<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভারতের ভোপালে ভয়াবহ গ্যাস দুর্ঘটনার ৪০ বছর পর পুরোপুরি সরানো হয়েছে বিষাক্ত বর্জ্যভর্তি ১২টি কনটেইনার। স্থানীয় সময় গত বুধবার রাতে মোট ৩৩৭ টন কেমিক্যাল বর্জ্য ভোপাল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউনিয়ন কার্বাইডের পরিত্যক্ত কারখানাতেই এত দিন পড়েছিল ওই ৩৩৭ টন কেমিক্যাল বর্জ্য। মিথাইল আইসোসায়ানেট ছড়িয়ে পড়ার পর এত দিন ওই রাসায়নিক বর্জ্য সরানো যায়নি। অবশেষে সেটা ইউনিয়ন কার্বাইডের কারখানার স্থল থেকে সরল। ১২টি </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লিক প্রুফ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> এবং আগুন ধরবে না এমন কনটেইনারে এই বর্জ্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রতিটি কনটেইনারে ৩০ টন করে বর্জ্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ১০০ শ্রমিক এই বর্জ্য সরানোর কাজ করেছেন। প্রত্যেক শ্রমিককে ৩০ মিনিট করে কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কারণ ওই রাসায়নিক বর্জ্যের কাছে ৩০ মিনিটের থেকে বেশিক্ষণ থাকা বিপজ্জনক।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই বর্জ্য সরানোর জায়গা এবং সেখান থেকে নিয়ে যাওয়ার রাস্তায় আশপাশে ২০০ মিটার এলাকায় কার্যত লকডাউন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। অন্তত এক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। ওই ১২টি গাড়ি রাস্তায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ২৫টি গাড়ির বহর তৈরি করা হয়। ওই বহরে ছিলেন চিকিৎসক-নার্সরা। ওই রাসায়নিক বর্জ্য পিথমপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই ওই রাসায়নিক বর্জ্য নষ্ট করা হবে। প্রশাসন ওই বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবশ্য বিষাক্ত ওই বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে প্রশাসনের। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৪০ বছর আগে ১৯৮৪ সালের শীতের মধ্যরাতে (২ ও ৩ ডিসেম্বরের মধ্যবর্তী কোনো একসময় থেকে গ্যাস লিক হওয়া শুরু হয়) আচমকাই ছড়িয়ে পড়তে থাকে মিথাইল আইসোসায়ানেট। বিষাক্ত এই গ্যাস ধীরে ধীরে অসংখ্য নিরীহ মানুষকে অতিকায় হিংস্র জন্তুর মতো মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। ভোপালের সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় সরকারি হিসাবে প্রাণহানির সংখ্যা চার হাজারের মতো হলেও বেসরকারি হিসাবে নিহতের আসল সংখ্যাটা অনেক বেশি। একটা হিসাবে বলা হয়েছে, ওই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৫ হাজার! শুধু প্রাণহানিই নয়, সর্বকালের সবচেয়ে ভয়াবহ শিল্প বিপর্যয়ের জের আজও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে অসংখ্য মানুষকে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর প্রভাবে নানা শারীরিক ক্ষতি হয় প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনার পর থেকেই বন্ধ পড়ে আছে কারখানাটি। কিন্তু ৪০ বছর আগের সেই গ্যাস দুর্ঘটনার ফল এখনো ভুগছে ভোপাল। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে রয়ে গেছে বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাব। সূত্র : এনডিটিভি</span></span></span></span></span></p>