<p>আয়াতের অর্থ : ‘সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! কেন আমাকে অন্ধ অবস্থায় ওঠালে? আমি তো ছিলাম চক্ষুষ্মান। তিনি বলবেন, এভাবেই আমার নিদর্শনাবলি তোমার কাছে এসেছিল, কিন্তু তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে এবং সেভাবেই আজ তুমিও বিস্মৃত হলে। এভাবেই আমি প্রতিফল দিই তাকে, সে বাড়াবাড়ি করে এবং তার প্রতিপালকের নিদর্শনে বিশ্বাস করে না। পরকালের শাস্তি অবশ্যই কঠিনতর ও অধিক স্থায়ী।’ (সুরা : তা-হা, আয়াত : ১২৫-১২৭)</p> <p>আয়াতগুলোতে কোরআন মুখস্থ করে ভুলে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।</p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. মুজাহিদ (রহ.) বলেন, আল্লাহর হুকুম অমান্যকারীর জন্য কিয়ামতের দিন কোনো দলিল-প্রমাণ থাকবে না। অন্ধ হওয়ার দ্বারা এটাই উদ্দেশ্য।</p> <p>২. ইকরামা (রহ.) বলেন, কিয়ামতের দিন পাপীরা জাহান্নাম ছাড়া আর কিছুই দেখবে না।</p> <p>৩. কোরআন মুখস্থ করে ভুলে যাওয়া কবিরা গুনাহ। তাই কোরআন মুখস্থ করলে তা যথাসাধ্য স্মরণে রাখার চেষ্টা করা আবশ্যক।</p> <p>৪. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কোরআন মুখস্থ করে তা ভুলে যায়, কিয়ামতের দিন কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হয়ে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।</p> <p>৫. কোনো ব্যক্তি কোরআন মুখস্থ করে এবং যথাসাধ্য চেষ্টা করার পরও তার শব্দ ভুলে, কিন্তু অর্থ মনে রেখে সে অনুযায়ী আমল করে, আশা করা যায়—সে শাস্তি থেকে মুক্তি পাবে। (তাফসিরে ইবনে কাসির : ৭/২৪৯)</p> <p> </p>