ঢাকা, শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫
১৫ চৈত্র ১৪৩১, ২৮ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫
১৫ চৈত্র ১৪৩১, ২৮ রমজান ১৪৪৬

সাভারে শেখ হাসিনাসহ ১৫০৬ জনের নামে হত্যা মামলা

সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
শেয়ার
সাভারে শেখ হাসিনাসহ ১৫০৬ জনের নামে হত্যা মামলা
সংগৃহীত ছবি

সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ এক হাজার ৫০৬ জনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। 

শুক্রবার রাতে নিহতের চাচা ফুয়াদ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। শনিবার দুপুরে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুয়েল মিঞা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত মাদরাসা শিক্ষার্থীর নাম হাসিবুর রহমান (১৮)।

তিনি মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার কালাইপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ঢালির ছেলে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের খবর শুনে ছাত্র-জনতা বিজয় মিছিল নিয়ে সাভার থানার দিকে যাওয়ার সময় পথে গুলিবিদ্ধ হন হাসিবুর রহমান। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ আগস্ট হাসিবুর মারা যান।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক প্রধান হারুন আর রশিদ ও সাভার আশুলিয়ায় গণহত্যা কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি প্রমুখ।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুয়েল মিঞা বলেন, মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পরস্পরের যোগসাজশে হত্যা এবং হত্যার হুকুম দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। 

আসামিদের মধ্যে দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার দেখিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এদের মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফিকে আটক করা হয় এবং পরদিন সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উভয়ই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

‘আমাদের কিসের ঈদ, ৭ বছরের নৌফা বারবার শহীদ বাবাকে খোঁজে’

শাহীন আলম, কুমিল্লা (উত্তর)
শাহীন আলম, কুমিল্লা (উত্তর)
শেয়ার
‘আমাদের কিসের ঈদ, ৭ বছরের নৌফা বারবার শহীদ বাবাকে 
 খোঁজে’
দেবীদ্বারের শহীদ আবদুর রজ্জাক রুবেলের পরিবার। ছবি : কালের কণ্ঠ

সবার ঘরেই বইছে ঈদুল ফিতরের আমেজ। কিন্তু কুমিল্লায় জুলাই আন্দোলনে শহীদ হওয়া ৩৮ শহীদ পরিবারে নেই ঈদ আনন্দের ছিঁটেফোটা। গত বছরও যে পরিবারগুলোতে ঈদের আনন্দ ছিল আজ তা শুধুই স্মৃতি। তাদের পরিবারে এবারের ঈদ যেন বিষাদের ঈদ।

এসব শহীদদের অনেকেই ছিলেন সংসারের একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের হারিয়ে দিশেহারা পরিবারগুলো। তাদের কেউ হারিয়েছেন বাবা, কেউবা সন্তান কেউ আবার স্বামী।

জুলাই ছাত্র আন্দোলনে কুমিল্লা জেলায় ৩৮ শহীদের মধ্যে দেবিদ্বারেই শহীদ হয়েছেন ১৩ জন।

এছাড়াও বরুড়ায় ৩ জন, চান্দিনায় ২ জন, চৌদ্দগ্রামে ২ জন, দাউদকান্দিতে ৩ জন, হোমনায় ১ জন, লাকসাম ২ জন, মনোহরগঞ্জে ১ জন, মুরাদনগরে ৪ জন, নাঙ্গলকোটে ৩ জন, সদর দক্ষিণে ২ জন ও তিতাসে ১ জন শহীদ হয়েছেন।

৪ আগস্ট ছাত্রআন্দোলন চলাকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌরসভায় আওয়ামীলীগ-যুবলীগ কর্মীদের গুলিতে নিহত হন আবদুর রজ্জাক রুবেল। সংসারের একমাত্র উপর্জনোক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। স্বামীকে হারিয়ে এখনও শোকে স্তব্ধ তাঁর স্ত্রী হ্যাপী আক্তার।

দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে এবারের ঈদ তার কাছে যেন বিষাদের ঈদ।

হ্যাপী আক্তার বলেন, আমাদের কীসের ঈদ! ৭ বছরের নৌফা বারবার বাবাকে খুঁজে। সে এখনো জানে না তার বাবা নেই। কোলে পাঁচ মাসের মো. রাইয়ান বাবাকে দেখেনি। গত বছর ঈদে সবার জন্য নতুন জামা-কাপড় নিয়ে আসছিল নৌফার বাবা।

প্রতিবেশীদের ঘরে নতুন জামা কাপড় দেখে ঘরে এসে কান্না করছিল। ওর বাবা বেঁচে থাকলে কিনে দিত। পাষণ্ডরা আমার স্বামীকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমাদের জীবনে আর কোনোদিন সেই ঈদের আনন্দ আসবে না। আর ঈদ নেই আমার পরিবারে।

বাড়ির পাশের একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে ২০ জুলাই নিহত দেবিদ্বারের সূর্যপুর গ্রামের শহীদ কাদির হোসেন সোহাগকে। কবরের পাশে প্রায় সময়ই দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করেন তাঁর মা নাসিমা বেগম। কাদির হোসেন সোহাগের বাড়ি সূর্যপুর গ্রামে। 

তার মা নাসিমা বেগম বলেন, স্বামীকে হারিয়েছি ২০ বছর আগে। মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে দুই সন্তানকে বড় করেছি। কাদির হোসেন সোহাগ কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করে সংসার চালাত। আর ছোট ছেলে শহীদুল লেখাপড়া করত। গত ২০ জুলাই রাতে সাড়ে ৮টার দিকে গোপীবাগ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সোহাগ। এরপর থেকে সংসারে আনন্দ বলতে কিছু নেই। গত বছর ঈদে আমাকে কাপড় কিনে দিয়েছে সোহাগ। এই ঈদে আমার বুকের ধন কাছে নেই। আমি কীভাবে সন্তান ছাড়া ঈদ করব!

চৌদ্দগ্রামের শহীদ সাখাওয়াত হোসেন সাদাতের বাবা আব্দুল মজিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ছেলে হারানোর শোকে পুরো পরিবার স্তব্ধ। ঈদ বলতে কিছু নেই। সাদাতের মা এখনো ছেলের জন্য কান্নাকাটি করেন। তাকে সান্তনা দেওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।

এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, কুমিল্লার ৩৮ শহীদ পরিবারের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ঈদ উপহার ও খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও সরকারি অনুদানের সঞ্চয়পত্র প্রথম কিস্তির ১০ লাখ টাকা এসেছে। আমি নিজে এগুলো বিতরণ করেছি এবং যারা আহত আছেন তাদের জন্য ১ ক্যাটাগরিতে ২ লাখ ও ১ লাখ করে বিতরণ করা হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, যারা জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহত হয়েছেন আমরা তাদের পরিবারের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছি।

মন্তব্য

বোনকে বাড়ি আনতে গিয়ে প্রাণ গেল ভাইয়ের

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
শেয়ার
বোনকে বাড়ি আনতে গিয়ে প্রাণ গেল ভাইয়ের
প্রতীকী ছবি

পাবনার চাটমোহরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় লাতিব হোসেন (১৭) নামের এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। শনিবার (২৯ মার্চ) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার রামনগর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সে একই উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের দোলং গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে ও স্থানীয় একটি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র।

জানা গেছে, শনিবার দুপুরে বাবার মোটরসাইকেল নিয়ে রামনগর এলাকায় চাচাতো বোনকে আনতে যায় লাতিব।

এ সময় রামনগর বাজার এলাকায় মোড় ঘোড়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রতগামী একটি মাটি টানা ট্রলির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় লাতিবের মোটরসাইকেলের। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে মারা যায় লাতিব। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক গাড়িটি আটক করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

মন্তব্য

আতশবাজি কেনার টাকা না পেয়ে কিশোরের আত্মহনন

ভাংগা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ভাংগা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
আতশবাজি কেনার টাকা না পেয়ে কিশোরের আত্মহনন

ভাঙ্গায় আতশবাজি কেনার টাকা না পেয়ে বিষপান করে অপু শেখ (১৫) নামের এক কিশোর আত্মহনন করেছে। শনিবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে ফরিদপুর মেডিক্যাল হাসপাতাল থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহত অপু উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের মানিকদহ গ্রামের কৃষক মনির শেখের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, অপু শেখ আতশবাজি কেনার বায়না করে তার বাবা-মায়ের কাছে।

তার বাবা-মা আতশবাজি কেনার টাকা দিতে অস্বীকার করলে অভিমান করে বুধবার (২৬ মার্চ) পরিবারের সকলের অগোচরে ঘাস মারা বিষ পান করে সে। পরবর্তীতে অপু তার মামাকে জানায় সে ঘাস মারা ঔষধ খেয়েছে। এই ঘটনা জানার পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দুইদিন যাবৎ তার চিকিৎসা চলতে থাকে।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা ঢাকায় রেফার্ড করেন। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে বেলা ১১ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।  

এ বিষয়ে ভাংগা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, বিষপানে কিশোরের মৃত্যুর সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


 

মন্তব্য

ঈদ বোনাসের টাকা খরচ করায় বীরাঙ্গনা মাকে পেটাল ছেলে ও বউ

পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
শেয়ার
ঈদ বোনাসের টাকা খরচ করায় বীরাঙ্গনা মাকে পেটাল ছেলে ও বউ
সংগৃহীত ছবি

ঈদ বোনাসের টাকা খরচ করে ফেলায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে জাহানারা নামে এক বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা নারীকে পিটিয়ে আহত করেছে তার ছেলে ও ছেলের বউ। শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে পীরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পয়েন্ধা বিশমাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুত্র ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বীরঙ্গনা। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঈদ বোনাস হিসেবে গত কয়েক দিন আগে ১০ হাজার টাকা পান বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা জাহানারা।

সে টাকা খরচ করে ফেলেন তিনি। শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে তার ছেলে কামাল হোসেন ও ছেলের বউ নারগিস বেগম বোনাসের টাকা চায়। টাকা খরচ করে ফেলায় তিনি তাদেরকে টাকা দিতে পারেননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলে ও বউমা তাকে মারপিট করে আহত করে।
স্থানীয়দের সহযোগীতায় পীরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ওই বীরাঙ্গানা মুক্তিযোদ্ধা। পরে ছেলে ও ছেলের বউয়ের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা জাহানারা জানায়, মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকার জন্য তার ছেলে ও ছেলের বউ তাকে ইতিপূর্বেও গালিগালাজ করাসহ মারপিটও করেছে। মা হয়ে তিনি তা সহ্য করেছেন।

কিন্তু এবার তার আর সহ্য হয়নি। বাধ্য হয়েই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মারধরের কথা অস্বীকার করে ছেলে কামাল হোসেন জানান, আমরা মাকে মারপিট করিনি। তবে পরিবারে একসাথে চলতে গেলে একটু আধটু ঝামেলা হয়েই থাকে। এটা তেমন কোন বিষয় না।

 

পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ