ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬

শ্রমিকদের পেটালেন যুবদল নেতা, ভিন্ন বয়ান জেলা নেতাদের

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
শ্রমিকদের পেটালেন যুবদল নেতা, ভিন্ন বয়ান জেলা নেতাদের
ছবি: কালের কণ্ঠ

লক্ষ্মীপুরে যুবদল নেতা আনোয়ার সম্রাটের বিরুদ্ধে চাঁদা না পেয়ে বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজে বাধা দিয়ে শ্রমিকদের পেটানোর ঘটনায় ভিন্নমত দিয়েছেন জেলা কমিটির শীর্ষ নেতারা। শ্রমিকদের পেটানোর ঘটনায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জেলা যুবদল সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে সম্রাটকে প্রায় ১০ বছর আগে ইউনিয়ন কমিটির সহ-সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় বলে দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের আহবায়ক রেজাউল করিম লিটন, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন, সদস্য সচিব আব্দুল আলিম হুমায়ুন, লক্ষ্মীপুর পৌর যুবদলের আহবায়ক ফজেয় আহমেদ ও সদস্য (দপ্তরের দায়িত্ব) আব্দুল আজিজ মিশু।

আরো পড়ুন
ঢাকায় আসছেন মার্কিন সিনেটর চার্লস পিটার্স

ঢাকায় আসছেন মার্কিন সিনেটর চার্লস পিটার্স

 

রেজাউল করিম লিটনের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আনোয়ার সম্রাট বর্তমানে যুবদল তথা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কোন অঙ্গ সংগঠনের দায়-দায়িত্ববান বা সমর্থকও নয়। সে একসময় যুবদল করতো। কিন্তু বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট রাজনীতিতে যোগদান পূর্বক লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পশ্চিম যুবদল তাকে যুবদলের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছিল। এই আনোয়ার সম্রাট যে আওয়া লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত তার ভিডিও, স্থিরচিত্র আপনাদের সম্মুখে প্রকাশ করা হয়েছে।

৫ আগস্টের পূর্বে সে ২০নং চররমনী মোহন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী আলমগীর মেম্বারের সহযোগী হিসাবে কাজ করত।

সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হওয়াসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগে আনোয়ারকে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তখন আমি সদর (পশ্চিম) উপজেলার দায়িত্বে ছিলাম। সম্রাট আমাদের দলের কেউ না।

 

যুবদলের আহবায়ক রেজাউল করিম লিটন বলেন, জেলা কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। চররমনী মোহন ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মুহাম্মদ ইউনুস কিভাবে জেলা কমিটির বাহিরে গিয়ে কথা বলে। একজন বহিস্কৃত ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর আনোয়ারের পক্ষে কেন কথা বলেছে। তাকে এ ঘটনায় শোকজ করা হবে।  

প্রসঙ্গত, চাঁদা না পেয়ে শনিবার (১৫ মার্চ) সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজে বাধা দিয়ে আনোয়ার সম্রাট শ্রমিকদের পিটিয়ে আহত করে।

সে নিজেকে ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি দাবি করে। তবে কত টাকা চাঁদা দাবি করেছেন তা নিরাপত্তাজনিত কারণে ঠিকাদার ও তার লোকজন জানাননি। আনোয়ার সম্রাট ইউনিয়ন কমিটির সহ-সভাপতি বলে নিশ্চিত করেছেন সভাপতি ইউনুস খান।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কুমিল্লায় এনজিওকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি

কুমিল্লা, প্রতিনিধি
কুমিল্লা, প্রতিনিধি
শেয়ার
কুমিল্লায় এনজিওকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি
সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লার চান্দিনায় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার দুই এনজিওকর্মীকে নির্যাতনের ঘটনায় বুধবার (১৯ মার্চ) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশে কর্মরত প্রায় তিন শতাধিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, যুব প্ল্যাটফর্ম, নারী আন্দোলন, পরিবেশবাদী সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন, সামাজিক উদ্যোক্তা এবং গবেষকদের ঐক্যজোট সিএসও অ্যালায়েন্স। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এ ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন
রোজায় পেটে গ্যাস হলে কী করবেন

রোজায় পেটে গ্যাস হলে কী করবেন

 

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তাদের জোর করে তুলে নিয়ে পুরুষ কর্মীকে গাছে বেঁধে বিদ্যুতের শক দেয়। আর নারী কর্মীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে।

সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরিবার থেকে টাকা আদায় করে।

সিএসও অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে বিবৃতিদাতারা হলেন রাশেদা কে চৌধুরী, ড. ইফতেখারুজ্জামান, শাহিন আনাম, মালেকা বেগম, আসিফ সালেহ, ফারাহ্ কবির, মনসুর আহমদ চৌধুরী, নোমান খান, খায়রুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, সালমা মাহবুব, কেএএম মোর্শেদ, সাঈদ আহমেদ প্রমুখ।

আরো পড়ুন
সমালোচনার মুখে হানিয়া আমির

সমালোচনার মুখে হানিয়া আমির

 

গণমাধ্যম সূত্রে প্রাপ্ত খবরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতিদাতারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ওই কর্মীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনার পরেও অপরাধীদের আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এতবড় একটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে খাটো করে দেখার বা উপস্থাপনের চেষ্টা ভিকটিমদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে এবং সুরক্ষাকে শুধু হুমকির মুখেই ফেলবেনা বরং স্বাধীনতার পর পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে এদেশের কোটি কোটি সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখা লক্ষ লক্ষ এনজিওকর্মীর অবদানকে অগ্রাহ্য করার সামিল।

এই ঘটনায় সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মাঠে ময়দানে কাজ করা সকল এনজিওকর্মীর জন্য নিরাপত্তার হুমকি সৃষ্টি হওয়ায় আমরা মর্মাহত, ক্ষুব্ধ। আমরা বিশ্বাস করি এদেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখা পৃথিবীব্যাপী সমাদৃত এনজিও কার্যক্রম ব্যহত হলে আমাদের অর্থনীতির চাকা মন্থর হবে।

কুমিল্লার চান্দিনার ঘটনায় সিএসও অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে–

১. দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

২. ভুক্তভোগীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কিংবা নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি করে পুলিশি অভিযোগ দায়েরে যেকোনো গাফিলতি বা তথ্য গোপন করার চেষ্টার তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করতে হবে।

৩. গ্রামীণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে কাজ করা উন্নয়নকর্মীদের জন্য যথাযথ আইনি সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

৪. উন্নয়নকর্মীরা যেকোন সেক্টরের মতো এদেশের উন্নয়ন অংশীদার। তাঁরা যেন সহিংসতা বা হয়রানির ভয় ছাড়াই মাঠে ময়দানে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, তা রাষ্ট্রকেই নিশ্চিত করতে হবে।

৫. নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মামলাগুলো কঠোরভাবে নথিভুক্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। এ ব্যাপারে অন্তবর্তী সরকারের গৃহীত সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলো যথাযথ বাস্তবায়ন ও মনিটরিং করতে হবে।

সবশেষে, নারী এনজিওকর্মীকে নগ্ন করে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিকে জঘন্য নারী নির্যাতন ও সহিংসতার অভিযোগ হিসেবে বিবেচনা করে বিবৃতিদাতাগণ তদনুসারে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

রং-কেমিক্যাল দিয়ে শিশুখাদ্য তৈরি, অতঃপর...

নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
রং-কেমিক্যাল দিয়ে শিশুখাদ্য তৈরি, অতঃপর...
ছবি: কালের কণ্ঠ

পিরোজপুরের নাজিরপুরে একটি বাড়িতে বসে বিভিন্ন রং এবং কেমিক্যাল দিয়ে শিশুদের খাবার তৈরি ও বিভিন্ন অনুমোদনবিহীন মোড়কে পণ্য তৈরি করে ডিলারশিপের মাধ্যমে বিক্রি করে আসছিল। এমন অপরাধে নামবিহীন এক প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটির দুই মালিককে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং কারখানাটি সিলগালা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের বন্দর বাজার পাশে একটি বাড়িতে পিরোজপুর জেলা জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা শাখা (এনএসআই) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই কারখানায় অভিযান চালায়।

অভিযানে সত্যতা পেয়ে উপজেলা প্রশাসনকে জানালে তারা একটি টিম নিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।

এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বি।

এ সময় নামবিহীন ওই কারখানাকে সিলগালা করে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং দুই মালিক মো. মিরাজ হাওলাদার (৩৫) ও তার ভাই মো. রাব্বি হাওলাদারকে (২২) দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আটকরা উপজেলার শ্রীরামকাঠী গ্রামের মো. জয়নাল হাওলাদারের ছেলে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বি জানান, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মালামাল তৈরির অপরাধে দুজনকে গ্রেপ্তার করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সেইসঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানাসহ অবৈধ কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে।
 

মন্তব্য

‘কিস্তিতে’ ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, এসআই প্রত্যাহার

সিলেট অফিস
সিলেট অফিস
শেয়ার
‘কিস্তিতে’ ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, এসআই প্রত্যাহার
এসআই মো. আলীম উদ্দিন।

সিলেটের বিশ্বনাথে লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে এক উপপরিদর্শককে (এসআই) থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার না করতে কয়েক দফায় লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত এসআইয়ের নাম আলীম উদ্দিন। বর্তমানে তাকে সিলেট পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাকে বিশ্বনাথ থানা থেকে সিলেট পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে তার ঘুস গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। একই সঙ্গে এক ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদনও করেন।

ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, থানার বৈঠকখানায় বসে গুনে দেওয়া ঘুষের কিস্তি হাসিমুখে পকেটে রাখছেন এসআই আলীম।

ভিডিওতে তিনি বলছেন, চার্জ শিটের জন্য লাগবে পুরো ২০ হাজারই। অন্য ভিডিওতে দেখা যায়, মামলার এমসির জন্য অন্য কিস্তির পুরো ২০ হাজারের জন্য দেন-দরবারও করছেন তিনি।

অভিযোগকারী জানান, এসআই আলীম উদ্দিন ঘুষ নিয়েও কথামতো কাজ করেননি। যে কারণে ঘুষের টাকা ফেরত চান তিনি।

কিন্তু বিষয়টি বারবার অস্বীকার করেন এসআই আলীম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মো. সম্রাট তালুকদার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অভিযুক্ত পুলিশ উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) আলীম উদ্দিনকে মঙ্গলবার রাতেই ক্লোজ করা হয়েছে।’

মন্তব্য
হতাশ শুঁটকি পল্লীর জেলেরা

হঠাৎ উত্তাল সাগর, ৬ দিন ধরে মাছধরা বন্ধ

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
শেয়ার
হঠাৎ উত্তাল সাগর, ৬ দিন ধরে মাছধরা বন্ধ
বৈরী আবহাওয়ায় সাগরে মাছধরা বন্ধ রেখে নৌকা ও ট্রলার নিয় সুন্দরবনে আশ্রয় নিয়েছেন জেলেরা

মৌসুমের শেষ মুহুর্তে এসে দুর্যোগের কবলে পড়েছেন পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চরের শুঁটকি পল্লীর জেলেরা। অসময়ে হঠাৎ করে উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। 

গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) থেকে সাগর অশান্ত থাকায় টানা ছয়দিন ধরে মাছধরা বন্ধ। শুঁটকি উৎপাদনকারী  কয়েক হাজার নৌকা ও ট্রলার শুঁটকি পল্লীর ঘাটে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।

সাগরপানে তাকিয়ে অলস সময় পার করছেন হাজার হাজার জেলে। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় চরম লোকসানের আশঙ্কা করছেন মহাজন ও আড়তদাররা।

আরো পড়ুন
রোজায় পেটে গ্যাস হলে কী করবেন

রোজায় পেটে গ্যাস হলে কী করবেন

 

বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রামপাল জেলে সমিতির সভাপতি মোতাসিন ফরাজী বলেন, ছয়দিন ধরে সাগরে  দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। পশ্চিমা বাতাসে বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে।

সাগরে যেতে না পেরে জেলেরা সবাই নিজ নিজ মহাজনের ঘরে অলস সময় কাটাচ্ছেন। এসব জেলরা সবারই তাদের মহাজনদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা অগ্রিম নেওয়া। মাছ ধরতে না পারলে সবই লোকসানের খাতায় চলে যাবে।

দুবলা ফিশারমেন গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ মোবাইল ফোনে বলেন, ৮ এপ্রিল শেষ হবে পাঁচ মাসের এই শুঁটকি মৌসুম।

শুরু থেকেই কয়েক দফা দুর্যোগ, ডাকাতের উৎপাত এবং জেলে অপহরণের ঘটনায় সাগরে নামতে পারেনি জেলেরা। ডাকাতের ভয়ে বহু ব্যবসায়ী বন্ধ করে চর ছেড়ে চলে গেছেন। অপহরণের ভয়ে পালিয়ে গেছেন শত শত জেলে। 

বনবিভাগের শ্যালারচর টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার দিলিপ মজুমদার বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় জেলেরা মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকা-ট্রলার নিয়ে শুঁটকি পল্লীর ঘাটে এবং বনের মধ্যে বিভিন্ন খালে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন। আশ্রিত জেলেদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক নজরদারি করছেন বনরক্ষীরা।

আরো পড়ুন
থানা থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, মহিলা দল নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

থানা থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, মহিলা দল নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

 

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার বিশেষ টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ফরেস্ট রেঞ্জার) মো. খলিলুর রহমান বলেন, এ বছর শুরু থেকেই একের পর এক দুর্যোগে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মৌসুমের শেষেও সাগরে বৈরী আবহাওয়ার থাবা। জেলেরা মাছ ধরতে পারছেন না। ফলে এ মৌসুমে রাজস্ব ঘাটতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ৮ এপ্রিল শেষ হবে পাঁচ মাসের শুঁটকি উৎপাদন মৌসুম।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ