলা তেজগাঁও থানার। কিন্তু তাকে রাখা হয় গুলশান থানায়। সেখানে নির্যাতনের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষকে ডিনাই করছে। তাদের এটা জানাও নাই। রেকর্ডে দেখা গেছে, তাকে যে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বর্হিবিভাগের টিকিটও আছে। তাকে বাইরে থেকে ওষুধও কিনে দেওয়া হয়, এর রশিদও আছে।

তিনি বলেন, সেলিম ভূঁইয়াকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে ফোর্সগুলি ১৬৪ নিয়েছে। সে কারণে এই ১৬৪ কে ট্রু বলার সুযোগ নাই। এর উদ্দেশ্য হলো গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, কাশেম শরীফসহ অন্যদের জড়িত করার জন্য জোরপূর্বক এ ১৬৪ গ্রহণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে এবং হয়রানী করার জন্য সাবেক প্রদানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের জড়িত করা হয়েছে। পরে আদালত তাদের খালাসের রায় দেন। এ রায়ে সব আসামি খালাস পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। 

এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২৩ সালে ১৯ মার্চ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলার বিচার চলাকালীন ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা, শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা, শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
ফাইল ছবি

‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামে অনলাইন প্ল্যাটফরমের মিটিংয়ে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা এবং সরকারকে উৎখাত ষড়যন্ত্রের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়েছে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মামলায় দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. রাব্বি আলমকে। এ ছাড়া অনলাইন মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারী আরো ৫০৩ জনকেও আসামি করা হয়েছে।

আদালত তা আমলে নিয়ে সিআইডিকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আরো পড়ুন
তারেক রহমানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নীতি নিয়ে নিউজার্সিতে পাইলট প্রকল্প

তারেক রহমানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নীতি নিয়ে নিউজার্সিতে পাইলট প্রকল্প

 

মামলার এজাহারের তথ্যের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যে তারা জানতে পারেন যে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর অনলাইন প্ল্যাটফরমের মিটিংয়ে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ গঠন করে একটি গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে পলাতক শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বুঝিয়ে দেওয়া এবং তা নিশ্চিতকরণের জন্য শেষনিঃশ্বাস পর্যন্ত যুদ্ধ করে যাবেন বলে অনেকেই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মোট ৫৭৭ জন অংশগ্রহণকারী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই জুম মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন এবং শেখ হাসিনার সব নির্দেশ পালন করার ব্যাপারে একাগ্রচিত্তে মত প্রকাশ করেন। 

মামলার এজাহারে আরো বলা হয়, ড. রাব্বি আলমের (যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি) হোস্টিংয়ে (সঞ্চালনায়) শেখ হাসিনা এবং হোস্ট, কো-হোস্ট ও অংশগ্রহণকারীদের কথোপকথনে ভয়েস রেকর্ড পর্যালোচনায় ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামক প্ল্যাটফরমে দেশ-বিদেশ থেকে অংশগ্রহণকারীরা বৈধ সরকারকে শান্তিপূর্ণভাবে দেশ পরিচালনা করতে দেবে না মর্মে আলোচনা হয়।

সেই সঙ্গে অনলাইন প্ল্যাটফরম মিটিংয়ে বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার জন্য গৃহযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধের সুস্পষ্ট উপাদান রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলা করলে আদালত তা আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

গুলশানে সুমন হত্যা : সাঈদ রিমান্ডে, কারাগারে মামুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
গুলশানে সুমন হত্যা : সাঈদ রিমান্ডে, কারাগারে মামুন
গ্রেপ্তার মামুন ওরফে বেলাল ও ওয়াসির মাহমুদ ওরফে সাঈদ (বাঁ থেকে)

রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজার সামনে ডিশ ব্যবসায়ী সুমনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মো. ওয়াসির মাহমুদ সাঈদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় আরেক আসামি মামুন ওরফে বেলালকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

এ সময় মামুন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক মারুফ আহমেদ তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পর মামুন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানান।
পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ছাড়া অপর আসামি সাঈদের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে ২৫ মার্চ র‌্যাব-১ এর অভিযানিক দল ও র‌্যাব-৮-এর অভিযানিক দলের সহযোগিতায় মাস্টারমাইন্ড মো. ওয়াসির মাহমুদ সাঈদ ওরফে বড় সাঈদকে পটুয়াখালী থানার চৌরাস্তা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামুন ওরফে বেলালকে টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় গত ২৩ মার্চ হাবিবুর রহমান ওরফে সুজন নামে এক ব্যক্তির পাঁচ দিন এবং ২৪ মার্চ বশির সিকদারেরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

আরো পড়ুন
মনোহরদীতে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

মনোহরদীতে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

 

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ মার্চ রাত ৯টার দিকে পুলিশ প্লাজার পাশে ফজলে রাব্বি পার্কের পূর্ব দিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় ডিশ ব্যবসায়ী সুমনকে। এ ঘটনায় গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী।

মন্তব্য

ট্রাইব্যুনালের নতুন প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ট্রাইব্যুনালের নতুন প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ান
সংগৃহীত ছবি

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর নিযুক্ত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়। 

একই প্রজ্ঞাপনে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আফরোজ পারভীন সিলভিয়া, মো. মামুনুর রশীদ, এস. এম তাসমিরুল ইসলাম। 

আরো পড়ুন
পরোয়ানার তথ্য ফাঁসকারীদের শাস্তির মুখোমুখি করা হবে : চিফ প্রসিকিউটর

পরোয়ানার তথ্য ফাঁসকারীদের শাস্তির মুখোমুখি করা হবে : চিফ প্রসিকিউটর

 

অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ানের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চর ফলকনে।

তিনি দীর্ঘদিন সুপ্রিম কোর্টে বেশ সুনামের সাথে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে প্র্যাক্টিস করেছেন। 

লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরের নদীভাঙা মানুষের অধিকার আদায়ের সংগঠন ‘কমলনগর-রামগতি বাঁচাও’ মঞ্চের আহ্বায়ক তিনি। এ ছাড়াও নদী রক্ষা, ঢাকা টু লক্ষ্মীপুর লঞ্চ চাই আন্দোলনসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকতে দেখা গেছে তাকে।

 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গেল বছরের অক্টোবরে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি গোলাম মুর্তজা মজুমদারকে চেয়ারম্যান করে পুনর্গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরপর অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলামকে চিফ প্রসিকিটর এবং পর্যায়ক্রমে প্রসিকিউটর নিয়োগ দিয়ে চলছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারিক কার্যক্রম।

মন্তব্য

পরোয়ানার তথ্য ফাঁসকারীদের শাস্তির মুখোমুখি করা হবে : চিফ প্রসিকিউটর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পরোয়ানার তথ্য ফাঁসকারীদের শাস্তির মুখোমুখি করা হবে : চিফ প্রসিকিউটর
সংগৃহীত ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির তথ্য ফাঁসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো মহল জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এই ধারণার কথা বলেন। পরোয়ানার তথ্য ফাঁসের কারণে ২২ জন পুলিশ কর্মকর্তা গা ঢাকা দিয়েছে উল্লেখ করে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, তথ্য ফাঁসকারীদের চিহ্নিত করা গেছে কিনা?

আরো পড়ুন
২৭ রমজানের রাতে মসজিদুল আকসায় ২ লাখ ফিলিস্তিনি

২৭ রমজানের রাতে মসজিদুল আকসায় ২ লাখ ফিলিস্তিনি

 

জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে এখানে (ট্রাইব্যুনালে) কোনো না কোনো জায়গা থেকে এটা ফাঁস হচ্ছে। এটা আমরা খুব উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে সম্ভবত এই ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো একটা মহল এর সঙ্গে জড়িত বা প্রসিকিউশনের মধ্যে, অফিসেও থাকতে পারে।

আমরা বিষয়টাকে গভীরভাবে উদ্বেগের সঙ্গে বিশ্লেষণ করছি এবং তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছি। যদি আমরা প্রমাণ পাই যে প্রসিকিউশন অফিসের কেউ, প্রসিকিউশন টিমের সদস্য কেউ, অথবা ট্রাইব্যুনালের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী; যারাই হোক, যারা এ ধরনের তথ্য ফাঁসের সঙ্গে জড়িত হবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এটা খুব সিরিয়াসলি নিয়েছি এবং উদ্বেগের সঙ্গেই এটা নিয়েছি। এটাকে নিশ্ছিদ্র করার জন্য প্রয়োজনীয় তদন্তকাজ চালাচ্ছি।

আমরা এটার জন্য দায়ী যাকে পাব, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ