<p style="text-align:justify">প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর উৎপাদনে ফিরেছে পটুয়াখালীর ১৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট।</p> <p style="text-align:justify">সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদন শুরু করে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।</p> <p style="text-align:justify">এর আগে প্রায় দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর প্রথম ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে। এতে করে দক্ষিণাঞ্চলসহ সারা দেশে লোডশেডিং বিদায় হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্ল্যান্ট ম্যানেজার শাহ আব্দুল মাওলা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়।</p> <p style="text-align:justify">এর আগে গত বছরের ৯ নভেম্বর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করছে কর্তৃপক্ষ।</p> <p style="text-align:justify">পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব জানান, গত বছরে ৯ নভেম্বর বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়মিত যন্ত্রাংশ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৬৬০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছিল। শিডিউল অনুযায়ী আগামী ৯ জানুয়ারী কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল। তবে কেন্দ্রের দক্ষ প্রকৌশলীরা মাত্র দুই দিনের মধ্যেই মেইনটেন্যান্স কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছেন। যার কারণে বন্ধ হওয়া ইউনিট থেকে সোমবার রাত থেকেই পূর্ণ সক্ষমতায় চালু হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">এদিকে দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পরে উৎপাদনে ফিরেছে পটুয়াখালীর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। ৩০ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে কর্তৃপক্ষ। পটুয়াখালী বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে সংযুক্ত করতে সঞ্চালন লাইন সংস্থাপনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ১৬ ডিসেম্বর সকালে কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে।</p> <p style="text-align:justify">তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব বলেন, নবনির্মিত আরএনপিএল ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসার লক্ষ্যে সঞ্চালন লাইন সংস্থাপনের কাজ চলায়, পায়রা-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন শাটডাউন (বন্ধ) করা হয়েছিল। লাইন সংস্থাপন হওয়ায় পুনরায় উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। প্রথম ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হলেও এ কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রায় দুই মাস ধরে দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ ছিল।</p> <p style="text-align:justify">পটুয়াখালী পাওয়ার গ্রিডের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল নাইম বলেন, ‘পায়রা তাপবিদ্যুতের দুটি ইউনিট বন্ধ হয়ে গেলে পটুয়াখালীতে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়েনি। কারণ গ্রীষ্মকালে পটুয়াখালীতে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা থাকে ১০৮ মেগাওয়াট। কিন্তু শীত মৌসুমে এ চাহিদা মাত্র ৪৫ মেগাওয়াটে নেমে আসে। পটুয়াখালী শহরসংলগ্ন ডিজেলচালিত ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পায়রা ইউনাইটেড পাওয়ার প্লান্ট থেকেও তখন নিয়মিত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছিল।</p> <p style="text-align:justify">চীন ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে ২০১৩ সালে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধানখালীতে ১ হাজার একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয় পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বাংলাদেশ-চায়না বিদ্যুৎ কম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০২২ সালের মার্চে উৎপাদনে যায়। ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এ কেন্দ্রটি দিয়ে দেশের চাহিদার ১০ ভাগ পূরণ হচ্ছে।</p>