ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

যারা স্থানীয় নির্বাচন আগে চাচ্ছে, তারা পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল : দুদু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
যারা স্থানীয় নির্বাচন আগে চাচ্ছে, তারা পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল : দুদু
ফাইল ছবি

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এখন এক শ্রেণীর খেলোয়াড় তৈরি হয়েছে। তারা বলছে, জাতীয় ইলেকশনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে হবে। খুঁজে দেখেন, এই কথাগুলো যেখান থেকে বেরিয়ে আসছে, তারা ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল।

গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে টদেশের বর্তমান সংকট ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গণতান্ত্রিক জাগ্রত বাংলাদেশ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদু বলেন, ‘এদের (স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে চাওয়াদের) ২-৩ পারসেন্টের বেশি ভোট নাই। এদের চেহারা-চালচলন সবসময় একটা গোষ্ঠীর মধ্যে আটকে থাকে। আগে এরা ইসলামী বিপ্লবের কথা বলত।

এখন তারা সেগুলো বাদ দিয়ে ভোটের রাজনীতিতে আসতে চায়। ভোটও যাতে সুষ্ঠুভাবে না হয়, সে অবস্থার মধ্যে তারা দেশকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। তাই যারা গণতন্ত্রকে ভালোবাসে, পছন্দ করে, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যৎ খারাপ।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, কোনো রাজনীতিবিদ এনজিও করতে যায় না। তারা সাধারণ মানুষের কাছে যায়। রাজনীতিবিদরা মানুষের মধ্যে স্বপ্নের জাল বুনতে থাকে। তারা কখনো জনগণকে সাফল্য দিতে পারে, আবার কখনো পারে না। কিন্তু, শেষ বিচারে রাজনীতিবিদরাই দেশ পরিচালনা করে।

সেই রাজনীতিবিদরা যখন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, তখন দেশের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাবে। ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হবে। সেজন্য রাজনীতিবিদদেরকে যারা ছোট করছে, তারা আসলে স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরছেন।

একই সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, এই দেশে মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শহীদ জিয়াউর রহমানের মতো নেতা থাকার পরও ছাত্রদের পছন্দ দেশের বাইরের নেতাদের। তাদের এতো পছন্দ করার কারণ কী? তা জাতির সামনে পরিষ্কার করলে ভালো হয়। না হলে এই প্রজন্ম বিভ্রান্তিতে থাকবে। তুরস্কের এরদোয়ানের পর এ কে পার্টি, পাকিস্তানের ইমরান খানের তেহরিক-এ-ইনসাফ এবং দিল্লির কেদিওয়ালের দলের নাম আম আদমি পার্টি। তিনটাই কিন্তু বাংলাদেশের সীমানার বাইরে। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা এই তিনটি দলের আদলে তাদের দল ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা কর্মসূচি নির্ধারণ করছে। অবাক লাগে আমাদের যে ছেলেরা এই মাটিতে বেড়ে উঠল, এই দেশের মাটির ঘ্রাণ তাদের শরীরে লেগে আছে, তাদের কাছে বিদেশি নেতাদের মতবাদ এ তো জনপ্রিয় হল কেন? এটা দেখার পর আমার মনে প্রশ্ন জাগছে আসলে এর মূল কারণ কী?

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম কলিমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ প্রমুখ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : খালেদা জিয়া

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : খালেদা জিয়া
বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আগামীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে। সবাই মিলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সোমবার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানান খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রেখে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অভিনন্দন জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বক্তব্য রাখার অনুরোধ করেন।

সবার উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আপনাদের এত ত্যাগ ও সংগ্রাম বৃথা যায়নি এবং যাবে না। দেশবাসীর ভোটাধিকার সবাই মিলে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

তিনি দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। দীর্ঘদিন পর সবাইকে এভাবে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় আগামীর পথচলায় দেশবাসীর দোয়া ও আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন।

শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আরো অংশগ্রহণ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কে এম ফজলুল হক মিলন, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আহ্বায়ক আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

মন্তব্য

৩ এজেন্ডা নিয়ে এগোচ্ছে এনসিপি : নাহিদ ইসলাম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৩ এজেন্ডা নিয়ে এগোচ্ছে এনসিপি : নাহিদ ইসলাম
সংগৃহীত ছবি

তিনটি এজেন্ডা নিয়ে এগোচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এর মধ্যে দোষীদের বিচার নিশ্চিত করা প্রধান এজেন্ডা বলে জানান তিনি।

সোমবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপি কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় এনসিপির কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পার্টি ঘোষণার পরই পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ায় সাংগঠনিক কার্যক্রম সেভাবে গতি পায়নি। সামনে পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে।’

তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদ কয়েকটি দিক থেকে আলাদা। প্রথমত স্বৈরাচারমুক্ত প্রথম ঈদ পালন করছেন দেশবাসী।

আশা করছি, এই সম্প্রীতি সারা বছর বহাল থাকবে। অনেক শহীদ পরিবার তাদের সদস্যদের ছাড়া ঈদ পালন করছে, যা তাদের জন্য খুব কষ্টের। আমরা সেই পরিবারগুলোর পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এবারের ঈদ রাজনৈতিকভাবেও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা তিনটি এজেন্ডা—বিচার, সংস্কার এবং গণপরিষদ নির্বাচন নিয়ে এগোচ্ছি। দোষীদের বিচার নিশ্চিত করা এর মধ্যে প্রধান। আগামীতে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে। আমরা সারা দেশ সফর করব এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম বেগবান করব। আমাদের যে তিনটি এজেন্ডা সেটি বাস্তবায়নে জনমত তৈরি করব।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

জনগণের কাছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে গেছে : জামায়াত আমির

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জনগণের কাছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে গেছে : জামায়াত আমির
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জনগণের কাছে আওয়ামী লীগ ‘নিষিদ্ধ হয়ে গেছে’। এখন বিচার হলো তাদের পাওনা।

সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের নামাজ শেষে রাজধানীতে গণ-অভ্যুত্থানের সময় নিহত কয়েকজনের বাসায় পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ আল্লাহই করে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘জনগণের মনে তারা নিষিদ্ধ হয়েই গেছে।

নিষিদ্ধ সংগঠন না হলে সব পালায়ে গেছে কেন?’

আন্দোলনে ‘গণহত্যার’ বিচার সম্পর্কে জামায়াতের আমির বলেন, ‘বিচার হলো তাদের পাওনা। বিচার হলো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের একদম জেনুইন পাওনা। এটা পেতেই হবে তাদের। আসল বিচার আদালতে আরাধ্য কিন্তু দুনিয়ার বিচার তাদের পাওনা, এটা হবে।

এর আগে বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঈদের নামাজের পর মসজিদ প্রাঙ্গণে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঈদ হলেও বাংলাদেশের অনেকের ঘরেই ঈদের আনন্দ নেই। অনেক মা তার সন্তানের জন্য কান্না করছেন। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার হতেই হবে। যে বিচারটা দেখলে ভবিষ্যতে আর কোনো খুনি মানুষের জীবন নিয়ে আর কোনো ছিনিমিনি খেলবে না, সে রকম বিচার বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায়।

মন্তব্য

শহীদ মুগ্ধর বাড়িতে রিজভী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শহীদ মুগ্ধর বাড়িতে রিজভী
সংগৃহীত ছবি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আলোচিত শহীদ মীর মুগ্ধর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী।

সোমবার ঈদুল ফিতরের নামাজের পর তিনি শহীদ মীর মুগ্ধর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন।

আরো পড়ুন
জামায়াত আমিরের ঈদ কাটল শহীদ পরিবারের সঙ্গে

জামায়াত আমিরের ঈদ কাটল শহীদ পরিবারের সঙ্গে

 

এ সময় শহীদ মুগ্ধর বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে মুগ্ধর জীবনের বিনিময়ে ম্যাডাম খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়েছেন। ম্যাডামের ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে এটাই আমার সার্থকতা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভীকে নিজ বাসায় পেয়ে আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন মীর মুগ্ধর বাবা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ