<p>‘জীবিত ধরা পড়ার চেয়ে আত্মহত্যা করুন’, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী উত্তর কোরিয়ার সেনাদের পিয়ংইয়ং এমন কথাই জানিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার একজন আইনপ্রণেতা আজ সোমবার দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার ব্রিফিংয়ের পর এই কথা জানিয়েছেন বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।</p> <p>জাতীয় গোয়েন্দা পরিষেবার তথ্য উদ্ধৃত করে দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতা লি সিওং-কুয়েন সাংবাদিকদের বলেন, ‘মৃত সেনাদের কাছ থেকে পাওয়া স্মৃতিচিহ্ন বা জিনিসগুলো ইঙ্গিত দেয়, জীবিত ধরা পড়ার চেয়ে তাদের আত্মহত্যা করার জন্য তাদের চাপ দিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ।’</p> <p>সিউলের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের বরাত দিয়ে আজ সোমবার  তিনি আরো জানিয়েছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে প্রায় ৩০০ জন উত্তর কোরিয়ার সেনা নিহত এবং দুই হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছে।</p> <p>আইনপ্রণেতা লি সিওং-কুয়েন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েনের পরিমাণ কুরস্ক অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে বলে জানা গেছে। অনুমান অনুসারে, প্রায় ৩০০ জন সেনা নিহত এবং দুই হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছে।’ </p> <p>এদিকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি রবিবার জানিয়েছেন, ‘কিয়েভ উত্তর কোরিয়ার সেনাদের তাদের নেতা কিম জং উনের কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত, যদি তিনি রাশিয়ায় বন্দি ইউক্রেনীয়দের বিনিময়ের ব্যবস্থা করতে পারেন।’ </p> <p>জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম এক্সে বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়া থেকে প্রথম বন্দি সেনা ছাড়াও নিঃসন্দেহে আরো সেনা থাকবে। আমাদের সেনারা অন্যদের বন্দি করতে সক্ষম হওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার।’ </p> <p>জেলেনস্কি গত শনিবার বলেছেন, ‘ইউক্রেন রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে দুই উত্তর কোরিয়ার সেনাকে বন্দি করেছে। প্রায় তিন বছর ধরে যুদ্ধে প্রবেশের পর থেকে ইউক্রেন প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ার সেনাদের জীবিত বন্দি করার ঘোষণা দিয়েছে।’</p> <p>ইউক্রেনীয় এবং পশ্চিমারা ধারণা করছে, ‘রাশিয়ার মিত্র উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১১ হাজার সেনা মস্কোর বাহিনীকে সমর্থন করার জন্য কুরস্ক অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে। তবে রাশিয়া তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত বা অস্বীকার করেনি।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৫ দিনে ঝরেছে ৭০ শিশুর প্রাণ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/13/1736741643-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৫ দিনে ঝরেছে ৭০ শিশুর প্রাণ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2025/01/13/1468131" target="_blank"> </a></div> </div> <p>জেলেনস্কি বলেছেন, ‘রাশিয়ান এবং উত্তর কোরিয়ার বাহিনী ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ইউক্রেন কিম জং উনের সেনাদের তার কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত, যদি তিনি রাশিয়ায় আমাদের বন্দি যোদ্ধাদের বিনিময়ের ব্যবস্থা করতে পারেন।’</p> <p>জেলেনস্কি একটি ছোট ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে উত্তর কোরিয়ার সেনা হিসেবে উপস্থাপন করা দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে একজন বিছানায় শুয়ে আছেন, তার হাত ব্যান্ডেজ করা এবং অন্যজনের চোয়ালে ব্যান্ডেজ করা। একজন দোভাষীর মাধ্যমে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘তিনি জানেন না যে তিনি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন এবং তাকে বলা হয়েছিল, তিনি একটি প্রশিক্ষণের অনুশীলনে আছেন।’</p> <p>তিনি আরো জানান, আক্রমণের সময় তিনি একটি আশ্রয়কেন্দ্রে লুকিয়ে ছিলেন এবং কয়েক দিন পরে তাকে পাওয়া গেছে। তিনি জানান, যদি তাকে উত্তর কোরিয়ায় ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, তাহলে তিনি তা করবেন। সুযোগ পেলে তিনি ইউক্রেনে থাকতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। তবে রয়টার্স ভিডিওটি যাচাই করতে পারেনি।</p> <p>জেলেনস্কি বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়ার যেসব সেনা দেশে ফিরে যেতে চান না, তাদের জন্য অন্যান্য বিকল্প পথ তৈরি করা হতে পারে। যারা কোরিয়ান ভাষায় এই যুদ্ধের সত্য ছড়িয়ে শান্তি আনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তাদের সেই সুযোগ দেওয়া হবে।’ তবে জেলেনস্কি বিস্তারিত কিছু বলেননি।</p> <p>সূত্র : এএফপি, রয়টার্স</p>