বাবাকে চিনি না, ১৭ বছর পর বাবার মুখ দেখব : কারামুক্ত সিপাহির মেয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
শেয়ার
বাবাকে চিনি না, ১৭ বছর পর বাবার মুখ দেখব : কারামুক্ত সিপাহির মেয়ে
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে ১৭ বছর পর মুক্তি পাওয়া বিডিআর সিপাহি জামাল উদ্দিন খানকে বরণ করতে এসেছেন তার মেয়ে জুয়েনা জামাল ঐশী। ছবি : কালের কণ্ঠ

‘আমার বাবাকে আমি দিখিনি। তাকে চিনিও না। বড় হয়ে শুনেছি, আমার বয়স যখন এক, তখন বাবাকে বিডিআর হত্যা মামালায় আসামি করে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাবার মুখ দেখতে পাব।

এই অনুভূতির কথা বলে শেষ করা যাবে না। কোনো দিন বাবার আদর পাইনি। আজ মন ভরে বাবাকে দেখব।’ 

জুয়েনা জামাল ঐশী যখন কথা বলছিলেন তখন তার গাল বেয়ে পড়ছিল চোখের পানি।

জুয়েনা ঢাকা বিডিআর সিপাহি জামাল উদ্দিন খানের মেয়ে। জুয়েনার সঙ্গে তার মাসহ অন্য স্বজনরাও ছিলেন ফুল হাতে কারাফটকের সামনে।   

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার কিছু সময় পর কারাফটক দিয়ে বের হয়ে হাসেন ঢাকা সদর ব্যাটিলয়নের সিপাহি আবু হাসান (৩৬)। গলায় ফুলের মালা দিয়ে স্বজনারা তাকে ঘিরে আনন্দে মেতে ওঠেন।

 

আবু হাসান জানান, ‘যখন বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে তখন আমার চাকরির বয়স মাত্র ছয় মাস। পিলখানাতে পাঁচটি গেট আছে। সেই পাঁচটি গেটের একটাও আমি চিনতাম না। অথচ আমাকে করা হয়েছে মামলার আসামি। যেসব স্যারকে পিতা সমতুল্য সম্মান করতাম তাদের হত্যার দায়ে মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করতে হয়েছে ১৬টি বছর।

’ 

তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া মুক্ত হতে পেরেছি। সরকারের কাছে একটাই দাবি, বিনা অপরাধে জেলা খেটেছি। এখন যেন হারানো সম্মান ফিরে পাই। চাকরি ফেরত পাই।’

কারো হাতে ফুল, কারো হাতে ফুলের মালা। চোখে-মুখে আন্দের ঝিলিক। কারা ফটক দিয়ে একে একে বের হতেই কেউ স্বজনদের বুকে জড়িয়ে ধরছেন। সান্নিধ্যের উষ্ণ পরশ পেয়ে খুশিতে কেউ বুক ভাসাচ্ছেন চোখের পানিতে। 

বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় সৈনিকদের জামিনে মুক্তি পাওয়া উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুরের কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সের সামনে ছিল এমন ব্যতিক্রমী পরিবেশ।  

১২৬ বিডিআর সদস্যের মুক্তির খবরে সকাল থেকে আজ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। প্রথমে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১৩ জন বিডিআর সদস্য মুক্তি পেয়ে বের হন। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে পর্যায়ক্রমে মুক্তি পান কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে ২৪ জন এবং কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে ৮৯ জন  মিলিয়ে মোট ১২৬ জন।

এ সময় জামিনে মুক্তি পাওয়া বিডিআর সদস্যরা পরিবারের সদস্যদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েনন। অনেকে খুশিতে স্ত্রী-সন্তানদের বুকে জড়িয়ে ধরেন। পরিবার ও বিডিআর সদস্যদের আহাজারিতে কারাগারের প্রধান ফটকে হৃদয় বিদারক আবহের সৃষ্টি হয়। 

জামিনে মুক্তি পাওয়া ময়মনসিংহ ৪৫ ব্যাটালিয়ানের সিপাহি মো. এনামুল বলেন, ‘আমরা নিরপরাধ ছিলাম। মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। আমাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। সব প্রকার সুযোগ-সবিধা দিতে হবে। এ ঘটনায় যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের শাস্তি দিতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ওই সময় আমাদের মিথ্যা সাক্ষী দিতে বলা হয়েছিল। কার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে হবে আমরা কিছুই জানি না। সাক্ষী দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাদের মামলার আসামি করে কারাগারে পাঠায় খুনি হাসিনা সরকার।’

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে মুক্তি পাওয়া হাবিলদার সোলায়মান ও শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া, আজ আমরা জামিনে মুক্তি পেয়েছি। আমাদের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষী ছিল না। তাও ১৬টি বছর মিথ্যা মামলায় জেল খাটতে হয়েছে।’

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহী হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় বৃহস্পতিবার ভোরে ১২৬ জন জওয়ানের জামিনের আদেশ কারাগারে এসে পৌঁছে। পরে যাচাই-বাছাই শেষে ১২৬ জন বিডিআর জওয়ানকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। 

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহী জওয়ানরা সংস্থাটির সদর দপ্তর রাজধানীর পিলখানায় নারকীয় তাণ্ডব চালায়। তখন তাদের হাতে প্রাণ হারান ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ ব্যক্তি। এই বিদ্রোহের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দুই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় হত্যা ও বিষ্ফোরক আইনে পৃথক দুটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২৭৮ জন খালাস পান। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর এই মামলায় হাইকোর্টে আপিলের রায় হয়। 

অপরদিকে বিস্ফোরক মামলায় আসামি ৮৩৪ জন। মামলাটি হত্যা মামলার সঙ্গে বিচার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করা হয়নি। এক পর্যায়ে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম এক প্রকার স্থগিত করে দেয় রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে মামলাটির বিচারকাজ শেষ হতে বিলম্ব হয়।

সর্বশেষ গত ২০ জানুয়ারি রবিবার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়েছেন হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ও যাদের বিরুদ্ধে কোনো আপিল হয়নি এমন দুই শতাধিক আসামি। কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ইব্রাহিম মিয়ার অস্থায়ী আদালত তাদের এই জামিন দেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঘটনাস্থলে না থেকেও আসামি ফিরোজা বেগম

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
শেয়ার
ঘটনাস্থলে না থেকেও আসামি ফিরোজা বেগম
জেলার মানচিত্র

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পুত্রবধূ হত্যা মামলায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেও ফিরোজা বেগম (৪৫) নামের এক শাশুড়িকে আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ মোসা. জান্নাতুল ফেরদৌসকে (২২) তার স্বামী এবং শাশুড়ি যৌতুকের দাবিতে মারধর করে হত্যা করে। প্রাথমিকভাবে ভিকটিমের স্বামী বিষয়টি আত্মহত্যা মর্মে প্রচার করে এবং তাৎক্ষণিক ভিকটিমকে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমের সুরতহাল রির্পোট প্রস্তত করে এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তের উদ্দেশে প্রেরণ করে।

 

আরো পড়ুন
জাসদ কেন অন‍্য দলের জন্য শাস্তি ভোগ করবে, প্রশ্ন ফারাহ খানের

জাসদ কেন অন‍্য দলের জন্য শাস্তি ভোগ করবে, প্রশ্ন ফারাহ খানের

 

যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৃতের পিতা উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের চত্রা গ্রামের মো. হাবিবুর রহমান(৫২) মির্জাগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করেন।

যাতে তার জামাই মো. ফিরোজ সিকদারকে ১নং এবং ফিরোজের মাতা মোসা. ফিরোজা বেগমকে ২নং আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে যৌতুকের দাবিতে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে এই মর্মে মামলা দায়ের করেন।  স্ত্রীকে নিয়ে আসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ফিরোজ সিকদারকে প্রথমে জিজ্ঞাসা করার জন্য থানায় আনা হয়, মামলা করা হলে একদিন পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলাটি তদন্তাধীন আছে।

 

তবে স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ফিরোজ সিকদার ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস দুইজন বাড়িতে ছিল। ফিরোজা বেগম ঘটনার আগের দিন সকাল থেকে বাড়ি ছিলেন না। সুবিদখালীতে তার বাবার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ছিলেন।

সাতবাড়িয়া হাজীখালী গ্রামের প্রতিবেশী সুজন সিকদার জানান, ঘটনা সংঘটিত হয় ১৩ মার্চ সন্ধ্যায়।

ওই সময় ফিরোজা বেগম বাড়িই ছিলেন না‌। তিনি তার বাবার বাড়িতে গিয়েছেন ইফতার ও দোয়ায় অংশগ্রহণের জন্য।

আসামি ফিরোজা বেগমের পিতা উপজেলার পূর্ব সুবিদখালী গ্রামের মো. আব্দুল হাই হাওলাদার জানান, আমার বাড়িতে ইফতার করাইছি বৃহস্পতিবার। আমার মেয়ে আগেরদিন বুধবার সকালে আমার বাড়িতে বেড়াইতে আসছে। আপনারা আশেপাশের সবার কাছে জাইন্না দেখেন ফিরোজা সহ আমার তিন মেয়ে আমার এখানেই ছিল।

ফিরোজা বেগমের বাবার বাড়ির প্রতিবেশী নিজাম রাঢ়ীর স্ত্রী সোনিয়া বেগম (৩০), সুবিদখালী গ্রামের দফাদার বাড়ির জানে আলমের স্ত্রী মোসা. নুপুর বেগম (৪২) সহ কয়েকজন ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ বুধবার ফিরোজা বেগম বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন এবং ঘটনার সময় এখানে ছিলেন বলে নিশ্চয়তা দেন।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাওলাদার বলেন, মেয়ের বাবার অভিযোগ যৌতুকের জন্য ছেলের সাথে পুত্রবধূকে নির্যাতন করতো শাশুড়ি। মামলার তদন্ত চলছে। শাশুড়ি তদন্তে নিরাপরাধ প্রমাণিত হলে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আওয়ামী প্রশাসনকে এখনো পরিবর্তন করতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার : অলি আহমদ

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
আওয়ামী প্রশাসনকে এখনো পরিবর্তন করতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার : অলি আহমদ
ছবি : কালের কণ্ঠ

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীরবিক্রম) বলেছেন, আওয়ামী প্রশাসনকে এখনো পরিবর্তন করতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। ড. ইউনূস আওয়ামী লীগকে এখনো ভয় পায়। তাই তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি।

শনিবার (১৫ মার্চ) দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভা এলডিপি আয়োজিত সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

অলি আহমদ বলেন, দুর্নীতিবাজ লুটেরা কর্মকর্তাদের পিটিয়ে গণধোলাই দিয়ে প্রশাসন থেকে তাড়াতে হবে। ভয় পেলে চলবে না। বেঁচে থাকতে হলে সিংহের মতো বাঁচতে হবে। 

আরো পড়ুন
রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলানো না গেলে কোনো সংস্কার কাজে আসবে না: আমীর খসরু

রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলানো না গেলে কোনো সংস্কার কাজে আসবে না : আমীর খসরু

 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে।

শেখ হাসিনার আত্মীয়-স্বজনসহ আওয়ামী লীগের লোকজন ভারতে পালিয়ে সেখানে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছে। তারা মুসলমান নয় এবং এ দেশের নাগরিকও নয়, ভবিষ্যতে তাদের এ দেশে আর আসতে দেওয়া হবে না। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে এই রাজনীতিবিদ আরো বলেন, ক্ষমতার লোভ না করে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করলে একদিন ক্ষমতা নিজের হাতে এসে ধরা দেবে। আওয়ামী লীগের লোকজন যাতে দলের ভেতর ঢুকে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান তিনি।

পটিয়া উপজেলা এলডিপির সভাপতি মনছুর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সভাপতি শিল্পপতি এম এয়াকুব আলী।

এলডিপি নেতা আবদুল কুদ্দুস ও আইয়ুব আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শিমুল, চন্দনাইশ উপজেলা এলডিপির সভাপতি মোতাহের মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আকতারুল আলম প্রমুখ।

মন্তব্য

রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলানো না গেলে কোনো সংস্কার কাজে আসবে না : আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলানো না গেলে কোনো সংস্কার কাজে আসবে না : আমীর খসরু
সংগৃহীত ছবি

রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে। একে অপরের প্রতি সহনশীল, শ্রদ্ধাশীল হতে হবে, সম্মানবোধ থাকতে হবে। আমাদের মধ্যে মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও একে অপরকে সম্মান জানানো, এটা শিখতে হবে। তা না হলে শত সংস্কারেও কোনো লাভ হবে না।

যদি রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলানো না যায়, কোনো সংস্কার কাজে আসবে না।

শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উদ্যোগে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জনগণ সমর্থিত সংসদ ও সরকার ব্যতীত সুষ্ঠু গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় জানিয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের জনগণ তাদের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত করে সংসদ ও সরকার গঠন করে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে চায়। একেকটি দিন অতিবাহিত হচ্ছে, গণতন্ত্রহীন দেশ হিসেবে।

যেখানে জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই।

আরো পড়ুন
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ

 

তিনি আরো বলেন, জনগণের সমর্থনবিহীন কোনো দেশ সরকার, পুলিশ বা কোনো সরকারি কর্মকর্তা চালায় না। তাদের মূলশক্তি হচ্ছে জনগণের সমর্থিত একটি নির্বাচিত সরকার। এটাই মূলশক্তি।

এটার ওপর ভিত্তি করে পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তারা চলে। তাই জনগণ সমর্থিত সংসদ সরকার ব্যতীত কোনো দিনও সুষ্ঠু গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা যাবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশকে একটি গণতান্ত্রিক অর্ডারের দিকে নিতে পারি সবাই মিলে সেভাবে কাজ করব।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মনজারে খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে ও সম্মানিত সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খান মো. আমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার নুরুল করিম, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যাব) চট্টগ্রাম সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সেলিম মোহাম্মদ জানে আলম, এফইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোমিনুল হক, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, সিএমইউজের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ প্রমুখ। 

মন্তব্য

দেশীয় পাঞ্জাবিতে ভারতীয় ব্র্যান্ডের ট্যাগ, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
দেশীয় পাঞ্জাবিতে ভারতীয় ব্র্যান্ডের ট্যাগ, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামে দেশে তৈরি পাঞ্জাবিতে ভারতীয় ব্র্যান্ডের ট্যাগ লাগিয়ে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজারে শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নিয়মিত তদারকি অভিযানে এই জালিয়াতি ধরা পড়ে।

এদিন সেলিম পাঞ্জাবি মিউজিয়াম ও পরীস্থান নামের দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বিক্রেতারা এসব পাঞ্জাবির দেশি-বিদেশি কোনো ক্রয় ভাউচারও দেখাতে পারেননি।

পরে ভোক্তা অধিকার দুটি প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করে। পাশাপাশি একটি রেস্তোরাঁকেও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় ও জেলা কার্যালয়ের যৌথ অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ ও সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান। 

কর্মকর্তারা বলেন, মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা করায় সেলিম পাঞ্জাবি মিউজিয়ামকে দুই লাখ টাকা ও পরীস্থানকে এক লাখ টাকা এবং পুরবী ফুডস অ্যান্ড বিরিয়ানি নামের একটি রেস্তোরাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত ও মেয়াদোত্তীর্ণ দইতে ময়লা-আবর্জনা পাওয়ার অভিযোগে রেস্তোরাঁটিকে জরিমানা করা হয়।

জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং ব্যবসায়ীদের যথাযথ নিয়ম মেনে পণ্য বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ