<p>রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা দেশের চাপের মুখে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের গ্রহণযোগ্যতা দেখাতে উত্তর কোরিয়া ও ভিয়েতনাম সফরে গেছেন। পশ্চিমাবিশ্ব যেভাবে সম্মিলিতভাবে ইউক্রেনকে সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে, ঠিক সেই মডেলেই উত্তর কোরিয়াকে সহায়তা করতে বুধবার এক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন তিনি। এর আওতায় এক দেশ আক্রান্ত হলে অন্য দেশ তার সহায়তায় এগিয়ে আসবে। ভিয়েতনামে বৃহস্পতিবার তিনি আরো এক ধাপ এগিয়ে বলেন, রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করলে সেটা বিশাল এক ‘ভুল’ হবে বলেও তিনি প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative" data-id="1398573"><strong>আরও পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পারস্পরিক প্রতিরক্ষায় পুতিন ও কিমের চুক্তি" class="img-fluid rounded-start m-0 w-100" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/06/19/1718804506-67e633b9a98cf4347d4fd095e8872859.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p class="p-1 m-0 lh-sm">পারস্পরিক প্রতিরক্ষায় পুতিন ও কিমের চুক্তি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/06/19/1398573" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এদিকে পুতিন এমন সম্ভাবনার কথা বলায় মার্কিন প্রশাসন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, এমন পদক্ষেপ নিলে গোটা কোরীয় উপদ্বীপে স্থিতিশীলতা বিপন্ন হবে। এমনকি উত্তর কোরিয়াকে বিশেষ ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবও লঙ্ঘন করা হবে। মিলার মনে করিয়ে দেন, স্থায়ী সদস্য হিসেবে রাশিয়াও সেই প্রস্তাব সমর্থন করেছিল।</p> <p>উল্লেখ্য, মস্কো সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদে উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার নজরদারির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সময়সীমা সম্প্রসারণের প্রস্তাবে ভেটো প্রয়োগ করেছে।</p> <p>অন্যদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, পুতিনের এই ঘোষণার ফলে উদ্বেগ সত্ত্বেও বিস্ময়ের কোনো কারণ নেই। তার মতে, রাশিয়া মরিয়া হয়ে বৈদেশিক সহায়তার সন্ধান করছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, কয়েক মাস ধরেই রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বেড়ে চলেছে।</p> <p>কিরবি মনে করেন, মস্কোর এমন পদক্ষেপ সম্পর্কে চীনেরও উদ্বেগ বাড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বেইজিংকে উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর অনুরোধ করে আসছে। কিন্তু রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা বাড়লে উত্তর কোরিয়ার ওপর চীনের প্রভাব কমে যেতে পারে। বিশেষ করে উত্তর কোরিয়া আবার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করলে গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিপন্ন হতে পারে। এতে চীনের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হতে পারে বলে কিরবি মনে করছেন।</p> <p>ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার ঘাটতি মেটাতে উত্তর কোরিয়া অনেক গোলাবারুদ ও ব্যালিস্টিক মিসাইল সরবরাহ করেছে বলে জানা গেছে। বেশ কিছুকাল ধরে একঘরে হয়ে থাকা দেশ হিসেবে উত্তর কোরিয়াও সেই সুযোগে রাশিয়ার কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম পাওয়ার আশা করছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, পিয়ংইয়ং রাশিয়ার কাছ থেকে যুদ্ধবিমান, সারফেস টু এয়ার মিসাইল, সাঁজোয়া যান, ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বা উপকরণ চাইতে পারে।</p>