<p>পদার্থবিজ্ঞানে মৌলিক বল চারটি। বিদ্যুৎচুম্বক বল, মহাকর্ষ, সবল ও দুর্বল নিউক্লিয় বল। পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরছে মহাকর্ষ বলের কারণে। চুম্বক লোহাকে আকর্ষণ করছে, সুপার গ্লু দুটো বস্তুকে আটকে রেখেছে— এই দায় বিদ্যুৎচুম্বক বলের। পরমাণুর নিউক্লিয়াসে আছে প্রোটন ও নিউট্রন।</p> <p>নিউট্রনের চার্জ নেই। তবুও প্রোটন, নিউট্রন একসাথে লেগে আছে সবল নিউক্লিয় বলের অবদানে। মৌলিক বলগুলো আসলে কীভাবে কাজ করে তা জানা যায় ১৯৬৪ সালে। যখন মার্কিন বিজ্ঞানী মারে গেল-মান সর্বপ্রথম কোয়ার্কের ধারণা দেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সুপার ফোটনের খোঁজে : পর্ব ২" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/02/1733127350-134ce63057f068a219a0df338fb0b723.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সুপার ফোটনের খোঁজে : পর্ব ২</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/02/1453006" target="_blank"> </a></div> </div> <p>একসময় মনে করা হতো, ইলেকট্রন প্রোটন পরমাণুর মৌলিক কণা। এর থেকে ক্ষুদ্র কিছু নেই। কিন্তু মারে গেল-মান প্রস্তাব করেন, প্রোটন ও নিউট্রন আসলে পরমাণুর মৌলিক কণা নয়। এসব কণা আরও ক্ষুদ্র কোনো মৌলিক কণা দিয়ে গঠিত। আর তা হলো কোয়ার্ক।</p> <p>এ পর্যন্ত ছয় ধরনের কোয়ার্ক খুঁজে পাওয়া গেছে। ভৌত ধর্মের ওপর ভিত্তি করে ছয়টি কোয়ার্ককে নানাভাবে ভাগ করা যায়। চার্জের ভিত্তিতে কোয়ার্ক দুই ধরনের। আপ ও ডাউন কোয়ার্ক। প্রোটনে আছে ২টি আপ কোয়ার্ক ও ১টি ডাউন কোয়ার্ক। নিউট্রনে আছে ১টি আপ কোয়ার্ক ও ২টি ডাউন কোয়ার্ক।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সুপারফ্লুইডের বিস্ময়কর ক্ষমতা" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/01/1733037892-64b8299d1597b8a5c7b9cb9c88642f6c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সুপারফ্লুইডের বিস্ময়কর ক্ষমতা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/12/01/1452618" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বৈদ্যুতিক চার্জ ছাড়াও প্রতিটি কোয়ার্কের আরেক ধরনের চার্জ থাকে। বৈদ্যুতিক চার্জ থেকে আলাদা করতে একে বলা হয় ‘কালার চার্জ’। যদিও কালার শব্দটি রূপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। ছয়টি কোয়ার্কের প্রতিটিই তিনটি আলাদা রঙের হতে পারে। লাল, নীল ও সবুজ। প্রকৃতির মৌলিক রঙ তিনটি।</p> <p>সহজভাবে বললে, আপ কোয়ার্ক তিনটি রঙে পাওয়া যায়। ডাউনসহ অন্যান্য কোয়ার্কও তাই। পরমাণুর প্রোটন গঠিত হয় একটা নীল আপ কোয়ার্ক, একটি লাল আপ কোয়ার্ক এবং একটি সবুজ ডাউন কোয়ার্ক মিলে। সে কারণে প্রোটন কোনো বিশেষ রঙের হয় না। তাই প্রোটনের ‘কালার’ সাদা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শূন্য বিন্দু শক্তি" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/29/1732885940-0e32eef4b30244bc2b9e54e20ddba35b.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শূন্য বিন্দু শক্তি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/29/1452001" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কারণ এই তিনটি মৌলিক রং একত্রিত হয়ে সাদা রং তৈরি করে। কোয়ার্কের কালার বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করা হয় কোয়ান্টাম ক্রোমো-ডায়নামিকস বা বর্ণ বলবিদ্যায়। ক্রোমো অর্থ কালার বা রং।</p> <p>কোয়ার্কের 'কালার চার্জ’ বৈদ্যুতিক চার্জের মতোই একটা ভৌত বৈশিষ্ট্য। সবল নিউক্লিয় বল কীভাবে কাজ করে— তা কালার বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায়।</p> <p>পরমাণুর নিউক্লিয়াসে রয়েছে প্রোটন আর নিউট্রন। প্রোটন প্রোটনকে বিকর্ষণ করে। নিউট্রনের তো চার্জ নেই। তবু এরা কীভাবে একসাথে যুক্ত থাকে এবং পুরো পরমাণুর ভর নিয়ন্ত্রণ করে— তা জানা যায় কোয়ান্টাম বর্ণ বলবিদ্যা তত্ত্বে। এই তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে সার্নে (ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ) উচ্চ গতির প্রোটন ভেঙে পরীক্ষা করা হয়েছিল। যে পরীক্ষার সূত্র ধরেই আমরা পেয়েছিলাম হিগস-বোসন কণার সন্ধান।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম অপটিকস" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/28/1732776790-210aae6c19a67a37f8b2363e9e21f5c7.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম অপটিকস</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/28/1451555" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>সম্পর্কিত তত্ত্ব</strong><br /> কোয়ান্টাম ক্ষেত্র তত্ত্ব<br /> কোয়ান্টাম তড়িৎ-গতিবিজ্ঞান</p> <p><strong>জীবনী</strong><br /> ডেভিড গ্রস, ডেভিড পলিৎজার এবং ফ্র্যাঙ্ক উইলজেক<br /> ১৯৪৭—, ১৯৪৯— এবং ১৯৫১—<br /> যৌথ নোবেল বিজয়ী মার্কিন তিন পদার্থবিদ, কোয়ান্টাম বর্ণ বলবিদ্যার উদ্ভাবক।</p> <p><strong>বর্ণনা</strong><br /> ফ্র্যাঙ্ক ক্লোজ<br />  </p>