জিতলেই সেঞ্চুরি হতো নোভাক জোকোভিচের। কিন্তু সার্বিয়ান তারকাকে তা হতে দিলেন না জ্যাকুব মেনসিক। মায়ামি ওপেনের ফাইনালে ৭-৬ (৭/৪), ৭-৬ (৭/৪) গেমে জিতে প্রথমবারের মতো পেশাদার ক্যারিয়ারের কোনো শিরোপা জিতলেন চেক প্রজাতন্ত্রের উদীয়মান তারকা।
এতে জিমি কনর্স (১০৯) ও রজার ফেদেরারের (১০৩) শততম শিরোপার পাশে বসা হলো না জোকোভিচের।
তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে সেঞ্চুরির অপেক্ষা বাড়ল পুরুষ এককে সর্বোচ্চ ২৪ গ্র্যান্ড স্লামজয়ীর।
শুধু শিরোপা সংখ্যায় নয়, জোকোভিচের চেয়ে অভিজ্ঞতা, বয়স সবকিছু মিলিয়েই ঢের পিছিয়ে ছিলেন মেনসিক। তবে কোর্টের খেলায় ঠিকই বাজিমাত করলেন তিনি। ৩৭ বছর বয়সী কিংবদন্তিকে হারিয়ে দিলেন ১৯ বছর বয়সী চেক প্রতাজন্ত্রের উঠতি তারকা।
জোকোভিচের মতো কিংবদন্তিকে হারিয়ে তাই ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মেনসিক। জীবনের সবচেয়ে বড় দিন উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘সত্যি বলতে জানি না, কি বলা উচিৎ। অনুভূতিটা অবিশ্বাস্য। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় দিন।
দারুণ খেলেছি। সত্যি খুশি যে, কোর্টে নামার আগে নার্ভাসনেসকে বাইরে রেখে পারফরম্যান্স করেছি।’
ম্যাচ হেরে অজুহাতকে ঢাল হিসেবে নিলেন না জোকোভিচ। চাইলে নিজের অসুস্থতাকে নিতে পারতেন। কেননা ম্যাচের আগে চোখের সমস্যায় ভুগেছেন।
প্রথম সেট শেষে চোখে ড্রপও ব্যবহার করতে হয়েছে। সঙ্গে বৃষ্টির কারণে প্রায় ৬ ঘণ্টা পর ম্যাচ শুরু হয়েছিল।
তবে সবকিছুকে বাইরে রেখে মেনসিককে অভিনন্দন জানিয়েছেন জোকোভিচ। তিনি বলেছেন, ‘আমার জন্য দুর্ভাগ্যের। দুটি টাইব্রেকস, বৃষ্টি বিলম্ব-সবকিছু মিলে অদ্ভূত এক ম্যাচ। সত্যি বলতে কোর্টে ছন্দে ছিলাম না। তাই এসব নিয়ে কথা বলতে চাই না। তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এতটুকুই। হারার কারণ হিসেবে আমি চাই না এসবকে অজুহাত হিসেবে সামনে আনতে।’