ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

উপদেষ্টারা কেউ রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়ে করবে : আসিফ মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
উপদেষ্টারা কেউ রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়ে করবে : আসিফ মাহমুদ
ছবি: কালের কণ্ঠ

উপদেষ্টাদের কেউ রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়ে করবে বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। সরকারের কাজে রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ অনুচিত বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন আসিফ মাহমুদ।

তিনি বলেন, সরকারে থেকে রাজনৈতিক দলের সাথে কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতার বিরুদ্ধে আমরাও।

উপদেষ্টাদের কেউ রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়েই করবে।

আরো পড়ুন
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করে যা বললেন নাহিদ ইসলাম

মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করে যা বললেন নাহিদ ইসলাম

 


 
যুব উপদেষ্টা আরো বলেন, একই সাথে রাজনৈতিক দলেরও সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করা অনুচিত। বিভিন্ন সরকারি/সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগে তদবির/চাপ প্রয়োগ করা অনুচিত।

ধারণা করা হচ্ছে, বিবিসি বাংলাকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেছেন আসিফ মাহমুদ।

ওই সাক্ষাৎকারে ফখরুল বলেন, যদি সরকার পূর্ণ নিরপেক্ষতা পালন করে, তাহলেই তারা নির্বাচন পরিচালনা করা পর্যন্ত থাকবে। তা না হলে নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।

বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেছেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে না পারলে নির্বাচন করতে পারবেন না। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারে নিজেদের প্রতিনিধি রেখে ছাত্ররা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো বিষয়টি মেনে নেবে না।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আওয়ামী লীগকে কোনো দিন রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে দেব না : উপদেষ্টা মাহফুজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আওয়ামী লীগকে কোনো দিন রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে দেব না : উপদেষ্টা মাহফুজ
সংগৃহীত ছবি

শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের লক্ষাধিক নেতাকর্মী ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ দল ছিল না, তারা ছিল মাফিয়া। তাদের কোনো দিন রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে দেব না।’

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে গুম ও খুনের শিকার হওয়া পরিবারের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় গুম-খুন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে হয়েছিল।

এগুলো করার জন্য বিশেষ টিম ছিল। পুলিশ-র‍্যাবসহ সবাইকে গুমের আদেশ দেওয়া ছিল।’

তিনি বলেন, ‘গোটা দেশেই আয়নাঘরের অস্তিত্ব ছিল। অসংখ্য মানুষ গুমের শিকার হয়েছে।

বিরোধী মতের অনেক মানুষকে গুম করে ভারতের জেলে পাচার করা হতো।’

মাহফুজ আলম বলেন, ‘গুমের সঠিক কোনো হিসাব নেই। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় তালিকা করা হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াতসহ ভিন্ন মতাদর্শের সবাই শেখ হাসিনার ভিকটিম ছিল।

মন্তব্য

ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যা বললেন মাহফুজ আনাম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যা বললেন মাহফুজ আনাম
উপস্থপক ছিলেন রাজ চেঙ্গাপ্পা এবং ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর বিশিষ্ট সম্পাদক মাহফুজ আনাম। ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া

ইন্ডিয়া টুডের ‘নাথিং বাট ট্রু’ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বাংলাদেশের ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর সম্পাদক মাহফুজ আনামকে। সেখানে মাহফুজ আলম বাংলাদেশ নিয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন। অনুষ্টানটির উপস্থাপক ছিলেন রাজ চেঙ্গাপ্পা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে রাজ বলেন, গত বছর আগস্টে বিশাল ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারিত হন।

এর পর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভারত মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় নিপীড়ন প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ এনেছে এবং তাদের জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষা চেয়েছে। এ ছাড়াও, ভারত বাংলাদেশে ইসলামায়নের বৃদ্ধি এবং পররাষ্ট্রনীতিতে দেশটির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী চীন ও পাকিস্তানের প্রতি ঝুঁকে পড়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

এদিকে, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের কার্যক্রম মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ইউনূস সরকার দাবি করছে, তারা অর্থনৈতিক পতন রোধ করতে সক্ষম হয়েছে এবং রাজনৈতিক, বিচার বিভাগীয় ও শাসন সংস্কার চালু করছে। তবে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, বিদেশি বিনিয়োগের অভাব, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি এবং দীর্ঘস্থায়ী বেকারত্ব সমস্যাগুলো নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে।

এ ছাড়াও, অনেকের ধারণা যে, ইউনূস মৌলবাদী ইসলামপন্থী ছাত্রগোষ্ঠীর হাতের পুতুল, যারা সরকারের মৌলিক নীতিগুলো পরিবর্তন করছে। এটি অন্যতম প্রধান সমালোচনার বিষয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সতর্ক করে দিয়েছেন, দেশ ‘নৈরাজ্যের অবস্থায়’ রয়েছে এবং যদি রাজনৈতিক বিভাজন ও অস্থিরতা চলতে থাকে, তাহলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।

তিনি আরো বলেন, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিআইএসএসটিইসি (বিমসটেক) সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের নেতা মোহাম্মদ ইউনূসের সম্ভাব্য এক বৈঠকের আলোচনা চলছে। বিআইএসএসটিইসি বঙ্গোপসাগরীয় বহুখাতভিত্তিক প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগের সংক্ষিপ্ত রূপ, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশও রয়েছে।

এরপর রাজ প্রশ্ন করেন, মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব নেওয়ার সাত মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। তাঁকে মনোনীত করা হয়েছিল এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে যে, তিনি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শাসনব্যবস্থা এবং নিরাপত্তাসহ সব ক্ষেত্রে বড় ধরনের সংস্কার আনবেন।

আপনি এই বিষয়গুলোর ওপর ইউনূসের কর্মদক্ষতাকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

মাহফুজ উত্তর দেন, শুরুতেই আমি তাকে মিশ্র গ্রেড দেব। কিছু ক্ষেত্রে তিনি খুব ভালো করেছেন, আবার অনেক ক্ষেত্রে প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম করেছেন। আর এটা বুঝতে হবে যে, হাসিনা সরকার ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল। তিনি ছিলেন খুব শক্তিশালী নেত্রী এবং তিনি চলে যাওয়ায় ক্ষমতায় একটি শূন্যতা তৈরি হয়। আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে, ইউনূস প্যারিসে ছিলেন, তিনি ৮ তারিখে দেশে ফিরেছিলেন এবং হাসিনা ৫ আগস্ট চলে যান দেশ ছেড়ে। মাঝের এই তিনদিন আমাদের দেশে কোনো সরকার ছিল না। এই তিন দিনই সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা এবং আক্রমণের পরিমাণ ছিল সবচেয়ে বেশি। 

কিছু কারাগার থেকে বন্দিরা পালিয়েছিল, কিছু মৌলবাদী কারাগার থেকে বের হয়ে গিয়েছিল। তাই এই প্রথম কয়েক দিনে অনেক বিশৃঙ্খলা এবং অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল। তারপর ইউনূস শপথ নেন, তাঁর প্রাথমিক দলের সদস্যরা বেশ এলোমেলোভাবে নির্বাচিত হয়েছিল। আমি জানি, তিনি ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই জানতেন না। তাই প্রশ্ন উঠতে পারে, কিভাবে তিনি তাদের মন্ত্রিসভায় নিয়েছিলেন, যাদের তিনি ভালোভাবে জানেন না। তাই অনেক অস্বস্তি ছিল, বলতে পারেন মিশ্র প্রকারের একটি দল। যারা একে অপরের সঙ্গে কাজ করেননি এবং তাদের অনেকেরই সরকার চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল না। 

সুতরাং এসব কারণে শুরুতে বলা যায়, দুর্বল ব্যবস্থাপনা, ভুল দিকনির্দেশনা এবং কিছু নীতির অভাব ছিল। এখন সাত মাস পর অনেক বেশি স্থিতিশীল হয়েছে পরিস্থিতি। এ ছাড়া শুরুতে মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বিপজ্জনক ছিল, যা এখন স্থিতিশীল। আমরা গত দুই মাসে মূল্যস্ফীতির হার কমতে দেখেছি এবং আমাদের রপ্তানি এখন আগের স্তরে ফিরে এসেছে। উদাহরণস্বরূপ, গত বছর আমাদের রপ্তানি ছিল ১৯ বিলিয়ন, ১৯.৯ বিলিয়ন আর এখন এই বছরে একই স্তরে আছে। তাই টাকা ডলারের বিপরীতে স্থিতিশীল হয়েছে। আমাদের রেমিট্যান্স বেড়েছে। সুতরাং, অর্থনৈতিক পতনের অনুভূতি এখন দূর হয়েছে। বলতে পারেন, আমরা স্থিতিশীল অবস্থায় আছি।

এরপর রাজ আবার প্রশ্ন করেন, এবার আমরা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আসি। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের জন্ম, যা যুব আন্দোলনের মধ্যে রূপ লাভ করেছে। গত মাসে ২৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্র আন্দোলনের নেতারা, যারা হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল, আনুষ্ঠানিকভাবে একটি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করেছেন। এটি ন্যাশনাল সিটিজেন্স পার্টি বা এনসিপি নামে পরিচিত। আপনি জানেন যে, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে দুটি পারিবারিক নেতৃত্বাধীন দল হাসিনার আওয়ামী লীগ এবং খালেদার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছে। 

এখন, এনসিপি কিছু দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশের দ্বি-দলীয় রাজনীতির জন্য একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে, যা কয়েক দশক পর প্রথমবারের মতো বড় ধরনের একটি পরিবর্তনের সম্মুখীন হয়েছে। ঢাকায় একটি সমাবেশে এনসিপি নেতারা দ্বিতীয় একটি প্রজাতন্ত্র গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছিলেন এবং পুরনো ন্যারেটিভগুলো যেমন ধর্মনিরপেক্ষতা বনাম ইসলামপন্থী এবং ভারত বনাম পাকিস্তান সম্পর্কের থেকে মুক্তি চেয়েছিলেন। আবার, যা ঘটেছে তার একটি ধারণা দেওয়ার জন্য জুলাই আন্দোলনের ২৬ বছর বয়সী প্রতীক নাহিদ ইসলাম ইউনূস সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে এনসিপির আংশিক প্রধান বা কনভেনর হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। এই নতুন রাজনৈতিক দলের আগমন কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ কী?

মাহফুজ উত্তর দেন, নতুন রাজনৈতিক দলের আগমন নিঃসন্দেহে এমন কিছু, যা আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব প্রত্যাশা করছি। কারণ যেমন আপনি বলেছেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিকভাবে দ্বি-দলীয় পরিস্থিতিতে ছিলাম— বিএনপি অথবা আওয়ামী লীগ। এটা সত্যিই ৫ বছরের নির্বাচনী সময়কালে দুলতে থাকত, যতক্ষণ না হাসিনা শেষ ১৫ বছর শাসন করলেন। তবে তার আগের ইতিহাসে, ১৯৯১ সাল থেকে, যেটি আমরা 'গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠান' বলে জানি, যেটি জেনারেল আতাউর রহমানের পতনের বছর, তখন থেকে এই ৫ বছর ধরে দুই দল— আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি একে অপরের মধ্যে দুলতেছিল। তাছাড়া, আমাদের মনে রাখতে হবে, এরশাদের জাতীয় পার্টি আছে আর একটি দল আছে জামায়াত-ই-ইসলামী, যা বাংলাদেশের পুরনো দলগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখন বর্তমান অবস্থায়, ছাত্রদলের আগমন একটি নতুন উপাদান।

একবার তারা একটি রাজনৈতিক দল গঠন হলে রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যে প্রবাহিত হতে হবে। নতুন দল হাসিনাকে অপসারণ করেছিল, তাই তাদের মধ্যে এক ধরনের সফলতার অনুভূতি রয়েছে, এমন কিছু যা বিএনপি করতে পারেনি, এমন কিছু যা অন্য কোনো রাজনৈতিক দল করতে পারেনি, তারা কয়েক মাসের আন্দোলনে এটি করেছে।  সুতরাং সেই আত্মবিশ্বাস এখনো তাদের মধ্যে আছে। তাদের মনে হয় তারা বাংলাদেশকে সেইভাবে রূপান্তরিত করতে পারে, যেভাবে তারা জিতেছিল। তারা রাজনৈতিক বাস্তবতার মুখোমুখি হবে, বিশেষ করে নির্বাচনের ক্ষেত্রে। নির্বাচনের ব্যাপারটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আমরা সবাই এটি নিয়ে অধীর আগ্রহে আছি। 

প্রথমত, এটা এখন মোটামুটি নির্ধারিত যে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর অথবা সর্বাধিক জানুয়ারি মাসে হবে নির্বাচন হবে। তবে ছাত্র দলগুলো প্রকাশ্যে বলেছে, তারা নির্বাচন থেকে বেশি সংস্কার চায়। তবে তারা নতুন এবং নির্বাচনে যেতে কিছুটা ভীত। কারণ হয়তো তারা দেখবে জনগণের সমর্থন তেমন নেই। 

অন্যদিকে, বিএনপি ক্ষমতায় আসার জন্য অপেক্ষা করছে, কারণ আওয়ামী লীগ এখন একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সুতরাং, বিএনপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, ছাত্ররা তেমন আগ্রহী নয় এবং জামায়াতে ইসলামী, যারা এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি বড় ফ্যাক্টর, তারা দ্বিধাগ্রস্ত— তারা অপেক্ষা করতে রাজি, ১০-১৫ বছরও অপেক্ষা করতেও রাজি। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে যদি হয়, কিন্তু  স্থগিত হলেও তাদের তেমন সমস্যা নেই। এটাই এখন পরিস্থিতি। 

তবে মূল কথা হলো, দেশবাসী নির্বাচন চায়। হাসিনার সবচেয়ে বড় সমালোচনা ছিল, গত তিনটি নির্বাচনে— ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সবগুলোতে অনেক ভোটার ভোট দিতে পারেনি। সুতরাং, বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রবল আগ্রহ রয়েছে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এবং ভোটাররা তাদের ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে পেতে চায়। এই পরিস্থিতি অনুযায়ী, আমরা ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন দেখতে যাচ্ছি, যদি তা কোনো নাটকীয় কারণে স্থগিত না হয়।  

এরপর রাজ বলেন, আপনি দেখেছেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা কীভাবে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করছেন। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, নতুন এনসিপি দলটি ইসলামী উপাদানে আধিপত্য বিস্তার করছে এবং  জামায়াতে ইসলামী দলটি ক্রমবর্ধমান ভূমিকা নিচ্ছে। উদ্বেগের বিষয় হলো, বাংলাদেশ তার ধর্মনিরপেক্ষ মূলনীতিগুলো হারাচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ইউনূস সরকার যে সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল, তা জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতার মতো শব্দগুলোকে মৌলিক মূলনীতি হিসেবে বাদ দিয়ে তাদের স্থলে প্রস্তাব করেছে সমতা, মানব মর্যাদা, সামাজিক ন্যায় এবং সম্ভবত বৈচিত্র্যের মতো বিষয়গুলো। সুতরাং, বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভিত্তিগুলো কী বিপন্ন এবং এটি কী ইসলামী পথে চলে যাচ্ছে? অনেক ভারতীয় বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করছেন, যেমনটা আমরা পাকিস্তানে দেখেছি।

মাহফুজ উত্তর দেন, এটি ভারতীয় এবং বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ, ভারতীয় সাংবাদিক ও বাংলাদেশী সাংবাদিকদের জন্যও অন্যতম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ছাত্ররা কিছু দাবি করেছে, সাংবিধানিক কমিশন এই সুপারিশগুলো করেছে। তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি এর বিরোধিতা করেছে এবং তারা খুব জোরালোভাবে বলেছে, তারা পুরনো অগ্রাধিকার ফিরিয়ে আনতে চায়, যেমন ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র। সুতরাং, এখানে আপনি একটি পরিষ্কার পরিস্থিতি দেখছেন। যেখানে সবচেয়ে বড় দল এই পরিবর্তনগুলোর বিরোধিতা করছে এবং ছাত্ররা এর সমর্থনে দাঁড়িয়েছে, আর নির্বাচনই এটি নির্ধারণ করবে।

তিনি আরো বলেন, জামাতায়ে ইসলামী দলটি অনেক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, তবে তারা কখনোই ৫ থেকে ৬ শতাংশের বেশি ভোট পায়নি। বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে তারা এক সময় ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, সুতরাং এটি তাদের ঐতিহাসিক ভোটের সমর্থন। তারা হয়তো একটু বেশি, ১০ শতাংশ পর্যন্ত পেতে পারে, তবে আমি মনে করি এর বেশি হবে না। 

তবে বাংলাদেশের ইসলামীকরণ বা পাকিস্তানের মতো যাওয়ার ব্যাপারের বড় প্রশ্নে আমি বলব, আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং অন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করব, তারা বাংলাদেশকে আরো গভীরভাবে বিবেচনা করুক। আপনি জানেন, পাকিস্তান একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এবং তেমনি বাংলাদেশও একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। আমি আপনাকে বলতে চাই, আমরা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হলেও, আমরা পাকিস্তান ভেঙেছি।

আমরা সেই জাতি, যারা বাংলাদেশে নিয়ে গর্বিত এবং আমরা মুসলিম হিসেবে গর্বিত। তবে মুসলিম হওয়া মানে এই নয় যে আমরা ধর্মীয় মৌলবাদী। আমি আমার ভারতীয় বন্ধুদের অনুরোধ করব, আমাদের এই ফাঁদে ফেলবেন না, আমাদের পাকিস্তানের অভিজ্ঞতার নিয়ে বিচার করবেন না, আমাদের আলাদাভাবে ভাবুন।

এরপর রাজ বলেন, আমি আপনাকে নতুন সরকারের প্রথম কিছু মাসে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রসঙ্গে বলতে চাই। যে বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা এবং ভারত সরকারও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি আরএসএস (ভারতের শাসক বিজেপি দলের আদর্শিক সংগঠন) বেঙ্গালুরুতে তাদের জাতীয় বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা করেছে। তারা এ বিষয়টিকে একটি বৃহত্তর ভূরাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখেছে, যার মধ্যে পাকিস্তান এবং ডিপ স্টেট-এর ভূমিকা রয়েছে। তারা বলছে, বর্তমান বাংলাদেশ প্রশাসন সমর্থিত মৌলবাদী ইসলামিক গ্রুপগুলো হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর এমন আক্রমণগুলো সংগঠিত করছে। এখন আপনি এ বিষয়টি কীভাবে দেখেন?  

মাহফুজ উত্তর দেন, প্রথমে আমার অনুরোধ থাকবে, আমি এই বিষয়টি আরএসএস-এর দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে দেখতে চাই, ভারতীয়দের নয়। কারণ যদি এটি ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গি হয়ে ওঠে, তবে আমরা সত্যিই বড় সমস্যায় পড়ব। আরএসএস একটি অত্যন্ত গতিশীল আদর্শিক দল। যদি আপনি আমাদের জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন, তারাও একটি আদর্শিক দল। তাদের ভারতের প্রতি একটি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, যা বাংলাদেশিদের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে মিলবে না।

তাই আমি এটিকে আমি আরএসএস-এর দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে দেখতে চাই। আর আমি আশা করি, ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিন এবং ভারতীয় অন্যান্য স্কলাররা আমাদের আরো স্বাধীনভাবে দেখবে। এখানে কোনো ইসলামিক ষড়যন্ত্র নেই। ভারতের মধ্যে এমন কিছু গ্রুপও থাকতে পারে যারা ভারতকে কিছুটা অন্যভাবে দেখতে চায়। তারা আদর্শিকভাবে ভারতকে আরো গভীরভাবে একটি হিন্দু দেশ হিসেবে দেখতে চাইবে। আমাদের ১৮০ মিলিয়ন মানুষ। আপনি ডিসেম্বর মাসে আমাদের নির্বাচন দেখুন, তারপর দেখবেন সাম্প্রদায়িক দলগুলো কীভাবে অধিকাংশ ভোট পায়।

এরপর রাজ বলে ওঠেন আমি শুধু বলতে চাচ্ছি, ভারতীয় সরকার হিন্দুদের নির্যাতনের ব্যাপারে যে মন্তব্য করেছে, সেটা সম্পর্কে আপনার মতামত কী?

মাহফুজ বলেন, আমি মনে করি এটি আমাদের দুর্বলতা ছিল। এমন কিছু ঘটতে দেওয়া উচিত ছিল না। তবে এই সরকার তার দেখভাল করেছে এবং থামিয়েছে। প্রথম দুই-তিন মাসের ঘটনা বাদ দিলে, আপনি বাংলাদেশের সঠিক চিত্র দেখতে পাবেন। কিন্তু হ্যাঁ, সংখ্যালঘুদের নিয়ে সমস্যা ভারতেও ফিরে আসছে। আপনাদের সকল প্রচেষ্টার পরেও হিন্দু মুসলিম সমস্যা ফিরে এসেছে। এখন আমি এটাও বলতে পারি না যে, আমরা এই অভিশাপ থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পেয়েছি, আমরা সংগ্রাম করছি। দক্ষিণ এশীয় মহাদেশ সংগ্রাম করছে। ভারত সংগ্রাম করছে, আমরা সংগ্রাম করছি। আধুনিকীকরণের দৃষ্টিকোণে আমি মনে করি, আমাদের একে অপরকে সাহায্য করা উচিত এবং এগিয়ে যাওয়া উচিত। এটি আমার দৃষ্টিভঙ্গি। আমি বলব না যে, আমরা এটি পুরোপুরি কাটিয়ে উঠেছি, কিন্তু আমরা এতোটা নিষ্ঠুর সাম্প্রদায়িক দেশও নই।

রাজ বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক আগের অবস্থায় ফিরে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আগের আবস্থায় আনতে প্রতিবন্ধকতা কী?

মাহফুজ বলেন, আমি মনে করি, ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে বারবার পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে যে, ভারতের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক, বোঝাপড়া এবং গভীর সহযোগিতার প্রয়োজন। এটাই বাংলাদেশের সরকারের অবস্থান, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার অবস্থান। তিনি এই বিষয়টি বহুবার উল্লেখ করেছেন এবং আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে একটি বৈঠকের প্রস্তাবও দিয়েছি। তবে এটি সত্যি আপনি বাংলাদেশের রাস্তায় হাঁটলে সেখানে ভারতের প্রতি একটি শক্তিশালী বিরূপ মনোভাব দেখবেন। এই বিরূপ মনোভাব আমি বলব ভারতের বিরুদ্ধে নয়, বরং ভারতের দীর্ঘদিনের হাসিনার সমর্থন এর বিরুদ্ধে।

আবারও বলব, যদি ভারত এবং হাসিনার সহযোগিতা থাকে, আমরা তা স্বাগত জানাই। তবে হাসিনা দিনে দিনে আরো স্বৈরাচারী হয়ে উঠছিলেন। হাসিনা আসলে গণতান্ত্রিক সমাজ এবং নির্বাচন সম্পর্কে মৌলিক ধারণাগুলো ভুলে গিয়েছিলেন। এবং বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়েছে যে, এই সব ক্ষেত্রে ভারত তার সঙ্গী ছিল। কারণ হাসিনা ভারতের পন্থা অনুসরণ করতেন। তবে আমি 

ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটি একটি পরিবর্তন পর্যায়, এই মনোভাবটি কমবে এবং নির্বাচন আসার সঙ্গে সঙ্গে জনগণের মধ্যে ভারতের প্রতি আরো বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি ফিরে আসবে। সরকার অবশ্যই ভারত-এর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী এবং আমরা আশা করি, শ্রী জয়শঙ্কর আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত এবং সম্মানিত একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তিনি অবশ্যই আরও ভালো দৃষ্টিভঙ্গি পাবেন। সরকারের পক্ষ থেকে কখনোই ভারতকে সবকিছুর জন্য দোষারোপ করা হয়নি, হয়তো কিছু মতামত বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এইসব বলছেন, তবে সরকার এই ধরনের বক্তব্য দেয়নি।

সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে।

মন্তব্য

ভূমিকম্প : বাংলাদেশের ত্রাণ সহায়তার দ্বিতীয় চালান মায়ানমারে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভূমিকম্প : বাংলাদেশের ত্রাণ সহায়তার দ্বিতীয় চালান মায়ানমারে
সংগৃহীত ছবি

মায়ানমারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাংলাদেশ থেকে পাঠানো দ্বিতীয় দফার জরুরি ওষুধ ও ত্রাণ নেপিডোতে পৌঁছেছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (বিএ) ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর (বিএএফ) তিনটি পরিবহন বিমানের মাধ্যমে এসব ওষুধ ও ত্রাণ পাঠানো হয়।

দুপুর ২টায় বিমান তিনটি নেপিডো বিমানবন্দরে পৌঁছায়। ত্রাণের মধ্যে রয়েছে ৪.২ মেট্রিক টন ওষুধ ও চিকিৎসা পণ্য, তাঁবু এবং শুকনা খাবার।

সেই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে ৫৫ সদস্যের একটি শক্তিশালী উদ্ধার ও চিকিৎসা দলও ছিল। এই মিশনটি তিনটি পরিষেবা—ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) ডাক্তার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর (বিএ) ডাক্তার এবং বেসামরিক ডাক্তারদের নিয়ে গঠিত রেসকিউ ও মেডিক্যাল টিম নিয়ে গঠিত।

মায়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. এম মনোয়ার হোসেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাম্বাসাডর এট লারজ চ তুনের কাছে ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করেন।

দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আফতাব হোসেন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত রবিবার বাংলাদেশ দুটি ফ্লাইটে ১৬.৫ মেট্রিক টন ত্রাণের প্রথম চালান পাঠিয়েছিল।

মন্তব্য

মার্চে কালের কণ্ঠ ডিজিটালে ১৪০ কোটি ভিউ ও এনগেজমেন্ট

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মার্চে কালের কণ্ঠ ডিজিটালে ১৪০ কোটি ভিউ ও এনগেজমেন্ট
ছবি : কালের কণ্ঠ

গত মার্চ মাসে বিপুল সাড়া ফেলেছে কালের কণ্ঠ ডিজিটাল। এ মাসে কালের কণ্ঠ অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়ার ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের চ্যানেলগুলোতে দর্শক-শ্রোতাদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। মোট ১৪০ কোটি ভিউ ও এনগেজমেন্ট অর্জন করে কালের কণ্ঠ ডিজিটাল এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

মার্চ মাসজুড়ে কালের কণ্ঠ অনলাইনের কনটেন্ট ছিল বৈচিত্র্যে ভরপুর।

বিশেষত ঈদের ছুটিতে ১০টি বিশেষ সেগমেন্ট—ঈদযাত্রা, ঈদ মোবারক, দেশে দেশে ঈদ, ঐতিহাসিক ঈদ জামাত, মেহমানদারি, ইসলামে ঈদুল ফিতর, রাজনীতিবিদদের ঈদ, তারকাদের ঈদ, তাদেরও ঈদ এবং শহীদ পরিবারে বিষাদের ঈদ—দর্শকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করেছে।

এ ছাড়া কালের কণ্ঠ মাল্টিমিডিয়ার বিশেষ আয়োজন, টক শো, ইসলামিক কনটেন্ট, নিয়মিত সংবাদভিত্তিক কনটেন্ট, স্পেশাল রিপোর্ট, জনতার কণ্ঠ, প্রবাসীর কথা, কৃষকের কথা, হেলথ টিপস, কালের কণ্ঠ অনুসন্ধান, করপোরেট শো, বিশ্বাসে মিলায় বন্ধু, ঈদ শো এবং সংবাদ বিশ্লেষণও দর্শকদের মনোযোগ কাড়তে সক্ষম হয়েছে। সময়োপযোগী কনটেন্ট ও দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের কারণেই এই বিশাল অর্জন সম্ভব হয়েছে।

কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হায়দার আলী এই সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব দিয়েছেন পরিশ্রমী টিমের সদস্যদের।

তিনি বলেন, তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিষ্ঠার কারণেই এই অনন্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। বিশেষভাবে, যিনি সব সময় অনুপ্রেরণা দিয়ে গেছেন এবং কালের কণ্ঠ ডিজিটালকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নিরলস সহযোগিতা করেছেন—তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। তার প্রতি কালের কণ্ঠ গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।

এই অসাধারণ সাফল্যের জন্য কালের কণ্ঠ ডিজিটাল (অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া) টিম সম্মানিত দর্শক ও পাঠকদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।

ভবিষ্যতে আরো মানসম্মত কনটেন্ট প্রদানের অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে কালের কণ্ঠ ডিজিটাল।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ