জাতীয় স্মৃতিসৌধে এনসিপির শ্রদ্ধা

পুরনো সংবিধান রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয় : নাহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পুরনো সংবিধান রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয় : নাহিদ
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গতকাল সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর ফটো সেশনে অংশ নেন সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। ছবি : কালের কণ্ঠ

পুরনো সংবিধান ও শাসনকাঠামো রেখে একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। কেবল সরকার পরিবর্তন করেই জনগণের কল্যাণ ও প্রকৃত গণতন্ত্র বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। এ জন্য আমরা বলছি, চব্বিশে যে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে, ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে, তাতে কেবল সরকার পরিবর্তন নয়, বরং শাসনকাঠামো ও সাংবিধানিক পরিবর্তন করে নতুন একটি বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করতে চাই, যেখানে প্রকৃত গণতন্ত্র, ইনসাফ ও সাম্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর প্রথম কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাঁরা মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

শ্রদ্ধা জানানো শেষে নাহিদ ইসলাম বলেন, ১৯৪৭ থেকে ২০২৪-এর সব লড়াইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব এবং সেই লক্ষ্যে এনসিপি কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বলেছি, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেলেও আমাদের সার্বভৌমত্ব বারবার হুমকির মুখে পড়েছে। আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো বারবার ভেঙে পড়েছে।

আমরা একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান গড়ে তুলতে পারিনি। একটি একদলীয় সংবিধানের মাধ্যমে ফ্যাসিজম এবং একদলীয় স্বৈরতন্ত্রের বীজ বপন করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি, একটি নতুন প্রজাতন্ত্র আমাদের করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন একটি নতুন সংবিধান ও গণপরিষদ।

সেই জায়গা থেকে আমরা সেকেন্ড রিপাবলিকের কথা বলেছি এবং আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। জাতীয় নাগরিক পার্টির এ মুহূর্তে প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে সাংগঠনিকভাবে কার্যক্রম বিস্তৃত করা। নিবন্ধন নিতে যে ধরনের শর্তাবলি পূরণ করা প্রয়োজন, সে শর্তাবলি আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে পূরণ করে নিবন্ধনের দিকে আগাব। এ মাসের মধ্যেই আমাদের গঠনতন্ত্র তৈরির কাজ শুরু করব।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে গণ-অভ্যুত্থান এবং গত ১৫ বছরে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর দেখতে চাই।

বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ফয়সালা এই বাংলার মাটিতে করতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল যে যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং ১৫ বছর ধরে নানা ধরনের জুলুম করেছে তাদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হতে হবে। এই বিচার বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায়। বিচারের পর সংস্কার কার্যক্রম করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্রুত জাতীয় সংলাপে গিয়ে আমাদের জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন আমরা দেখতে চাই।

দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করে দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে লাখ লাখ শহীদের জীবনের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা এসেছে, সে স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ছিল সাম্য ও সামাজিক সুবিচারের বাংলাদেশ। গত ৫৪ বছরে তা অধরা থেকে গেছে। আমরা এনসিপির নেতাকর্মীরা অঙ্গীকারবদ্ধ, সেই বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করে যাব।

তিনি আরো বলেন, সারা বাংলাদেশে আমাদের অনেক প্রস্তাবের জায়গা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো, বাংলাদেশ পুরো বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। ঢাকা শহরকে গ্লোবাল সাউথের প্রধান হিসেবে দেখা। এমন অনেক স্বপ্ন নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা বিশ্বাস করি, নতুন একটি সংবিধানের বাস্তবতা রয়েছে। এর ভিত্তিতে আমরা গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলেছি। একই সঙ্গে সে গণপরিষদ নির্বাচনে যাঁরা জয়ী হবেন, তাঁরা সংসদ সদস্য হিসেবে ভূমিকা পালন করবেনএমন প্রস্তাবও আমাদের আছে। অল্প সময়ের মধ্যে সারা দেশে জেলা ও উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি কার্যক্রম বিস্তৃত করবে।

 

হাসিনার ফাঁসির আগে নির্বাচন নিয়ে কথা নয় : সারজিস আলম

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে কথা না বলতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। গতকাল সকাল ১০টার দিকে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শহীদদের কবর জিয়ারতের পর তিনি এই মন্তব্য করেন।

এ সময় তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টা যদি খুনি হাসিনার দৃশ্যমান বিচার এই অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে করে যেতে না পারেন তাহলে এই সরকারের সবচেয়ে বড় দায়বদ্ধতা এবং সবচেয়ে বড় লেজিটিমেসি তাঁরা হারাবেন এবং সারা জীবন এটা তাঁদেরই দায় বহন করে যেতে হবে। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করে একটা কথা বলি, দায় বহন করে যাওয়ার মধ্যে সব শেষ নয়। এই বিচার এই অন্তর্বর্তী সরকারের সময় করতে হবে এবং যে সময়টুকু এই সরকারের আছে, নির্বাচনের আগেই খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে ফাঁসির মঞ্চে নিতে হবে। যত দিন না আমরা খুনি হাসিনাকে ওই ফাঁসির মঞ্চে না দেখছি, এই বাংলাদেশে কেউ যেন ভুলক্রমেও নির্বাচনের কথা না বলে।

এক শহীদের মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে সারজিস বলেন, আমাদের একজন শহীদ ভাইয়ের মায়ের এই আহাজারিকে সামনে রেখে আপনাদের শুধু একটা কথাই বলি, এই খুনি হাসিনা যখন শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আমার এমন হাজার ভাইকে খুন করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি, আমার এমন অনেক ভাই রয়েছে, যাদের লাশ এখন পর্যন্ত খুনি হাসিনা হত্যার পরে কোথায় নিয়ে গেছে, এটা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তিনি আরো বলেন, আজ আমার মা তাঁর সন্তানের লাশের জন্য, শেষবার একবার দেখার জন্য, এখন সেই আহাজারি করছে; এই মাকে আমরা বায়তুল মোকাররমের সামনে সেদিন দেখেছি, প্রতিটি জায়গায় এই মা এভাবে আহাজারি করে ছুটে বেড়িয়েছেন; তো সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, আমরা হয়তো আমাদের জায়গায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারি, আমাদের ভাইয়ের লাশটা খোঁজার জন্য। কিন্তু এটা বলতে পারি না যে কখনো পাব কি পাব না। কিন্তু যেই ভাইয়ের লাশের জন্য আমার একজন মা এভাবে আহাজারি করেন, যেই খুনির নির্দেশে আমার এই ভাইগুলোকে হত্যা করা হলো, সেই খুনির বিচার না দেখা পর্যন্ত কিভাবে এই বাংলাদেশে আমরা অন্য কিছুর চিন্তা করি?

আরেক মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সরকার ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর এসেছে। তাদের মনে রাখতে হবে, বিচার নিশ্চিত করতে না পারলে পুরো প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে। দ্রুততম সময়ে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষভাবে ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মির্জা ফখরুল

দুষ্কৃতকারীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দুষ্কৃতকারীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত
মির্জা ফখরুল

দুষ্কৃতকারীরা আবারও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই লোমহর্ষক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানো হচ্ছে। তাই দুষ্কৃতকারীদের কঠোর হাতে দমনের বিকল্প নেই। এ জন্য দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, না হলে ফ্যাসিস্ট শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক নিন্দা, প্রতিবাদ ও শোক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় তিনি এ বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, নাসির উদ্দিনকে সশস্ত্র দুষ্কৃতকারীরা বর্বর ও নিষ্ঠুর হামলা চালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতকারীরা আবারও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।

একই সঙ্গে নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের পৈশাচিক হামলায় নাছির উদ্দিন নিহতের ঘটনা সেই অপতৎপরতারই নির্মম বহিঃপ্রকাশ। আর অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই এ ধরনের লোমহর্ষক ঘটনা বারবার ঘটানো হচ্ছে। তাই এসব দুষ্কৃতকারীকে কঠোর হাতে দমনের বিকল্প নেই।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় দল-মত-নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নইলে ওত পেতে থাকা আওয়ামী লীগের দোসররা মাথাচাড়া দিয়ে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠবে। নাছির উদ্দিনকে হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানান ফখরুল। তিনি বিবৃতিতে নিহতের রুহের মাগফিরাত কামনাসহ শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জানান।

মন্তব্য
ঈদ যাত্রায় স্বস্তি

বাস ট্রেন লঞ্চে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বাস ট্রেন লঞ্চে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ট্রেনে চড়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে শিশুরা। তাই এত আনন্দ! গতকাল কমলাপুর রেলস্টেশনে। ছবি : মঞ্জুরুল করিম

আসন্ন ঈদের আগে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। এদিন কর্মঘণ্টা শেষ হতেই ঘরমুখো মানুষের বেরিয়ে পড়ার ব্যাকুলতায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা দেয়। তবে ঢাকা থেকে সড়কপথে বের হয়ে আর যানজটের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি। বাস, ট্রেন ও লঞ্চে উপচে পড়া ভিড় থাকলেও দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি ঘরমুখো যাত্রীদের।

শেষ কর্মদিবসে যানজট : রাজধানীর মহাখালী, রামপুরা, হাতিরঝিল, বাড্ডা, গুলশান, বনানী, বিভিন্ন স্থানে এই যানজটের চিত্র দেখা গেছে। নীলক্ষেত নিউমার্কেট এলাকা, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাব, কলাবাগান, ধানমণ্ডি, আড়ং, কলেজগেট, শিশুমেলা শ্যামলী, মত্স্য ভবন এলাকা, শাহবাগ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যানজট ছিল।

রাজধানীর নতুন বাজার এলাকায় কথা হয় ট্র্যাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, অফিস শেষে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে বের হলাম।

আগে থেকেই টিকিট কাটা ছিল। তবে যানজটের কারণে যদি সময়মতো কাউন্টারে (নর্দা) যেতে না পারি, বাস মিস করতে পারি।’

সড়কপথে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ : ঈদ যাত্রার চতুর্থ দিন বাড়ির পানে ফেরা যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে সড়কপথেও। শুরুর কয়েক দিন বাস টার্মিনালগুলো ফাঁকা থাকলেও এখন বাস মালিকদের মনে যেমন স্বস্তি ফিরেছে, তেমনি নির্বিঘ্নে ঢাকা ছাড়তে পারছে মানুষ।

গতকাল কল্যাণপুর ও গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীরা গ্রামের যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। চাঁপাই এক্সপ্রেসের সামনে রাজশাহীগামী যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘১০ মিনিট হয় কাউন্টারে আসলাম। ১০-১২ জন ছিল সিরিয়ালে। মাত্র টিকিট পেলাম। আশা করছি, আল্লাহ ভালোভাবে গ্রামে পৌঁছে দেবেন।

সায়েদাবাদসহ আশাপাশের কিছু কাউন্টারে বাড়তি ভাড়া চাওয়ার অভিযোগ করেছেন কয়েকজন যাত্রী। গুলশানের যাত্রী রাজীব আহমেদ শনিবার চুয়াডাঙ্গায় গ্রামের বাড়ি যাবেন। গোল্ডেন লাইনের গোলাপবাগ কাউন্টারে গিয়ে এদিন সকালের কোনো বাসের টিকিট পাননি তিনি। বিকেলের এসি বাসের টিকিট আছে বলে জানান কাউন্টারে থাকা কর্মী ইয়াসিন। কিন্তু ভাড়া এক হাজার ৮০০ টাকা। যাত্রীরা জানান, অন্য সময় এই এসি বাসের ভাড়া এক হাজার ২০০ টাকা হলেও বাড়তি ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।

লঞ্চের কেবিনের টিকিট শেষ : লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছুটি শুরুর দিন বরিশালের লঞ্চগুলোর কেবিনের প্রায় ৯৫ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। ফিরতি টিকিটেরও চাহিদা বাড়ছে দিন দিন। ধারণা করা হচ্ছে, ডেকেও যাত্রীসংখ্যা স্বাভাবিকের থেকে কয়েক গুণ বেশি হবে। অন্য লঞ্চগুলোর কেবিনের টিকিটও বিক্রি শেষের দিকে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ডেকের যাত্রীর সংখ্যা বলে দেবে এবারের ঈদ যাত্রায় লঞ্চ মালিকদের কত লাভ হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, স্পেশাল সার্ভিসসহ বরিশাল-ঢাকা রুটে এবার মোট ১৯টি বিলাসবহুল লঞ্চ যাত্রী সেবায় নিয়োজিত থাকবে। এ ছাড়া ভায়া রুটের আরো দুই-তিনটি লঞ্চ যাত্রী বহন করবে। লঞ্চ কাউন্টারগুলোর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ১৯টি লঞ্চে বিভিন্নমানের প্রায় পাঁচ হাজার কেবিন রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি লঞ্চই ডেকে হাজারের বেশি যাত্রী বহন করতে পারে।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত : আবদুল্লাহপুরের বিভিন্ন কাউন্টারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালিয়েছে বিআরটিএ।

 

মন্তব্য
দ্য ইনডিপেনডেন্টের দাবি

মায়ানমারে ফিরে সশস্ত্র যুদ্ধ করতে চায় রোহিঙ্গারা

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
মায়ানমারে ফিরে সশস্ত্র যুদ্ধ করতে চায় রোহিঙ্গারা

নিজ মাতৃভূমিতে ফিরতে রোহিঙ্গাদের একটি অংশ সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। মোহাম্মদ আয়াস নামের ২৫ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা যুবক সংবাদমাধ্যমটিকে সশস্ত্র প্রস্তুতির আদ্যোপান্ত জানিয়েছেন। তাঁদের লক্ষ্য, জান্তা বাহিনী ও অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে প্রতিহত করে নিজেদের ভূমি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা।

তাঁরা এ প্রস্তুতি দীর্ঘদিন ধরে নিচ্ছেন। বিশেষ করে মায়ানমারে ২০২১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকেই এ প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত হয়।

২০২৪ সালের জানুয়ারির এক ভোরে ইন্ডিপেনডেন্টের সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন মোহাম্মদ আয়াস। তখন কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে তিনি বনের গভীর দিয়ে যাচ্ছিলেন।

তবে তিনি কোথাও পালাচ্ছিলেন না। ফিরছিলেন মায়ানমারে, যেখান থেকে ২০১৭ সালে পালাতে হয়েছিল তাঁকে।

ওই সময় মায়ানমারের সেনাদের গুলির বৃষ্টিতে তাঁর বাবা প্রাণ হারিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, যারা তাঁর পরিবারকে উচ্ছেদ করেছে এবং তাঁদের এসব দুর্ভোগের জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাঁরা।

আয়াস রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিশুদের বার্মিজ ভাষা শেখান। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মতো শত শত যুবক যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। মায়ানমারের সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য যেসব সশস্ত্র গোষ্ঠী যারা তাদের পথের বাধা হবে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তাঁরা সবাই এক।

আয়াস বলেন, আমরা প্রস্তুত। আমি আমার জনগণের জন্য মরতে প্রস্তুত।

নিজ মাতৃভূমিকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। মায়ানমারে আমাদের অধিকার ও স্বাধীনতার যুদ্ধে আমার কী হবে, এ নিয়ে আমি ভাবি না।

কক্সবাজারের ক্যাম্পে কয়েক বছর ধরে থাকা হাজার হাজার রোহিঙ্গা যুবক স্ব ইচ্ছায় সশস্ত্র গোষ্ঠীতে যোগ দিচ্ছেন বলে দাবি তাঁর।

সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট একাধিক রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলেছে। তাঁদের মধ্যে নিজেকে কমান্ডার হিসেবে দাবি করা এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁরা গোপনে মায়ানমারে যান। সেখানে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন।

সম্প্রতি, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শরণার্থী ক্যাম্পে গেলে তাঁকে উদ্দেশ করে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে রোহিঙ্গারা। ২০১৭ সালে বর্বর অত্যাচার ও নির্মম গণহত্যা চালিয়ে মায়ানমারের রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ করে দেশটির সেনাবাহিনী। ওই সময় জীবন বাঁচাতে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। যারা এখন কক্সবাজারের ক্যাম্পে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সূত্র : ইন্ডিপেনডেন্ট

 

 

মন্তব্য
লাইলাতুল কদর

ঈমানদারদের জন্য জামায়াতে ইসলামী আমিরের প্রার্থনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঈমানদারদের জন্য জামায়াতে ইসলামী আমিরের প্রার্থনা
শফিকুর রহমান

ঈমানদারদের জন্য পবিত্র লাইলাতুল কদরের নিয়ামত ও বরকত কামনা করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অ্যাডমিনের দেওয়া পোস্টে এ প্রার্থনা করা হয়।

পোস্টে বলা হয়, ইয়া রব! আমাদের সব ঈমানদার ভাই-বোনকে পবিত্র লাইলাতুল কদরের পূর্ণ নিয়ামত ও বারাকাহ নসিব করুন। আমাদের ওপর রহম করুন, গুনাহখাতা ক্ষমা করুন এবং দুনিয়া ও আখিরাতের অপমান-অপদস্থতা এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদের মেহেরবানি করে মুক্তি দিন।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, দ্বিনের পথে আমাদের সবাইকে অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

 

 

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ