সরাইল

ভাতিজাদের বিরোধ মেটাতে গিয়ে প্রাণ গেল চাচার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
ভাতিজাদের বিরোধ মেটাতে গিয়ে প্রাণ গেল চাচার
ছবি: কালের কণ্ঠ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পারিবারিক বিরোধের জেরে মো. আমজাদ আলী (৭৫) নামের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রবিবার রাতে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ভূইশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আমজাদ আলী ভূইশ্বর গ্রামের পাতার হাটি এলাকার প্রয়াড মো. মোগল আলীর ছেলে। ময়নাতদন্তের জন্য ওই বৃদ্ধের লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

হাসপাতাল ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আহম্মদ আলীর ছেলে আব্দুর রহমানের সঙ্গে তার আপন ছোটভাই মন্নাফ মিয়ার  পারিবারিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। রবিবারও পারিবারিক বিষয় নিয়ে ফের আব্দুর রহমান ও মন্নাফের মধ্যে ঝগড়া হয়। 

খবর পেয়ে রাতে চাচা আমজাদ আলী তার ভাতিজা আব্দুর রহমানের কাছে ঝগড়ার বিষয়ে জিজ্ঞসা করেন। এতে আব্দুর রহমান ক্ষুব্ধ হয়।

এক পর্যায়ে আব্দুর রহমান ও তার লোকজন আমজাদ আলীকে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় প্রথমে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল হাসান জানান, 'আমজাদ আলী নামের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার কথা শুনেছেন।

ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

খেলা শুরু করছো তোমরা, শেষ করব আমরা : সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
খেলা শুরু করছো তোমরা, শেষ করব আমরা : সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ওরফে বুড়ির নাতি সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না স্বামীর চেয়ে স্ত্রী আরো এক ধাপ এগিয়ে। সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পর তার স্ত্রী তামান্নার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

শনিবার রাতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) একটি টিম সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে। 
এরপর লাইভে এসে সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না বলে, ‘হ্যাঁ আমার জামাই গতকাল রাতে অ্যারেস্ট হয়েছে।

এটা নিয়ে এত হায়-উল্লাস করার কিছু নেই। ঠিক আছে। মামলা যখন আছে অ্যারেস্ট হবেই। এগুলো নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করার, কান্নাকাটি করার কিছু নেই।
আপনারা যারা ভাবতেছেন আমার জামাই আর কোনো দিন বের হবে না। ওদের জন্য এক বালতি সমবেদনা।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কাঁড়ি কাঁড়ি, বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসব। আমার জামাই বীরের বেশে চলে আসবে।

যারা এ ঘটনা ঘটাইছে (গ্রেপ্তার করেছে) তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। মাথায় রেখো। এতদিন আমরা পলাতক ছিলাম। এখন তোমাদের পলাতক থাকার পালা। আমার জামাই আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আমার কাছে চলে আসবে।
তখনই খেলা শুরু হবে। খেলা মাত্র শুরু করেছ তোমরা। শেষ করব আমরা। ঠিক আছে? আমার জামাই সাজ্জাদের যারা সাপোর্টার আছে, আমার জামাইয়ের জন্য দোয়া করো- যেন ১০-১২ দিনের মধ্যে জামিন করে ফেলতে পারি। ধন্যবাদ।’

মন্তব্য

অভয়নগরে আগুনে পুড়ে ছাই তুলার কারখানা-গুদাম

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
শেয়ার
অভয়নগরে আগুনে পুড়ে ছাই তুলার কারখানা-গুদাম

যশোরের অভয়নগরে একটি তুলার মিলের কারখানা ও গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ও স্থানীয়দের চেষ্টায় দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে কেউ হতাহত না হলেও কারখানাটির কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। 

সোমবার (১৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ভাঙ্গাগেট এলাকায় আলীপুর গ্রামে রাজু ওয়েস্ট কটন রিফাইনারী মিলের এই আগুন লাগে।

মিল মালিকের ভাই ও কারখানার পরিচালক মদন সাহা বলেন, ‘সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কারখানার পেছনে ফেলে রাখা তুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে কারখানাসহ পাশাপাশি ১০টি গুদামে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে নওয়াপাড়া ফায়ার সার্ভিস ও মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ও স্থানীয়দের চেষ্টায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও কারখানার ভেতরের মেশিন ও ১০টি গুদামে মজুদ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে  গেছে।

এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

এ ব্যাপারে যশোর জেলা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নওয়াপাড়া ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ও মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের একটিসহ মোট তিনটি ইউনিটের দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কারখানার পেছন থেকে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তদন্তের পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা সম্ভব হবে।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

দামুড়হুদায় সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
শেয়ার
দামুড়হুদায় সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ
ছবি: কালের কণ্ঠ

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় বাংলাদেশ রেলওয়ের জমির গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে কেটে ফেলা গাছের ডাল জব্দ করেছে দামুড়হুদা উপজেলা বন বিভাগ। গতকাল সোমবার (১৭ মার্চ) উপজেলার ছোট দুধপাতিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলেন, ছোট দুধপাতিলা গ্রামের মৃত আব্দুল গনির ছেলে আনছার আলি, তার ছেলে লোকমান আলি ও জামিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

 

উপজেলা বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরকারি গাছ কাটার বিষয়টি পুলিশকে জানান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ বিষয়টি বন বিভাগকে জানালে ঘটনাস্থলে যান কর্মকর্তারা। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা। পরে পরে বন বিভাগ গাছের ডালগুলো জব্দ করে বন বিভাগের অফিসে নিয়ে আসেন।

 

তিনি আরো জানান, যাচাই বাছায়ের পর গাছগুলি রেলওয়ের জমির বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরে তিনি রেলওয়ে কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রেলওয়ে মামলা করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

যশোরে চাঁদার দাবিতে ইজারাদারকে গুলি করে হত্যা

যশোর প্রতিনিধি
যশোর প্রতিনিধি
শেয়ার
যশোরে চাঁদার দাবিতে ইজারাদারকে গুলি করে হত্যা

যশোর শহরের রেলরোড পঙ্গু হাসপাতাল এলাকায় মীর সাদী (৩২) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাদী রেলগেট এলাকার মীর শওকতের ছেলে। তিনি শহরের রেল বাজারের ইজারাদার।

নিহতের স্বজনেরা জানান, সাদীর কাছে চাঁদা দাবি করেছিল সন্ত্রাসীরা। তার জেরেই সোমবার রাতে সাদীকে ছয় থেকে সাত রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায় তারা। পরে গুলিবিদ্ধ সাদীকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে ১২টার দিকে মৃত্যু হয় তার।

 

যশোর ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক খান মাইদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার সময় পঙ্গু হাসপাতালের সামনে সুমন ওরফে ট্যাটু সুমন নামে চিহ্নিত এক সন্ত্রাসী সাদিকে গুলি করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে জানিয়েছেন। রেল বাজার নিয়ে কোন্দলে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সাকিরুল জানান, সাদীর বুক ও গলায় দুটি গুলি লেগেছে। তাকে আইসিইউ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী বাবুল জানান, জড়িতদের ধরতে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ