<p>যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি কানাডাকে ৫১তম রাজ্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তিনি কানাডার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে সেখানকার গভর্নর করবেন বলেও জানান।  </p> <p>এবার নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি একটি মানচিত্র শেয়ার করেছেন যেখানে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ট্রাম্প তার নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে মানচিত্রটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘ওহ কানাডা!’ </p> <p><iframe frameborder="0" height="390" sandbox="allow-scripts allow-same-origin" scrolling="yes" src="https://twitframe.com/show?url=https://twitter.com/TrumpDailyPosts/status/1876827398500429872" width="390"></iframe></p> <p>এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার পর ফ্লোরিডায় নিজের বাড়িতে প্রেস কনফারেন্সে কানাডার ব্যাপারে আলোচনা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘কৃত্রিমভাবে আঁকা রেখাটি’ মুছে ফেলুন এবং দেখুন এটি কেমন দেখায়। এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও ভালো হবে ‘</p> <p>কানাডার সামরিক ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, ‘তাদের (কানাডা) সেনাবাহিনী খুবই ছোট। তারা আমাদের সেনাদের ওপর নির্ভরশীল। সব ঠিক আছে। কিন্তু আপনারা জানেন, তাদের এজন্য অর্থ দিতে হয়। এটি খুবই অযৌক্তিক।’</p> <p>এই পোস্টটি করার কয়েক ঘণ্টা আগেই তিনি কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্যে পরিণত করার প্রস্তাব দেন। তা  বাস্তবায়নের জন্য ‘অর্থনৈতিক শক্তি’ ব্যবহার করার হুমকিও দেন। তবে যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কানাডাকে নিয়ন্ত্রণে সামরিক শক্তি ব্যবহার করবেন কি না?</p> <p>তিনি জবাবে বলেন, ‘না, অর্থনৈতিক শক্তি।’ ট্রাম্প আশ্বাস দেন, তিনি আমেরিকার অর্থনীতি খুব দ্রুত পরিবর্তন করবেন। তিনি বলেন, আমরা আমেরিকার সোনালি যুগের ভোরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।</p> <p>ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সাফ জানিয়ে দেন, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে এমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, কানাডা কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে না। উভয় দেশের মানুষ ও সম্প্রদায় তাদের বৃহত্তম বাণিজ্য ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব থেকে উপকৃত হচ্ছে।</p> <p>এদিকে ট্রাম্প দাবি করেছেন, কানাডার অনেক মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হতে চাইবে। আমরা কানাডার বাণিজ্য ঘাটতি আর ভর্তুকি সহ্য করতে পারি না। ট্রুডো তা জানতেন এবং পদত্যাগ করেছেন।</p> <p>সূত্র : ফক্স নিউজ</p>