<p style="text-align:justify">চট্টগ্রামের রাউজানে এক কোটি টাকার চাঁদা না দেওয়ায় ইটভাটায় সন্ত্রাসী হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাউজান থানায় মামলা করা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">গত রবিবার রাতে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাউজান ব্রিক ম্যানুফ্যাকচার (আরবিএম) অফিসকক্ষে এ হামলার ঘটনা ঘটে।</p> <p style="text-align:justify">প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ইটভাটায় প্রবেশ করে অস্ত্রধারী কয়েকজন ব্যক্তি। ইটভাটার অফিসকক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা। এ সময় তারা তিন লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">মামলা সূত্রে জানা যায়, এ সময় ইটভাটার শ্রমিক কবির হাসান ও দিদার হাসানকে মারধর করা হয়। অন্যদিকে খবর পেয়ে স্থানীয় একাধিক মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। তখন স্থানীয়রা চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে।</p> <p style="text-align:justify">পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, একটি মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফেলে যাওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন জব্দ করে।</p> <p style="text-align:justify">ইটভাটার স্বত্বাধিকারী হলেন রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এস এম শহিদ উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘গত ৫ ডিসেম্বর কয়েকজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী আমার ইটভাটায় এসে এক কোটি টাকার চাঁদা দাবি করেন। ১০ ডিসেম্বর দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে ফের এসে চাঁদা দাবি করেন।’</p> <p style="text-align:justify">এরপর ১৩ ডিসেম্বর এক কোটি টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা বাদ দিয়ে ৮০ লাখ টাকার চাঁদা দাবি করেন। ১৫ দিনের মধ্যে চাঁদা না দিলে ইটভাটা ভেঙে দেওয়া ও আমাকে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়।</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় আমার ইটভাটার অফিসকক্ষে হামলা চালিয়ে টাকা লুট করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে আজ মামলা করেছি।’</p> <p style="text-align:justify">মামলার আসামিরা হলেন আজিজ উদ্দিন (৫২), মো. রাসেল (৩২), মো. রাকিব (৩০), নুরুন্নবী (৩০), শহিদুল ইসলাম (৩৫), মো. ইব্রাহীম (২৮), মো. আফসার (৩৮)।</p> <p style="text-align:justify">এ প্রসঙ্গে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘রবিবার রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। পরে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাস্থল থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘ভুক্তভোগী ইটভাটা মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, চাঁদা না দেওয়ায় ইটভাটায় হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় উল্লেখিত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’</p>