ফরিদপুরে রমজান মাসে হোটেল-রেস্তোরাঁয় সামনের সারিতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ইফতার সামগ্রী। সারি সারি পসরা দেখে লোভনীয় হয়ে পড়ে ভোক্তারা। এসব পসরার মধ্যে রয়েছে জিলাপিসহ বিভিন্ন খাবার সামগ্রী। রং বেরঙের পসরার মধ্যে বাসি-পচা খাবারের সন্ধান পেয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা নিরাপদ খাদ্য কার্যালয়।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে শহরের কয়েকটি রেস্তোরাঁ ও মিষ্টিপট্টিতে অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ এলাহি। অভিযানকালে নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. আজমুল ফুয়াদ রিয়াদসহ জেলা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, রমজান মাস উপলক্ষে শহরের প্রতিটি রেস্তোরাঁয় সামনে সারি সারিভাবে সাজানো রাখা হয়েছে শাহী জিলাপিসহ বিভিন্ন পসরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বিকেলে শহরের বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁয় জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ এলাহি নিরাপদ খাদ্য কার্যালয় অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় শহরের নিউমার্কেট সংলগ্ন সুলতানি ভোজ নামক হোটেলের ফ্রিজে পচা খাদ্যসামগ্রী পাওয়া যায়। এ ছাড়া আরো কয়েকটি হোটেল মিষ্টির দোকানে পচা-বাসিসহ খতিকারক খাদ্যসামগ্রী পায় অভিযানকারী দল।
এ ছাড়া ভেজাল তেলে শাহী জিলাপি তৈরি করা হচ্ছে মর্মে তাৎক্ষণিক পরীক্ষায় প্রমাণ পাওয়া যায়। খাদ্যে ভেজাল, জিলাপির তেলে ভেজাল ও মিষ্টির দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ পাওয়ায় দুটি মিষ্টান্ন ভান্ডার ও একটি রেস্তোরাঁয় খাদ্য নিরাপদ আইনে তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ মার্চ শহরের খন্দকার রেস্টুরেন্ট, নিউ স্টার কাবাব, খলিলের মিষ্টির দোকানে অভিযানে পচা-বাসি খাদ্যসামগ্রী পাওয়ায় ৪টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। অভিযানকালে খন্দকার হোটেল থেকে পচা মাংস ও বাসি শরবত জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিরাপদ কর্মকর্তা মো. আজমুল ফুয়াদ রিয়াদ জানান, মানুষের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে রমজান মাসে নিয়মিত মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। আজ তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বাকি দুটিকে সতর্কতামূলক নোটিশ করা হয়েছে।