<p>দ্বিতীয় স্ত্রীর প্ররোচনায় নতুন জামা কিনে দেওয়ার কথা বলে প্রথম স্ত্রীর ১১ বছরের সন্তানকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন একজন বাবা। পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়েছেন গ্রেপ্তার হওয়া আসামি ঘাতক বাবা মহিউদ্দিন। </p> <p>আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) টঙ্গী পূর্ব থানার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জিএমপির অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার আলমগীর হোসেন। গ্রেপ্তারকৃত ওই আাসামির ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।</p> <p>আলমগীর হোসেন জানান, নতুন জামা কিনে দেওয়ার কথা বলে আব্দুর রহমান মুসা (১১) নামে একমাত্র ছেলেকে খুনের অভিযোগে নিহতের মায়ের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ওই বাবা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ আাসামিকে গ্রেপ্তার করে। </p> <p>এর আগে নিহতের মা শরিফুন নেছা বাদী হয়ে চারজনকে অভিযুক্ত করে এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত অন্যরা হলেন, গ্রেপ্তারকৃত মহিউদ্দিনের মা শাহানা বেগম (৫৫), ছোট ভাই সজিব (২০) ও দ্বিতীয় স্ত্রী ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার বাউনকান্দা গ্রামের আজিজুল শেখের মেয়ে সুমনা (২৬)।</p> <p>নিহতের মায়ের অভিযোগের বরাত দিয়ে সম্মেলনে বলা হয়, মহিউদ্দিন ও শরিফুন নেছা দম্পতির ১৬ বছরের সাংসারিক জীবনে আব্দুর রহমান মুসা তাদের একমাত্র সন্তান। কিছুদিন আগে মহিউদ্দিন জনৈকা সুমনাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ নিয়ে সংসারে বিবাদ সৃষ্টি হয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর শরিফুন নেছা কর্মস্থল থেকে বাসায় এসে দুপুরের খাবার খাওয়ার পর আব্দুর রহমান ছেলে মুসাকে নতুন জামা কিনে দেওয়ার কথা জানায়। এরপর ছেলেকে বাসায় রেখে পুনরায় কর্মস্থলে যান শরিফুন নেছা। বিকেল সাড়ে ৫টায় মুসাকে জামা কিনে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যায় মহিউদ্দিন। পরে শিশুর মা বাসায় এসে তাকে না পেয়ে তার বাবাকে ফোন করলে মুসাকে খুঁজে পাচ্ছে না বলে জানিয়ে ফোনটি বন্ধ করে দেয়। </p> <p>সম্মেলনে বলা হয়, গত ২২ সেপ্টেম্বর টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি জিডি করেন শিশুর মা। এর সূত্র ধরে ফরিদপুর ভাঙ্গা থানা পুলিশ সতীন সুমনার বাড়ি থেকে মহিউদ্দিনকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা তুরাগ থানার দিয়াবাড়ী কাশবনে ছেলে মুসাকে শ্বাসরোধে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। পরে মহিউদ্দিনের দেওয়া তথ্য মতে, ডিএমপি দিয়াবাড়ীর কাশবনের ঝোপের ভেতর থেকে মুসার লাশ উদ্ধার করে। এ সময় মহিউদ্দিনের মা, ভাই ও দ্বিতীয় স্ত্রীর যোগসাজশে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও জানানো হয়।</p>