<p>আয়াতের অর্থ : ‘আমি এর আগে আদমের প্রতি নির্দেশ দান করেছিলাম, কিন্তু সে ভুলে গিয়েছিল। আমি তাকে সংকল্পে দৃঢ় পাইনি। স্মরণ করো, যখন ফেরেশতাদের বললাম, আদমের প্রতি সিজদা করো, তখন ইবলিস ছাড়া সবাই সিজদা করল, সে অমান্য করল। অতঃপর আমি বললাম, হে আদম! নিশ্চয়ই এ তোমার ও তোমার স্ত্রীর শত্রু, সুতরাং সে যেন কিছুতেই তোমাদেরকে জান্নাত থেকে বের করে না দেয়। দিলে তোমরা দুঃখ-কষ্ট পাবে।’ (সুরা : তা-হা, আয়াত : ১১৫-১১৭)</p> <p>আয়াতগুলোতে আদম (আ.)-এর ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে।</p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. আয়াতে বলা হয়েছে, আদম (আ.) ভুলে যান। আর ভুলে যাওয়া মানুষের ইচ্ছাধীন নয়। শরিয়ত ভুলে যাওয়া বিষয়ে ক্ষমার ঘোষণা দিয়েছে।</p> <p>২. আদম (আ.) আল্লাহর নির্দেশ পালনে দৃঢ় সংকল্প ছিলেন। কিন্তু শয়তানের প্ররোচনায় সংকল্পের দৃঢ়তা ক্ষুণ্ন হয়।</p> <p>৩. জুনাইদ বাগদাদি (রহ.) বলেন, সত্কর্মপরায়ণ লোকদের অনেক সত্কর্মকে নৈকট্যশীলদের জন্য গুনাহ গণ্য করা হয়।</p> <p>৪. পৃথিবীতে আসার পর আদম (আ.)-কে বলা হয়, আপনার ও আপনার সন্তান-সন্ততির জীবিকা পৃথিবীতে পরিশ্রম ও কষ্ট সহকারে অর্জিত হবে।</p> <p>৫. স্ত্রীর জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করা স্বামীর দায়িত্ব। তাহলো আহার, পানীয়, বস্ত্র ও বাসস্থান। এগুলো সংগ্রহ করতে প্রয়োজনীয় পরিশ্রম স্বামীই করবে। (মাআরেফুল কোরআন : ১১৫-১১৭)</p> <p> </p>