<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশে পর্যাপ্ত ভোগ্য পণ্য আমদানি হওয়ায় অনেকটা নাগালেই রয়েছে ডাল, পেঁয়াজ, রসুনসহ মসলাজাতীয় পণ্যের দাম। কিন্তু ডলারের দাম বাজারমুখী করার কারণে ভোগ্য পণ্যের দাম রোজায় নিয়ন্ত্রণে না থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ভোগ্য পণ্যের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা মনে করেন, ডলারের বাড়তি দরের চাপ ভোক্তার ওপরই পড়ে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এহেসান উল্লাহ জাহেদী কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খোলাবাজারে ডলারের দাম বাড়তি। সরকারি দরে ডলার কেউ কিনতে পারছেন না। এখন ডলারের দাম বাড়লে সেটা সরাসরি আমদানি করা ভোগ্য পণ্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করবে। অর্থাৎ টাকার বিপরীতে ডলারের যত শতাংশ আমদানি করা হবে, ঠিক তত শতাংশ দাম বাড়বে। তাই রোজার মাস সামনে রেখে যাঁরা ভোগ্য পণ্য আমদানি করছেন, তাঁদের সেটা বহন করতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি তথ্যে দেখা যায়, জুলাই থেকে নভেম্বরের ২৬ তারিখ পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ মাসে চাল, ডাল ও মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি করা হয়েছে ১১ লাখ ৫৮ হাজার ২৩৪ টন। এর মধ্যে ডাল আমদানি করা হয়েছে চার লাখ ৪১ হাজার ২২১ টন। আর চাল আমদানি করা হয়েছে ১৫ হাজার টন। সবচেয়ে বেশি আমদানি করা হয়েছে মসলাজাতীয় পণ্য; এর পরিমাণ ১১ লাখ ৪৩ হাজার ২৩৪ টন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাড়ে পাঁচ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ছোলা, মসুর ডাল, মটর ডাল, মুগ ডাল, মাষকলাই ডাল আমদানি করা হয়েছে চার লাখ ৪১ হাজার ২২১ টন। আলুবোখারা আমদানি করা হয়েছে ৯৬৫ টন, সরিষা এক লাখ ৫২ হাজার ৮৮৩ টন, সয়াবিন তেল (অপরিশোধিত) চার লাখ ৪৯ হাজার ৩২৬ টন, এলাচ এক হাজার ১১৪ টন, দারচিনি পাঁচ হাজার ৪২৬ টন, লবঙ্গ ৫৭২ টন, জিরা ৭৬৬ টন, কিসমিস ৯৬৬ টন, জায়ফল ২০৫ টন, গোলমরিচ ৫৮৯ টন, পেঁয়াজ ১৩ হাজার ২৮২ টন, হলুদ তিন হাজার ১৮১ টন, আদা ১৭ হাজার ২৭ টন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল শনিবার দেশে বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায় আর দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ ২০ দিন আগেও পেঁয়াজের কেজি ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। এখন বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় পেঁয়াজের দাম কমেছে অর্ধেক। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রসুনের কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা আর আদা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। নভেম্বরের ২২ থেকে ডিসেম্বরের ১ তারিখ পর্যন্ত রসুনের দাম মানভেদে সর্বোচ্চ ২২০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছিল। এর দাম আবারও ২০ টাকা কমছে। আদার দাম ২৫ দিন ধরে একই রয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছোলা, মসুর, মটর, মাষকলাই, মুগ ডালের সরবরাহ বেড়েছে। ফলে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে বিভিন্ন ডালের দাম কেজিপ্রতি তিন থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ছোলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়; এটি ১৫ দিন আগেও ছিল ১১৪ টাকা। মসুর ডালের বর্তমান দাম প্রতি কেজি ৯৭ টাকা, এটির দাম কমেছে তিন টাকা। আগে দাম ছিল ১০০ টাকা। মটর ডাল তিন টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৭ টাকায়। মাষকলাই ১৭২ টাকা থেকে কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫৮ টাকায়। ডালজাতীয় পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে মুগ ডালের দাম। প্রতি কেজিতে কমেছে ২৫ টাকা পর্যন্ত। এখন মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০২ টাকায়; যেটি ছিল ১২৭ টাকা কেজি। খেসারি ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়; এটিতেও তিন টাকা কমেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খাতুনগঞ্জের পাইকারি ডাল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মসুর ডালের চাহিদা সব সময় বেশি থাকে। তবে শীতকালে ডালের চাহিদা কমে আসে। তার ওপর বিভিন্ন ধরনের ডালের আমদানিও বেড়েছে। তাই পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম কমে এসেছে। খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজারে এখন ভোগ্য পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। তাই দাম কমছে। দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসবে, তাই পেঁয়াজের দাম আরো কমতে পারে। তবে বাড়তে পারে আদা ও রসুনের দাম।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এখন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে সব পণ্যের বুকিং রেট বেড়েছে। সরবরাহ চেইন ঠিক রাখতে পারলে বাজারে পণ্যের কোনো সংকট হবে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>