ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

বিশ্ব ইজতেমা : আখেরি মোনাজাতের অপেক্ষায় সমাপ্তি আসর

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
শেয়ার
বিশ্ব ইজতেমা : আখেরি মোনাজাতের অপেক্ষায় সমাপ্তি আসর
ছবি: কালের কণ্ঠ

৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিশ্ব ইজতেমার ৫৮ তম আসরের আজ সমাপ্তি হচ্ছে। বেলা ১২ টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই ধর্মীয় সমাবেশ। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন মাওলানা সাদের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।

আরো পড়ুন
পাকিস্তানে চার সেনাসহ ১৯ সন্ত্রাসী নিহত

পাকিস্তানে চার সেনাসহ ১৯ সন্ত্রাসী নিহত

 

আজকের সমাপ্তি পর্বে ফজরের পরে বয়ান শুরু করেন, দিল্লি নিজামউদ্দিন, মারকাজের মাওলানা মোরসালিন, তরজমায় মুফতি আজিম উদ্দিন।

সকাল সাড়ে ৯ টায় হেদায়েতের বয়ান দিয়ে শুরু হওয়া আমল শেষ হবে বেলা ১২ টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন  মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।

নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হলো যেভাবে

ইজতেমা সৃষ্টির ইতিহাসে এবারের ৫৮ তম ইজতেমা একাধিক কারণে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। ইতিহাসের মধ্যে ইজতেমা শুরুর আগেই চারজন মুসল্লি নিহত হয়েছেন।

এই ঘটনায় ইজতেমায় এই প্রথম তিনটি আখেরি মোনাজাতের জন্ম হলো। তিনটি আখেরি মোনাজাতের কারণে এবারই প্রথম শবেবরাত পড়ে গেল ইজতেমায়। আর বিশ্ব ইজতেমায় শবেবরাত পালনের মাধ্যমে আরেকটি নতুন ইতিহাসের জন্ম দিল এবারের বিশ্ব ইজতেমা।

আরো পড়ুন
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সিএনজি চালকদের অবরোধ, তীব্র যাত্রী ভোগান্তি

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সিএনজি চালকদের অবরোধ, তীব্র যাত্রী ভোগান্তি

 

শবেবরাতের ফলে অনেক মুসল্লি এক সঙ্গে ইজতেমা ময়দানে দুই দিন রোজা রেখে ও ইফতার করে নতুন ইতিহাসের জন্ম দিল।

জানা যায়, ২০১১ সালে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্ব ইজতেমাকে দুই ভাগে ভাগ করে প্রথম বিভক্তির জন্ম দেয়। ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর মাওলানা সাদের আগমন ঠেকাতে সৃষ্ট সংঘর্ষে দুইজন মুসল্লি নিহত হন। এরপর থেকে দুই বছর করোনার জন্য ইজতেমা হয়নি। ২০২৩ সাল পর্যন্ত সাদ ও জুবায়ের গ্রুপ পৃথকভাবে দুই পর্বে ইজতেমা করে। ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাতে ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষ হয় ও এতে চারজন মুসল্লি নিহত হন।

 

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতায় এবার বিশ্ব ইজতেমায় তিনটি আখেরি মোনাজাতের সৃষ্টি হয়। প্রথম পর্বে দুই ধাপে দুটি আখেরি মোনাজাত করেন শূরায়ি নেজাম বা জুবায়ের পন্থীরা। দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আরেকটি আখেরি মোনাজাত।  মানে এই বছর দুটি থেকে তিনটি আখেরি মোনাজাতের জন্ম হল।

আরো পড়ুন
ছাত্রদের রাজনৈতিক দল আসছে কবে? যা জানা গেল

ছাত্রদের রাজনৈতিক দল আসছে কবে? যা জানা গেল

 

এদিকে সাদপন্থীদের পূর্ব নির্ধারিত ইজতেমা ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার তাদেরকে ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা করতে দেয়। এতে ১৪ ফেব্রুয়ারি পবিত্র শবেবরাত হওয়ায় ইজতেমা ময়দানেই প্রথমবারের মত পালিত হয় পবিত্র শবেবরাত।  মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে শবেবরাত পালন করে শুক্রবার ও শনিবার রোজা, সেহরি ও ইফতার এক সঙ্গে করার সুযোগ পায়। 

আরো পড়ুন
অনেক দাবিদাওয়ার ফিরিস্তি নিয়ে ডিসি সম্মেলন শুরু আজ

অনেক দাবিদাওয়ার ফিরিস্তি নিয়ে ডিসি সম্মেলন শুরু আজ

 

সাধারণ মুসল্লিরা বলছেন, 'তিনটি নয়, আমরা একটি আখেরি মোনাজাত করতে চাই। এভাবে যদি আখেরি মোনাজাত বাড়তে থাকে তবে এমন সময়ও আসতে পারে যে, অনেক আখেরি মোনাজাত সৃষ্টি হয়ে ইজতেমার প্রতি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আগ্রহই কমে যাবে। তাই আর আখেরি মোনাজাত সংখ্যায় না বাড়িয়ে একটি আখেরি মোনাজাতের ব্যবস্থা করা উচিত।' আর তা করতে না পারলে বাংলাদেশে ইজতেমা বিতর্কিত হয়ে দেশান্তরিতও হতে পারে বলে আশঙ্কা মুসল্লিদের।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রামুতে গরু চোরাচালান নিয়ে গোলাগুলি, নিহত ১

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার ও রামু প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার ও রামু প্রতিনিধি
শেয়ার
রামুতে গরু চোরাচালান নিয়ে গোলাগুলি, নিহত ১
প্রতীকী ছবি

মায়ানমারের গরু চোরাচালানের বিরোধকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের রামুর কাউয়ারখোপে গোলাগুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

নিহত মো. নবী হোসেন (৪০) কাউয়ারখোপের পশ্চিম গনিয়াকাটা এলাকার মৃত আলী আকবরের ছেলে।

সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন বিকাল ৫টার দিকে কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড উখিয়ারঘোনা রাবার বাগান চৌধুরী খামার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, সীমান্ত ফাঁকি দিয়ে মায়ানমার থেকে চোরাচালানে আনা গরুর চালান টানার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোলাগুলিতে তিনি ঘটনাস্থলে নিহত হন।

এদিকে পুলিশ বলছে, খুনের ঘটনাটি তদন্তে উঠে আসবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, নিহত মো. নবীর ঘনিষ্ঠজন মো. হানিফ, মো. হাছন, মো. হোছন ও সানী গরু পাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। 

রামু থানার অফিসার ইনচার্জ ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে কাজ করছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দুর্গম সীমান্ত দিয়ে মায়ানমার থেকে পাচার করে আনা গরুর অবৈধ কারবার চলছে গত কয়েক বছর ধরে।

রামুর সাবেক হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমলের পৃষ্ঠপোষকতায় শাহীন ডাকাত গ্রুপের বিশাল বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা সীমান্ত থেকে গরু পাচারে জড়িত রয়েছে।

মায়ানমারের চোরাই গরু রামু উপজেলার গর্জনিয়া বাজারে বিক্রির জন্য তোলা হয়। এরপর প্রতি গরু পিছু ৮/১০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি রশিদ নিয়ে মায়ানমারের গরুকে করা হয় দেশীয় গরু। 

এ কারণে গর্জনিয়া বাজারটির নীলাম ডাক এবার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাজারটি অন্যান্য বছর ২/৩ কোটি টাকায় নিলাম হলেও এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি টাকায়।

মন্তব্য

যশোরে ঈদের রাতে পটকা ফোটানো নিয়ে সংঘর্ষে কিশোর খুন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যশোরে ঈদের রাতে পটকা ফোটানো নিয়ে সংঘর্ষে কিশোর খুন
প্রতীকী ছবি

যশোরে ঈদের রাতে পটকা ফোটানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অলিদ (১৯) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৪ কিশোর। সোমবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার বিরামপুরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রাতের অন্ধকারে বিরামপুর ব্রিজের ওপর আপন, রাশেদুল ও শামীম নামে তিনজন পটকা বাজি ফোটাচ্ছিল।

এ সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিল অলিদ, পিয়াল, আরিফ ও মেহেদী নামে কয়েকজন। তারা দাবি করে, পটকা তাদের গায়ে পড়েছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। এ সময় অলিদসহ অন্যরা আপন, রাশেদুল ও শামীমকে মারপিট ও ছুরিকাঘাত করে।
খবর পেয়ে আপনের বাবা রিপন আলী সেখানে গেলে তাকেও ছুরি মেরে আহত করা হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অলিদ গুরুতর আহত হয়।

পরে স্থানীয়রা আহত আপন, তার বাবা রিপন আলী, শামীম, অলিদ ও রাশেদুলকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় অলিদ। আহতদের মধ্যে রাশেদুলকে খুলনা মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া আপন, তার বাবা রিপন আলী ও শামীম যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, পটকা ফোটানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারিতে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছে। হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।

মন্তব্য

শহীদ ছাত্র বিশালের পরিবারে ঈদের দিনে বিষাদের ছায়া

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাট প্রতিনিধি
শেয়ার
শহীদ ছাত্র বিশালের পরিবারে ঈদের দিনে বিষাদের ছায়া

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জয়পুরহাটের ছাত্র শহীদ নজিবুল সরকার বিশালের পরিবারে নেই ঈদের আনন্দ। ছেলেকে হারিয়ে কান্না থামছে না পরিবারে। সকাল থেকেই বিশালের ছবির অ্যালবাম দেখছেন আর ডুকরে ডুকরে কাঁদছেন মা বুলবুলি খাতুন। বড় ছেলে বিশালকে হারিয়ে যেন ঈদের আনন্দও হারিয়ে গেছে পরিবারে।

 

সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন বিকেলে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর গ্রামের নিহত কলেজছাত্র বিশালদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে বিষন্ন মনে বসে আছেন বাবা মজিদুল সরকার। আর মা বুলবুলি খাতুন চেয়ারে বসে নিহত ছেলে বিশালের ছবির অ্যালবাম দেখছেন আর ছেলের জন্য বিলাপ করছেন। ঈদের দিন হলেও শোকের কারণে রান্না হয়নি তাদের। বিশাল না থাকায় ছোট ছেলে মোমিন ঈদের নামাজ আদায় করলেও ভাইয়ের শোকে না খেয়ে ঈদ পালন করেন ঘুমিয়ে।

 
সান্ত্বনা দিতে কেউ খোঁজ না নেওয়ার অভিযোগ করেন মা বুলবুলি খাতুন। অথচ বিশাল নিহতের পর হাজার বিশাল পাশে থাকার আশ্বাস পেয়েছিলেন তিনি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, চারজনের সংসারে বড় ছেলে বিশাল ছিলেন স্থানীয় বিএম কলেজের শিক্ষার্থী। গত বছরও তারা একসঙ্গে ঈদ করেছেন।
কিন্তু এবার বিশাল না থাকায় তাদের পরিবারে ঈদের আনন্দ শেষ হয়ে গেছে। তিনি ছেলে হত্যার বিচার দাবি করেন। আর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ও নিহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং খুনি হাসিনাসহ প্রকৃত দোষীদের বিচার দাবি করেন বাবা মজিদুল সরকার। 

গেল ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জয়পুরহাট শহরের পাঁচুর মোড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন পাঁচবিবির নাকুরগাছি বিএম কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বিশাল। তার বাবা মজিদুল সরকার শ্যালো ও পাওয়ার টিলার মেকানিক।

মা বুলবুলি খাতুন গৃহিণী। তাদের ছোট ছেলে মোমিন সরকার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

মন্তব্য

ঈদের দিন কুমিল্লায় পৃথক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
শেয়ার
ঈদের দিন কুমিল্লায় পৃথক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। 

সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সদর দক্ষিণ উপজেলা লালবাগ এলাকায় অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় সিয়াম নামে ২০ বছরের এক যুবক এবং সকালে চান্দিনা এলাকার কাঠের পুলে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাইফুল ইসলাম নামে ৩৫ বছর বয়সী ওপর এক যুবক মারা যান।

মিয়াবাজার হাইওয়ে ক্রসিং থানা ও ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানা পুলিশ মরদেহ এবং দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার করেন।

হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সদর দক্ষিণ এলাকায় নিহত সিয়াম মুরাদনগর উপজেলার মিজানুর রহমানের সন্তান এবং সাইফুল ইসলাম ভোলা জেলার চরফ্যাশনের উত্তর চর মাদ্রাজের আবেদ আলীর সন্তান।

 

মিয়াবাজার হাইওয়ে ক্রসিং থানার ওসি শাহাবুদ্দিন জানান, সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সদর দক্ষিণ এলাকার লালবাগ রাস্তার মাথায় একটি দ্রুতগামী অজ্ঞাত গাড়ি সিয়ামের মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এ সময়ে সিয়ামের মোটরসাইকেলে থাকা আরোহী বেঁচে গেলেও ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান সিয়াম। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ সিয়ামকে উদ্ধার করে এবং তার মরদহ চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
  
তিনি আরো বলেন, সিয়ামের পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে।

আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষ করে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
 
এদিকে ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার ওসি ইকবাল বাহার জানান, ঈদের দিন সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনার কাঠেরপুল এলাকায় একটি দ্রুতগামী মোটরসাইকেল সামনে থাকা ট্রাকের পেছনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দেয়। এ সময়ে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক সাইফুল ইসলাম নিহত হন। তার পরিবারের সদস্যদেরকে খবর দেওয়া হয়েছে।

ওসি ইকবাল বাহার বলেন, মোটরসাইকেলটি দ্রুতগামী ছিল যে কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ