<p>সিরিয়ায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী। ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) নিশ্চিত করেছে, তাদের সেনাবাহিনী সিরিয়ার দুটি স্থানে ৯টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই অঞ্চলে মার্কিন কর্মীদের ওপর একাধিক হামলার জবাবে ইরানের সঙ্গে যুক্ত গ্রুপগুলোকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়।</p> <p>সেন্টকম আরো যোগ করে বলেছে, মার্কিন ও কোয়ালিশন বাহিনী আইএসআইএস-বিরোধী অভিযানের জন্য সিরিয়ায় অবস্থান করছে। তাদের ওপর ভবিষ্যতের হামলা ঠেকানোর জন্য এবং ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোকে দমিয়ে রাখতে এই হামলা চালানো হয়েছে।</p> <p>সেন্টকম কমান্ডার জেনারেল মাইকেল এরিক কুরিলা বলেছেন, ‘এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার জোটের অংশীদারদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের হামলা সহ্য করা হবে না। আমরা আমাদের কর্মীদের এবং জোটের অংশীদারদের রক্ষা করতে ও বেপরোয়া হামলার জবাব দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে থাকব।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পার্লামেন্টে ক্ষমা চাইলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/12/1731391900-794cdb9c73f8c687c66ee249c67e263a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পার্লামেন্টে ক্ষমা চাইলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/11/12/1445703" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাঝে মাঝেই ইরাক এবং সিরিয়া উভয় দেশে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতেও যুক্তরাষ্ট্র ইরাক ও সিরিয়ায় বিমান হামলা করেছে। মার্কিন সেনাদের ওপর মারাত্মক হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সশস্ত্র গোষ্ঠীর ৮৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে তখন হামলা চালায় তারা।</p> <p>সাম্প্রতিক হামলার পর মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘এই হামলাগুলো মার্কিন ও কোয়ালিশন বাহিনীর ওপর ভবিষ্যৎ হামলার পরিকল্পনা বানচাল করবে।’</p> <p>সিরিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৯০০ সেনা রয়েছে এবং প্রতিবেশী ইরাকে আরো দুই হাজার ৫০০ সেনা রয়েছে। ইসলামিক স্টেটের পুনরুত্থান ঠেকাতে স্থানীয় বাহিনীকে পরামর্শ ও সহায়তা করার মিশনে তারা যুক্ত। ইসলামিক স্টেটে ২০১৪ সালে দুই দেশের বিশাল অংশ দখল করেছিল, কিন্তু পরে পরাজিত হয়েছিল।</p> <p>এদিকে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোকে নিরস্ত করার জন্য ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে।</p> <p>সূত্র : রয়টার্স</p> <p><br />  </p>