জবি বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে ইফতার বিতরণ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জবি বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে ইফতার বিতরণ
ছবি: কালের কণ্ঠ

পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ উদ্যানের আশপাশে থাকা সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে রবিরার (১৬ মার্চ) ইফতার বিতরণ করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

এ সময় জবি শুভসংঘের সভাপতি মো. জুনায়েত শেখের নেতৃত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন আইন বিষয়ক সম্পাদক সাকেরুল ইসলাম, সদস্য মারুফা ইয়াসমিন, মায়া আক্তার, সাদিয়া জামান, রেশমী আক্তার, নুসরাতি রহমান, বুশরাত, জিসান জিহাদ, মেহেদী, রিয়াদ হাসান, মো. হাসান, তৌফিক হাসান, শিপন আহমেদ, শামসুন নাহার মুক্তা, মোহন, সুহাইল, তাহমিদ রাদ ও শাহরিয়াজ রাতুল।

ইফতার উপহার পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা। নিজের অনুভুতি প্রকাশ করে শিহাব বলেন, ‘সকাল ও দুপুরে কিছুই খাইনি।

পুরান ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকে উচ্ছিষ্ট কুড়িয়ে প্রতিদিন ৪০ টাকা পাই। এই টাকা দিয়ে খাবার পাওয়া যায় না। বসুন্ধরা শুভসংঘের ইফতার পেয়ে অনেক খুশি। সারা দেশের অভুক্ত মানুষের জন্য বসুন্ধরা শুভসংঘ যেন তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে।

সুবিধাবঞ্চিত রহিমা আক্তার বলেন, ‘আমি কামরাঙ্গীরচরে থাকতাম। আমার মা মারা যাওয়ার পর বাবা ঘর থেকে বের করে দিছে। তখন থেকে এই বাহাদুর শাহ পার্কই আমার আশ্রয়স্থল। কেউ খাবার দিলে খায়, না পাইলে সারাদিন অভুক্ত থাকি।

বসুন্ধরা শুভসংঘের খাবার পেয়ে আমি আনন্দিত। আমার অভুক্ত সন্তানকেও তারা আজকে খাবার খাওয়ায়েছে। আশা করি, আমার মতো অসহায়দের কল্যাণে বসুন্ধরা শুভসংঘ সবসময় কাজ করে যাবে।’

এ ব্যাপারে শুভসংঘের সভাপতি মো. জুনায়েত শেখ বলেন, ‘শুভসংঘের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। মানুষের জন্য কাজ করতে পারলে অনেক ভালো লাগে।

তিনি বলেন, ‘বাহাদুর শাহ উদ্যানে ইফতার বিতরণ শেষে আমরা ক্যাম্পাসে এসে শুভসংঘের সকল সদস্য মিলে একসঙ্গে ইফতার করেছি। সম্প্রীতির মেলবন্ধনে সবাইকে একত্র করতে পেরে শুভসংঘকে ধন্যবাদ জানাই।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

উল্লাপাড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের ইফতার বিতরণ, নতুন কমিটি গঠন

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
শেয়ার
উল্লাপাড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের ইফতার বিতরণ, নতুন কমিটি গঠন
ছবি: কালের কণ্ঠ

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে শতাধিক হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সংগঠনের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) উল্লাপাড়ার সরকারি আকবর আলী কলেজ চত্বরে এ আয়োজন করা হয়। এতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, শুভসংঘের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবীরা অংশগ্রহণ করেন।

ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে সংগঠনের সদস্যরা বলেন, ‘সমাজের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোই বসুন্ধরা শুভসংঘের মূল লক্ষ্য।’

ইফতার বিতরণ শেষে বসুন্ধরা শুভসংঘ উল্লাপাড়া উপজেলা শাখার নতুন কমিটি (প্রস্তাবিত) গঠন করে অনুমোদনের জন্য বসুন্ধরা শুভসংঘের কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠানো হয়।

নতুন কমিটিতে শিক্ষক মো. ফরহাদ হোসেনকে সভাপতি ও সুমন আনসারীকে সাধারণ সম্পাদক প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিটিতে উপদেষ্টা করা হয়েছে ডা. সামিউল ইনলাম রনি, মো. আরিফ, মাহমুদুল হাসান মিলন ও ফিরোজ আহমেদ আনসারীকে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি প্রভাষক ওবামুদুল হক কায়েছ, প্রভাষক আলামিন হোসেন, মো. আব্দুল মতিন সরকার, মো. রেজাউল করিম, মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, মো. বুলবুল কবীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম, মো. হাফিজুর রহমান, মো. শরীফুল ইসলাম শামীম, মো. এনামুল হক, মো. আকাশ, মো. নাইম হাসান।

এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লবা ও অনিক হাসান, অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহেল আল কাফি, দপ্তর সম্পাদক ইমরান হাসান আসিফ, ইভেন্ট সম্পাদক মো. সুলতান মাহমুদ বাবলু, কর্ম ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক আদৃত রোহান, প্রচার সম্পাদক তানভীর হাপান শাওন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মো. আব্দুল খালেক, স্বাস্থ্য ও মানব বিষয়ক সম্পাদক ডা. মামুন, ক্রীড়া সম্পাদক রেজাউল করিম রনজু, তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আলামিন হোসেন, নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক রওশন আরা রিজু, শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক শিক্ষক সাহাদত হোসেন, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক ইউসুব ইব্রাহিম তন্ময়, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক খলিলুর রহমান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আল শাহরিয়া খোকন, কার্যকরী সদস্য আতাউর রহমান রাজু, রাশেদা সুলতানা রোজী, জহুরুল ইসলাম, রুহুল আমীন, আককাছ আলী।

উল্লাপাড়া উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে নতুন কমিটি আগামী দিনগুলোতে দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা সহায়তা, সচেতনতা,  সামাজিক উন্নয়ন এবং মানবকল্যাণমূলক কাজে অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।

মন্তব্য

সৈয়দপুর বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন পেলেন অসচ্ছল ২০ নারী

নীলফামারী ও সৈয়দপুর প্রতিনিধি
নীলফামারী ও সৈয়দপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
সৈয়দপুর বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন পেলেন অসচ্ছল ২০  নারী
২০ অসচ্ছল নারীকে প্রশিক্ষণ প্রদানের পর সেলাই মেশিন প্রদান করে বসুন্ধরা শুভসংঘ। ছবি : কালের কণ্ঠ

ইতি আকতারের (২৫) স্বামী শরীফ বাবুল একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। ওই দম্পতির ঘরে রয়েছে এক ছেলে ও আএক মেয়ে। বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কালীরডাঙ্গা গ্রামে। ইতি আকতার অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান।

তার সামান্য আয়ে তিন বেলা ভরপেট খাবার জুটে না চার সদস্যের পরিবারটির। অর্ধাহার অনাহার তাদের নিত্য সঙ্গী। এমন দূরাবস্থা নিরসনে নিজের একটা কর্মসংস্থান সৃষ্টির স্বপ্ন ইতি আকতারের দীর্ঘ দিনের। কিন্তু কিছু করার অর্থ না থাকায় তা বাস্তবায়ন হয়নি।
তার সে অধরা স্বপ্ন পূরণ করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে তিন মাস প্রশিক্ষণ শেষে তাকে প্রদান করা হয়েছে সেলাই মেশিন। 

আজ সোমবার (১৭ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কিসামত কামারপুকুর সরকারপাড়া গ্রামে শিশু স্বর্গ বিদ্যা নিকেতন চত্বরে ওই সেলাইমেশিন প্রদান করা হয়। সেখানে ২০ নারীকে সেলাইমেশিন প্রদান করা হয়েছে।

ইতির বলেন, ‘ফ্রিতে তিন মাস কাপড় সেলাই করা শিখুনি। এখন নতুন সেলাই মেশিন পানু। এই সেলাই মেশিনটা দিয়া মানুষের কাপড় সেলাই করি আয় রোজগার করিম। এইটা মেশিন দিয়া পঙ্গু স্বামী আর ছেলে-মেয়ের দুই বেলার খাবার জুটাইম’। তিনি বসুন্ধরার গ্রুপের  মালিকের জন্য আল্লাহ দরবারে দুই হাত তুলে দোয়া করেন।

ইতির মতো বসুন্ধরা শুভসংঘ থেকে সেলাই মেশিন পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন রাবেয়া বেগম (২৫)। ওই গৃহবধূর স্বামী বাসের হেলপারের কাজ করেন। শ্বশুর-শাশুড়ি ও এক মেয়ে সন্তান নিয়ে তার পরিবার। সৈয়দপুর শহরের বাঙালীপুর নিজপাড়ার এলাকার রেলওয়ে জমিতে বসবাস করেন তারা। স্বামীর প্রতিদিনের সামান্য আয়ে সংসার চলে না। তাই বেশিরভাগ সময় উপোস করতে হয় পরিবারের সদস্যদের। সেলাই মেশিন পেয়ে তিনিও ফিরে পেয়েছেন মনোবল।

তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষণ পায়া সেলাই মেশিন পাইনু। এলা এই মেশিন দিয়া কাজ করি রোজগার করির পারিম। স্বামীর রোজগার দিয়া সংসার ভালোমতন চলে না। আশা করেছ দুই জনের রোজগার দিয়া সংসার ভালো চলিবে।’

বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন পেয়ে রাবেয়া এবং ইতির ন্যায় সবার বেড়েছে আত্মবিশ্বাস। তারা সবাই চান সেলাই কাজের আয় দিয়ে পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে।

সৈয়দপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ২০ জন অসচ্ছল নারীকে তিন মাসের সেলাই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এসব নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রদান করে সেলাই মেশিন। আজ সোমবার এসব মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বসুন্ধরা শুভসংঘের সৈয়দপুর শাখার সভাপতি মো. নাছিম রেজা শাহের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলামের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুর-ই-আলম সিদ্দিকী, সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুল কালাম আজাদ, সৈয়দপুর থানার ওসি মো. ফইম উদ্দিন, সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক শওকত হায়াৎ শাহ, হাজারীহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. লৎফর রহমান চৌধুরী, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি হাফেজ মাওলানা মো. আব্দুল মুনতাকিম, সেক্রেটারি মাজহারুল ইসলাম, বসুন্ধরা শুভসংঘের কেন্দ্রীয় পরিচালক জাকারিয়া জামান, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডট কমের জেলা প্রতিনধি মো. আমিরুজ্জামান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন কালের কণ্ঠের সৈয়দপুর প্রতিনিধি তোফাজ্জল হোসেন লুতু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. মামুন, বসুন্ধরা শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছির আরাফাত রাফি, সদস্য ফরিদ মিয়া, আমিনুর রহমান, কালের কণ্ঠের নীলফামারী প্রতিনিধি ভুবন রায় নিখিল, নিউজ টোয়েন্টিফোরের নীলফামারী প্রতিনিধি আব্দুর রশীদ শাহ, বসুন্ধরা শুভসংঘ সৈয়দপুর শাখার সহসভাপতি মতিউর রহমান, যুগ্ম -সম্পাদক মুন্না দাস, সদস্য মাসুদ পারভেজ প্রমুখ।

মন্তব্য

মাদরাসার এতিম শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের ইফতার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মাদরাসার এতিম শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের ইফতার
ছবি: কালের কণ্ঠ

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে মানুষের কল্যাণে দেশব্যাপী বসুন্ধরা শুভসংঘ নানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল (১৬ মার্চ) রবিবার নড়াইলের কালিয়া উপজেলা শাখা ইফতার মাহফিল সম্পন্ন করেছে। কালিয়া উপজেলার গাজীপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদে স্থানীয়  মুসল্লী ও  মাদরাসার এতিম ছাত্রদের নিয়ে শুভসংঘের বন্ধুরা ইফতার করেন।

বসুন্ধরা শুভসংঘ কালিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মো. শাহিন শেখের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ইসলামিক চিন্তাবিদ মো. আকরাম শেখ, বসুন্ধরা শুভসংঘ কালিয়া উপজেলা শাখার উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইমরুল খান, মোহাম্মদ সেকেন্দার শেখ, মোহাম্মদ ইকলাস শেখ, সোরাফ শেখ,  সহ-সভাপতি শাহিন শিকদার,  সৌরভ শেখ, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল শেখ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অন্তর শেখ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শফিকুল শেখ, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ রাকিব শেখ, কার্যকরী সদস্য আশরাফুল শেখ, সাজ্জাদ মোল্লা, রিয়াজ শিকদার, মাজারুল শেখ , রানা,রাফি শেখ, লিমন শেখ প্রমুখ।

 

উপজেলা শাখার সভাপতি মো. শাহিন শেখ বলেন, প্রতিবছরই বড় পরিসরে আমরা এই ইফতার মাহফিল আয়োজন করে থাকি। এবারও আল্লাহ পাকের রহমতে আমরা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছি।  আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের জন্য দোয়া করবো, বিপদে আপদে সুখে দুঃখে একে অপরের পাশে দাঁড়াবো এটাই  হোক মাহে রমজানের মূল দীক্ষা । বসুন্ধরা শুভসংঘ দেশব্যাপী  মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে আমরা আপনাদের কাছে দোয়া চাই।

আল্লাহ পাক আমাদের দেশের উপর রহমত নাজিল করুন। 

বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ইসলামিক চিন্তাবিদ মো. আকরাম শেখ বলেন, পবিত্র রমজান মাস হচ্ছে আত্মসুদ্ধির  মাস।  আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন আমাদের মূল লক্ষ্য। রমজানে রোজাদারকে ইফতার করানো অত্যন্ত  সওয়াবের কাজ।

সবাই মিলে ইফতার করলে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়। মহান আল্লাহ তা আ’লা আমাদের সবাইকে হিংসা বিদ্বেষ ভুলে মানবিক মানুষ হওয়ার তৌফিক দান করুন। বসুন্ধরা শুভসংঘকে ধন্যবাদ জানাই তাদের চমৎকার সব উদ্যোগের জন্যে।

এলাকাবাসী ইফতার আয়োজনটির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘ ব্যতিক্রমধর্মী সংগঠন।

তারা ভালো ভালো কাজের মাধ্যমে মানুষের পাশে থাকে। ধনী-গরীব এক কাতারে বসে আমরা তৃপ্তি নিয়ে ইফতার খেয়েছি। আল্লাহ পাকের কাছে  নিজেদের জন্য ক্ষমা চেয়েছি, বসুন্ধরার জন্যও দোয়া করেছি।

ইফতারের পূর্বে  দেশ ও মানুষের কল্যাণে দোয়া  করা হয়। দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন লুটিয়া দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা লিল্লাহ বোর্ডিং ও এতিম খানার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং অত্র মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ ক্বারি তামিম ইকবাল।

মন্তব্য

বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন পেয়ে নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার আশা

নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারী প্রতিনিধি
শেয়ার
বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন পেয়ে নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার আশা
ছবি : কালের কণ্ঠ

স্বামী দিনমজুর। তার আয়ে চলে না সংসার। অর্ধাহার-অনাহার তাদের নিত্যসঙ্গী। এমন দুর্দশায় স্বামীকে সহযোগিতার প্রবল ইচ্ছা মনিরা আক্তারের (২৭)।

এ জন্য কাজের সন্ধান করেছিলেন বিভিন্ন স্থানে। কাজও জুটিয়েছিলেন পাশের গ্রামের একটি কারখানায়। কিন্তু বাধা দুই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সন্তান। শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় সন্তানরা পারে না চলাফেরা করতে, খেতে পারে না নিজ হাতে।
তাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার একমাত্র ভরসা মা মনিরা। এ জন্য মনিরা বাড়িতেই কোনো কাজ করে আয় উপার্জনের কথা ভাবেন। তাতে সন্তান দেখভালের সঙ্গে চলবে কাজ। সংসারে ফিরবে সচ্ছলতা।
কিন্তু দীর্ঘদিন চেষ্টার পরও পারেননি সে স্বপ্ন পূরণ করতে। তার সেই অধরা স্বপ্ন পূরণ করে দিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রদানের পর তাকে উপহার দেওয়া হয়েছে একটি সেলাই মেশিন।

আজ রবিবার সকাল ১১টার দিকে জেলা সদরের খোকসাবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব খোকসাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেলাই মেশিন প্রদান করা। একই অনুষ্ঠানে মনিরাসহ ২০ জন দুস্থ নারী পান সেলাই মেশিন।

তাদের সবার প্রবল ইচ্ছা ওই মেশিন চালিয়ে আয়-রোজগার করে ফেরাবেন পরিবারের সচ্ছলতা।

মনিরা জানান, প্রায় এক যুগ আগে খোকসাবাড়ী গ্রামের মো. মনিরুজ্জামানের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। এরপর ঘরে আসে বেবী আক্তার (১০) ও বাবু মোজাহিদ নামের দুই সন্তান। জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধকতা নিয়ে তারা আসে মনিরার কোলে। এর পর থেকে নানা হতাশায় কাটতে থাকে মনিবার জীবন।

তিনি জানান, ওই দুই সন্তান পারে না কথা বলতে। চলতে পারে না, খেতে পারে না নিজের হাতে। এ জন্য সার্বক্ষণিক তাদের তদারকির কাজে বাড়িতে থাকতে হয় মনিরাকে।

দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণে সেলাই মেশিন পেয়ে আনন্দিত মনিরা। অনুভূতিতে প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সংসারোত খুব কষ্ট। স্বামীর কিষান খাটার কামাই দিয়া ছয়টা মানষির খাবার জুটে না। কষ্টের কারণে মনটা চায় কোন কাম-কাজ করি কামাই করিবার। কিন্তু ছাওয়া দুইটাক থুইয়া বাড়ি থাকি কোনঠে যাবার পারো না। এলা বসুন্ধরার মেশিন দিয়া বাড়িত বসি সেলাইর কাজ করি কামাই করির পারিম। এলা কামাই সংসারোত সহযোগিতা করির পারিমো।’

একই অনুষ্ঠানে সেলাই মেশিন পেয়েছেন আঁখি আক্তার (১৯)। খোকসাবাড়ী ইউনিয়নের খলিশাপচা গ্রামের আঁখি আক্তার দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা অলিয়ার রহমানের দিন মজুরির আয়ে চলে তাদের সাত সদস্যের পরিবার। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে আঁখি সবার বড়। অভাব-অনটনের সংসারে এসএসসি পাসের আগেই বিয়ে দিতে চেয়েছিল তার পরিবার। কিন্তু আঁখি তাতে রাজি না হয়ে লেখাপড়া শিখে প্রতিষ্ঠিত করতে চান নিজেকে। এমন প্রবল ইচ্ছায এসএসসি পাসের পর ভর্তি হয়েছে কলেজে। কিন্তু পরিবারে অর্থাভাবে লেখাপড়া প্রায় বন্ধের পথে। 

এমতাবস্থায় আঁখি গ্রামে টিউশনি করে লেখাপড়া চালানোর উদ্যোগ নিয়েও হয়েছেন ব্যর্থ। এ জন্য খুঁজতে শুরু করেন সহজ একটি কাজ করে নিজেরসহ ভাই-বোনদের লেখাপড়া চালাতে। সেই আঁখি আক্তারকে সেলাই মেশিন দিয়ে স্বপ্ন পূরণ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ।

স্বপ্ন পূরণের আনন্দে আঁখি আক্তার বলেন, ‘বাড়িতে সেলাইয়ের কাজ করে লেখাপড়া চালানো আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল। কিন্তু দিনমজুর বাবার আয়ে সেলাই মেশিন কেনার সাধ্য হয়ে উঠেনি। বসুন্ধরা গ্রুপ আমার সে স্বপ্ন পূরণ করেছে। এখন বাড়িতে সেলাই কাজের আয়ে আমার এবং ভাই-বোনদের লেখাপড়ার খরচ মেটাতে পারব। পাশাপাশি বাবাকে সহযোগিতা করতে পারব।’

সেলাই মেশিন পেয়ে মনিরা এবং আঁখির ন্যায় অনুভুতি প্রকাশ করেন সবাই। তাদের প্রবল ইচ্ছা সেলাই কাজের আয় দিয়ে ফেরাবেন পরিবারের সচ্ছলতা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উচ্ছাস রায়। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য মো. মনিরুজ্জামান মন্টু। এ সময় পূর্ব খোকসাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা দেন বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. মামুন, কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি ভুবন রায় নিখিল, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছির আরাফাত রাফি, সদস্য ফরিদ মিয়া, আমিনুর রহমান, মো. গোলাম হোসেন, নিউজ টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রশীদ শাহ, বসুন্ধরা শুভসংঘের জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক দীপু রায় প্রমুখ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ