পায়ে ঘন ঘন ঝিনঝিন কেন হয়, কোনো বিপদ নয়তো?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
পায়ে ঘন ঘন ঝিনঝিন কেন হয়, কোনো বিপদ নয়তো?
সংগৃহীত ছবি

দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থানে বসে থাকলে পা অসাড় হয়ে যায় বা ঝিনঝিন অনুভূত হয়। অনেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হন। আবার অনেকে ঘন ঘন এই সমস্যার ফলে চিন্তিত হয়ে পড়েন। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, এর পেছনের কারণ কী হতে পারে ?

অনেকেই মনে করেন পায়ের অসাড়তা বা ঝিনঝিন করা একটি স্বাভাবিক রক্ত ​​সঞ্চালন সমস্যা, যা কিছুক্ষণ পরে সেরে যায় ।

কিন্তু এটা কি কোনো স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে?

চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্ত ​​প্রবাহের সমস্যা ছাড়াও আরো কিছু কারণ এই সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে। অতএব, যদি এই সমস্যাটি আপনার বারবার হতে থাকে, তাহলে এটিকে উপেক্ষা করা উচিত নয়।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর খাবারের নামে বিষ খাচ্ছেন না তো

স্বাস্থ্যকর খাবারের নামে বিষ খাচ্ছেন না তো

 

বিশেষজ্ঞদের মতামত

চিকিৎসকরা বলছেন, পায়ে অস্থায়ী অসাড়তা বা ঝিনঝিন একটি সাধারণ সমস্যা, যা সাধারণত স্নায়ু ও রক্ত ​​প্রবাহের ওপর চাপ বৃদ্ধির কারণে ঘটে। আসলে যখন আমরা দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থানে বসে থাকি তখন স্নায়ু ও রক্তনালিগুলোর ওপর চাপ বৃদ্ধি পায়, যা অক্সিজেন ও পুষ্টির সরবরাহকে ব্যাহত করে।

কিন্তু যদি এই সমস্যা বারবার হতে থাকে তাহলে কখনো কখনো ডায়াবেটিস, নিউরোপ্যাথি, ভিটামিন বি১২ এর অভাব বা হার্নিয়েটেড ডিস্কের মতো রোগও এর জন্য দায়ী হতে পারে। অতএব, পায়ে অসাড়তা বা ঝিনঝিন অনুভূতিও এই রোগ এবং অবস্থার লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

পা ঝিনঝিন করার কারণ

বিশেষজ্ঞদের মতে, পায়ের অসাড়তা বা ঝিনঝিনের কিছু প্রধান কারণ—

আরো পড়ুন
গরমে লেবুপানি খেলে দূরে থাকবে যেসব রোগ

গরমে লেবুপানি খেলে দূরে থাকবে যেসব রোগ

 

রক্ত ​​সঞ্চালনে ব্যাঘাত: দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থানে বসে থাকলে রক্ত ​​সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে, যার ফলে পা কিছু সময়ের জন্য অসাড় হয়ে যায়।

স্নায়ু সংকোচন: ভুলভাবে পা বাঁকিয়ে বসে থাকলে বা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ে, যার ফলে ঝিনঝিন ও অসাড়তা দেখা দেয়।

ভিটামিন বি১২ এবং ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি: শরীরে ভিটামিন বি১২, ম্যাগনেসিয়াম ও ফলিক এসিডের ঘাটতি স্নায়ুর কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে, যা এই সমস্যা তৈরি করতে পারে ।

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি: ডায়াবেটিস স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে, যার ফলে পায়ে অসাড়তা ও ঝিনঝিন অনুভূতি হয় ।

সায়াটিকা ও হার্নিয়েটেড ডিস্ক: যদি আপনার মেরুদণ্ডে কোনো সমস্যা থাকে বা সায়াটিক স্নায়ু প্রভাবিত হয়, তাহলে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ফলেও পা অসাড় হয়ে যেতে পারে।

আরো পড়ুন
না ঘুমিয়ে একটানা কত দিন থাকা যায়

না ঘুমিয়ে একটানা কত দিন থাকা যায়

 

কী করবেন এবং কী করবেন না

বিশেষজ্ঞরা জানান, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কিছু জিনিসের যত্ন নিলে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। যেমন—

  • প্রতি ৩০-৪০ মিনিট অন্তর অন্তর উঠে হাঁটুন এবং সঠিক রক্ত ​​সঞ্চালন বজায় রাখার জন্য হালকা স্ট্রেচিং করুন।
  • আপনার দৈনন্দিন রুটিনে যোগব্যায়াম এবং স্ট্রেচিং অন্তর্ভুক্ত করুন।
  • দীর্ঘক্ষণ পা আড়াল করে বসে থাকবেন না বা ভুল ভঙ্গিতে থাকবেন না।
  • বসার সময় আপনার মেরুদণ্ড সোজা রাখুন এবং কম্পিউটার বা মোবাইলে একটানা কাজ করার সময় বা অন্য কোনো কারণে দীর্ঘক্ষণ পা ভাঁজ করে বসে থাকবেন না।
  • শরীরকে সঠিক পুষ্টি প্রদানের জন্য, ভিটামিন বি১২, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। যদি শরীরে এই পুষ্টির তীব্র ঘাটতি থাকে, তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে বিশেষ পরিপূরকও গ্রহণ করা যেতে পারে।
  • আপনার যদি ডায়াবেটিস বা স্নায়বিক সমস্যা থাকে, তাহলে তা উপেক্ষা করবেন না। বরং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সতর্কতা অবলম্বন করুন।
  • আরো পড়ুন
    নতুন যে আপডেট নিয়ে আসছে টেলিগ্রাম

    নতুন যে আপডেট নিয়ে আসছে টেলিগ্রাম

     

    এই সমস্যাটি অব্যাহত থাকে এবং দুর্বলতা, জ্বালাপোড়া বা পায়ে ব্যথার মতো অন্যান্য লক্ষণ অনুভূত হয়, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারি পরীক্ষা করান।

    সূত্র : ইটিভি

    মন্তব্য

    সম্পর্কিত খবর

    ঈদে কেনাকাটায় যে সতর্কতা অবলম্বন করবেন

    অনলাইন ডেস্ক
    অনলাইন ডেস্ক
    শেয়ার
    ঈদে কেনাকাটায় যে সতর্কতা অবলম্বন করবেন
    সংগৃহীত ছবি

    ঈদ মানেই খুশি আর ঈদ মানেই আনন্দ। আর ঈদের আনন্দের একটি বড় অংশ জুড়ে থাকে কেনাকাটা। নতুন পোশাক, উপহারসামগ্রী, সুস্বাদু খাবার—সব মিলিয়ে ঈদের বাজার হয়ে ওঠে জমজমাট। তবে অতি উৎসাহ কিংবা অসতর্কতার ফলে অনেকেই প্রতারিত হন কিংবা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করে ফেলেন।

    সঠিক পরিকল্পনা এবং কিছু সহজ কৌশল অনুসরণ করলে আপনি ঈদের কেনাকাটায় হয়ে উঠতে পারেন বুদ্ধিমান ক্রেতা। তাই ঈদের কেনাকাটা সময় আপনি কি কি সতর্কতা অবলম্বন করবেন তাই নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন।

    পরিকল্পনা করে নিন
    ঈদের বাজারে যেকোনো পণ্যের চাহিদা থাকে বেশি, ফলে দামও তুলনামূলক বেশি হতে পারে। তাই আগেভাগেই একটি তালিকা তৈরি করে ফেলুন—কী কী কিনতে হবে, কোনটির কতটা প্রয়োজন এবং বাজেট কতটুকু হবে।

    তালিকা তৈরি করলে আপনি অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার প্রবণতা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

    বাজার যাচাই করুন
    একই পণ্য বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়। বিশেষ করে ঈদের সময় অনেক বিক্রেতা উচ্চমূল্য দাবি করেন। তাই এক দোকানে গিয়ে কেনার আগে কয়েকটি দোকান ঘুরে দাম যাচাই করুন।

    অনলাইনে বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট থেকেও দাম তুলনা করতে পারেন।

    অফার ও ছাড়ের ফাঁদে পা দেবেন না
    ঈদ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও দোকান ‘বিশেষ ছাড়’, ‘বাই ওয়ান গেট ওয়ান’ ইত্যাদি অফার দেয়। তবে সব অফারই আসলে লাভজনক নাও হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে পুরোনো বা কম চাহিদাসম্পন্ন পণ্য বিক্রির জন্যই এমন অফার দেওয়া হয়। তাই অফার দেখলেই না কিনে পণ্যের গুণগত মান যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিন।

    নকল ও নিম্নমানের পণ্য এড়িয়ে চলুন
    ঈদের সময়ে চাহিদার কারণে বাজারে নকল ও নিম্নমানের পণ্যের ছড়াছড়ি থাকে। বিশেষ করে প্রসাধনী, পোশাক, পারফিউম ও ইলেকট্রনিক পণ্যের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রতারণা বেশি দেখা যায়। সঠিক ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে হলে নির্ভরযোগ্য দোকান থেকে কেনাকাটা করুন এবং সম্ভব হলে রসিদ সংগ্রহ করুন।

    অনলাইন কেনাকাটায় সতর্ক থাকুন
    অনলাইনে ঈদের কেনাকাটা এখন বেশ জনপ্রিয়। তবে ফেসবুক বা অনলাইন শপ থেকে কেনার আগে তাদের রিভিউ দেখে নিন, পণ্যের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করুন এবং ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধা থাকলে তা বেছে নিন।

    কেনাকাটার সময় ঠান্ডা মাথায় ভাবুন
    ঈদের কেনাকাটার সময় অনেকেই হুটহাট সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, যা পরে পছন্দ না হলে আফসোস করতে হয়। কোনো পোশাক বা পণ্য কেনার আগে ভেবে দেখুন সেটি আপনার প্রয়োজনীয় কিনা, মানসম্মত কিনা এবং দামের তুলনায় যথাযথ কিনা।

    পরিবহন ও ভিড় সামলানোর প্রস্তুতি নিন
    ঈদের আগে বাজার ও শপিং মলগুলো প্রচণ্ড ভিড় থাকে। তাই কেনাকাটার জন্য এমন সময় বেছে নিন, যখন তুলনামূলক কম ভিড় থাকবে। প্রয়োজনে নিজের বা পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়েও সচেতন থাকুন।

    বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটায় বাড়তি মনোযোগ দিন
    বাচ্চাদের পোশাক ও জুতা কেনার সময় মান ও আরামের বিষয়টি মাথায় রাখুন। অনেক সময় বেশি চকচকে বা স্টাইলিশ পোশাক দেখতে সুন্দর লাগলেও আরামদায়ক নাও হতে পারে।

    বাজেটের সীমা বজায় রাখুন
    ঈদ উপলক্ষ্যে অনেকেই বাজেটের বাইরে গিয়ে কেনাকাটা করেন, যা পরে আর্থিক চাপে পরিণত হয়। তাই নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী কেনাকাটা করুন এবং অহেতুক খরচ এড়িয়ে চলুন।

    হাসিমুখে কেনাকাটা করুন
    ঈদের কেনাকাটা যেন আনন্দের কারণ হয়, উদ্বেগের নয়। দরদাম করার সময় নম্রতা বজায় রাখুন, দোকানদারদের সাথে ভদ্র আচরণ করুন। 

    মেয়েদের কেনাকাটায় বাড়তি সতর্কতা
    ঈদের সময় শপিং মল ও বাজারে প্রচণ্ড ভিড় হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে হয়রানি বা চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দলবেঁধে কেনাকাটা করা ভালো এবং সম্ভব হলে দিনের বেলায় কেনাকাটা করাই নিরাপদ। হ্যান্ডব্যাগ ও মূল্যবান জিনিসের নিরাপত্তার জন্য কেনাকাটার সময় ব্যাগে বেশি টাকা, গয়না বা মূল্যবান জিনিস রাখা উচিত নয়। ব্যাগ সামনে ধরে রাখলে এবং চেইন লাগানো থাকলে নিরাপদ থাকা যায়।

    প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    হার্ট সুস্থ রাখতে পেয়ারা

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    হার্ট সুস্থ রাখতে পেয়ারা
    সংগৃহীত ছবি

    গরমের দিনে হার্টের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য অনেকে পেয়ারা খেয়ে থাকেন। এই ফলটি হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে এবং গরমের সময়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।

    পটাশিয়ামে ভরপুর
    পেয়ারায় উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

    উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে থাকে। পেয়ারা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ
    পেয়ারায় ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা ফ্রি র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে হার্টকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

     

    ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার
    ১০০ গ্রাম পেয়ারায় প্রায় ২২৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। 

    কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
    পেয়ারা খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে থাকে। পেয়ারা এটি কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়াতে সাহায্য করে।

    যা হৃদরোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    এছাড়া পেয়ারার মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। যা মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।

    সূত্র: এই সময়

    মন্তব্য

    ডায়াবেটিক রোগীদের কি খেজুর খাওয়া নিরাপদ?

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    ডায়াবেটিক রোগীদের কি খেজুর খাওয়া নিরাপদ?
    সংগৃহীত ছবি

    খেজুর একটি প্রাকৃতিক মিষ্টিসমৃদ্ধ ফল। যা সাধারণত শক্তি বৃদ্ধির জন্য খাওয়া হয়। যদিও এতে প্রাকৃতিকভাবে চিনির পরিমাণ বেশি। তবে এতে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ উপাদানও রয়েছে।

    যা একে পরিশোধিত চিনির একটি ভালো বিকল্প করে তোলে। 

    খেজুরের গ্লাইসেমিক সূচক (জিআই) কম থেকে মাঝারি। অর্থাৎ এটি শরীরে ধীরে ধীরে শর্করা প্রবাহিত করে, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত বাড়ায় না। খেজুরে থাকা ফাইবার হজম ও গ্লুকোজ শোষণকে ধীর করে দেয়।

    এতে থাকা পলিফেনল প্রদাহ কমায়। এ ছাড়া খেজুরের ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

    চলুন জেনে নেই খেজুরের বিভিন্ন প্রকার।

    আজওয়া খেজুর: ছোট, গাঢ় এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, এতে চর্বি কম এবং প্রোটিন ও ফাইবার বেশি।

    কিমিয়া খেজুর: নরম এবং মিষ্টি, এটি মিল্কশেক ও মিষ্টান্নে ব্যবহৃত হয়। তবে এগুলো অল্প পরিমাণে খাওয়া ভালো।

    মেডজুল খেজুর: এটি খুবই মিষ্টি, তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

    ডেগলেট নুর খেজুর: হালকা মিষ্টি এবং আধা-শুকনো। এতে ফাইবার ও প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে।

    যা এনার্জি বার এবং স্ন্যাক্সে ব্যবহৃত হয়।

    যারা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাদের জন্য খেজুর সঠিক পরিমাণে খাওয়া ভালো। প্রতিদিন ২-৩টি খেজুরের সঙ্গে বাদাম বা দই মিশিয়ে খেলে দেহে চিনির শোষণ ধীরগতির হয়। এ ছাড়া খেজুর ওটসের সাথে খেলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ ভালো হয়। ইফতারিতে খেজুর খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকবে। এতে পেটও ভরবে এবং গ্লকোজও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

    সূত্র: ক্লিভল্যান্ড

    মন্তব্য

    কাশি দূর করার প্রাকৃতিক উপায়

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    কাশি দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
    সংগৃহীত ছবি

    আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে কাশির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এই সময়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে গার্গল করলে কাশি ও গলা ব্যথা দুটোই কমে যায়। তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন, শুষ্ক বাতাস এবং ঠাণ্ডা থেকে গরম পরিবেশে প্রবেশ- এসবই সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়িয়ে তোলে। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

    মধু 
    সর্দি এবং কাশির জন্য পরীক্ষিত একটি ঘরোয়া প্রতিকার হচ্ছে মধু। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। সর্দি এবং কাশি নিরাময়ের জন্য মধু অনেক কার্যকর এবং এটি ওষুধের চেয়ে বেশি উপকারী হতে পারে।

    আদা
    চিকিৎসকদের মতে, কাশির সমস্যা দূর করতে আদা অত্যন্ত কার্যকর।

    ছোট ছোট আদা টুকরোর সঙ্গে লবণ মিশিয়ে কিছুক্ষণ পরপর খেলে কাশি কমে যায়। এ ছাড়া আদা চা করে খেলেও কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    লবঙ্গ
    কাশির সমস্যায় উপকারী হতে পারে লবঙ্গ। কিছু টুকরো লবঙ্গ মুখে রেখে মাঝেমধ্যে একটু চাপ দিয়ে রস বের করে গিলে ফেললে গলা আরাম পায় এবং জীবাণু দূর হয়।

    তুলসী
    তুলসীপাতা ও মধু মিশিয়ে কাশি কমানোর জন্য একটি কার্যকর মিশ্রণ তৈরি করা যেতে পারে। দিনে দুই থেকে তিনবার এটি খেলে কাশি অনেকটা কমে যায়।

    সূত্র : নিউজ ১৮

    প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    সর্বশেষ সংবাদ